॥স্যুইসাইড॥-@souvik
হয়তো ভালোই হয়েছে সে চলে গিয়ে।নাহলে আমৃত্যু নরক যন্ত্রণা ভুগতে হতো তাকে।একটা চরিত্র।অপার্থিব।আমরাই সৃষ্টি করলাম তাকে রাত জেগে,আমরাই তাকে মেরে ফেললাম গলা টিপে।তবু বলছি এটা সুইসাইড।ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে মঞ্চের হলুদ আলো।তোর সময়সীমা শেষ,প্রয়োজন শেষ,আমি অনেকটা হাততালি কুড়িয়ে নিয়েছি...কিন্তু তুই? না না স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী তুই তো মৃত,তুই বেঁচে থাকলে দর্শক আমায় ভুলে যাবে।আমার লেখার টেবিলে একরাতে সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের সামনে ফেলে সেদিন মেরেছি তাকে।এই দৃশ্য দেখেছে শুধু আমার স্ক্রিপ্টের ৩২নম্বর পাতা।তুই জানিস তোকে মারার আগে কত পেগ মদ গিলেছি!পর্দা পরার পরে জনে জনে ডেকে বলেছি ওটা খুন নয়...আত্মহত্যা।স্ক্রিপ্টরাইটারের কথা সবাই বিশ্বাস করে,তোকে কেউ চেনে না।স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মেঝেতে কোনো রক্তের দাগ নেই,তবু লাশের পাশে খুঁজেছি একটা জংধরা ব্লেড,শিরা কাটলে শুনেছি বেশিক্ষণ টেকে না।মুখটা নীল হয়নি তবু খাটের নীচে,বালিশের কাছে খুঁজে চলেছি একটা ফোলিডোলের শিশি অথবা স্নানের ঘরটা তন্নতন্ন করে খুঁজব যদি কোনো অ্যাসিডের শিশি পেয়ে যাই,নাহলে দেশলাই বাক্স,দামী পেট্রল দিয়ে চালিয়ে দিলেও চলবে,পুড়ে মরা ঝলসানো শরীর নাকি বীভৎস হয়,ডিটেক্ট করা যায় না।লাইনের পাশেও শুতে পারতিস,একদম স্মুথ করে ভাগ হয়ে যেতিস,আর আমিও দোষটা কুয়াশার মাঝে হনহনিয়ে আসা ট্রেনটার নামে চালিয়ে দিতে পারতাম।কেমন দিলাম বল?অভিনয় ধরতে পারেনি কেউ,পারবেও না।মোদ্দা কথা হলো আমি ঠান্ডা ঘরে বসে ফিল্টার চুষতে চুষতে নিজের পছন্দমতো উপায়ে তোকে মারব।তোর নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসবে, হৃদপিন্ড ১৮টা ফুটো হয়ে যাবে,কাটা যৌনাঙ্গ দেখে শিউরে উঠবি,কারোর জামাকাপড় ছিঁড়ে ধর্ষণ হবে...তবু তোদের কবরের উপর দাঁড়িয়ে পেচ্ছাপ করবে কেউ না কেউ।এবারই তো শেষ দৃশ্য,নাটক জমে উঠেছে।পিশাচের রক্ত খাওয়ার গন্ধ পাচ্ছিস??হ্যাঁ হ্যাঁ,আমিই সেই নরখাদক।ওহ!তুই তো আবার নর বা নারী কেউ নস।দেখ দেখ শুনতে পারছিস?হাততালির অাওয়াজ।আমার তৈরী চরিত্রদের সুইসাইড নোট তৈয়ার।খেলা শেষ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন