সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান


সোজা মানুষের উলটো দুনিয়ার গল্প - নিউটন। 

এম.এস.সি পাশ ফিজিক্স -এ, এখন তার সরকারি দপ্তরে কেরানির চাকরি। সৎ, সময়জ্ঞানী আদর্শ চরিত্র - নিউটন।

অফিস মানেই কাজের জায়গা সে হোক না সরকারি দপ্তর সবাই তাস খেলুক বা ঘুমাক নিউটনের কাছে সেটা কাজেরই জায়গা যেখানে নিয়ম করে ৯টায় পৌঁছতে হয় তারপর কাজ ঠিক ১২টায় টিফিন আবার কাজ যথাযথ সময় ছুটি। 

বাড়ি থেকে বিয়ের কথার জন্য মেয়ের বাড়িতে গিয়ে শুনলেন মেয়ে নাবালিকা। এবার এক কর্তব্যপরায়ণ নাগরিক হিসেবে আপনি যা ভাববেন উনি তা করবেন। নাবালিকা কে বিয়ে?  নইব নইব চঃ

এখন আসা যাক আসল ঘটনায়। এখন এই ঘটনা বলার আগে আমার মনে দেখানো উচিৎ ছিল-

" এখানে যে দৃশ্য দেখানো হয়েছে কৃপা করে নিজে চেষ্টা করবেন না।"

ভাবছেন কি ভয়ংকর না? ঘাবড়াবেন না।  আপনি জানেন বোধ হয় প্রতিটি সরকারি কর্মী কে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করতে হয়। তাই নিউটন কেও তাই করতে হবে বই কি!! তবে নিউটন তা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভীত নয়,বরং স্বইচ্ছায়ে ভয়ংকর কর্মস্থল বাছলেন বা বলতে পারেন আদিবাসী এলাকা যেখানে মাওবাদী রাজই বেশি চলে। আর সাথে ৩জনের মধ্যে একজনের হেলিকপ্টর চরার প্রবল ইচ্ছের দরুন এই কাজ -এ যুক্ত হয়েছেন অপর একজন শেষ ডিউটির জন্য তিনি নিতে বাধ্য হলেন আর শেষ জন হলেন আদিবাসী স্থানীয় এক মেয়ে। 

নিউটন কে বেশ কয়েকবার প্রাণের ভয় আছে বলে বিব্রত করার চেষ্টা করলেও পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে তার সততার কাছে। তবে সুরক্ষিত নিয়ে যাওয়া বা আসা ছাড়া পুলিশের বিন্দুমাত্র ভূমিকা ছিল না। কিন্তু নিউটন কর্তব্য বোঝে সেই নিয়ে যুদ্ধং দেহি রূপে ভোটের জন্য গুছিয়ে বসলেও মিডিয়া আসার আগে অব্ধি ০% ভোট। 

ইলেকশন কমিশনের আগমন হলে, তিনি নিউটন কে বলেন-

তোমার সমস্যাটি কি জানো তুমি? 

নিউটন প্রত্তুরে বলে - আমার সততা। 

তার উত্তরে অফিসার বলেন - 
উঁহু.... সততা নয়, সততা নিয়ে অহংকার।  ভাবেন যে নিজের কাজ নিজে করবেন আবার তাতে লোক ধন্যবাদ জানাবে একে একে আপনাকে।

তারপর একে একে ভোটাধিকারপ্রাপ্ত কিছু বয়স্ক আসেন ভোট দেন বটে কাকে তবে সেটা তারা বিন্দুমাত্র জানে না।  তাদের প্রশ্ন ছিল

 প্রার্থী কে ভালো?
কেই বা তাদের মুক্ত করবে মাওবাদী আর পুলিশের হাত থেকে?

যদিও সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া "উশুলো কি খিলাব" তাই নিউটন নির্বাক।  

নিউটনের এই স্বভাব স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশদের রাগ বাড়িয়ে ৩গুন করে দেয় ঠিক শেষ সময় নিউটন ব্যলেট হাতে পালিয়ে যাওয়ার মন্তব্য করলেও তা কিন্তু পুলিশ ধরে ওই যে পোষা রাগটার বসে পুলিশের হাতে মারধোর টা খেয়ে ঘাড়ের হাড় টা ভাঙল নিউটন। 

তারপর মাস ছ'য়েক কাটিয়ে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন নেই তার। দিব্বি ৯টায় অফিস কাজ ১২টায় টিফিন আর ফাঁকে সেই মহিলা সহকর্মীর আবির্ভাব....  আহম আহম !!  

যার শেষ ভালো তার নাকি সব ভালো।-ANINDITA

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...