সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
- শোন না আজ ভাবছি একটা ফোন করব
- তা কর , কে বারণ করেছে  ?
- নাহ মানে কাকে করব ভাবছি । তুলির সাথে তো বন্ধুত্বটা সেই কলেজের সময় থেকেই নষ্ট। পাঁচ বছরের বন্ধুত্বটা ও নিজেই শেষ করল। 
- ওকে করার কোনো মানে হয় না আর। অন্য কাউকে কর
- হুম তাহলে অনামিকা !
- এ তো সেই তোর স্কুলের বন্ধুটা না ? পাটকাঠি ! 
- হ‍্য‌াঁ ঐ । অনেক দিন কথা হয়নি ওর সাথে। আমরা ঠিক করেছিলাম দুজনে কলেজের পর অনেক টাকা আয় করে বাইরে চলে যাব । সবকিছুর থেকে দূরে 
- তা কি হল ওত সবের ? 
- ও তো কাজ করে এখন। ম‍্য‌াডাম আবার ফোটোগ্রাফি ধরেছেন , তাও আবার ওয়াইল্ড লাইফ , ও তো থাকে কীসব জঙ্গলের ধারে -_-
- তুই এখানে কেন পড়ে থাকলি ? যেতিস ওর সাথে 
- দেখ আমি ভারি ভীতু প্রকৃতির। পশুপাখি পছন্দ ঠিক, তাই বলে ওর মতো না যে ওদের সাথে গিয়ে থাকব 
- বেশ ওসব ছাড় ; ফোন করবি বলছিলি যে
- নাহ্ অনামিকা না। ও ব‍্যস্ত থাকে খুব । জানি আমার নাম ফ্ল‍্য‌াস করলেই ও ধরবে । কিন্তু তবুও আমি নিজেই যেন নিজেকে সবার থেকে দূর করেছি 
- তাহলে গৌরব ! 
- গৌরব !  ফোনের বিলটা একটু বেশি হয়ে যাবে না রে *_*
- এত ইনকাম কী শুধু খাওয়ার জন্য -_-
- আরে ইয়ার্কি করছিলাম তো । ওকে করলে তো ভালই হয়। অনেক দিন কোনো ইমেল‌ও করা হয়নি ওকে
-তোরা ইমেল কেন করিস বলতো ! এখন তো ওয়াটস আপের যুগ 
- দেখ আমি খুব ভালো করেই জানতাম যে ওর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে আমি ওকে আকড়েই থেকে যাব । কোনো যোগাযোগ তো রাখতাম‌ই না। একবার ওর জন্মদিনে ওকে ইমেলে উইস করি , তারপর থেকে ও শুরু করে ইমেল করা
- তোদের দুজনের যখন এত টান তাহলে দূরে থেকে কষ্ট পাস কেন ? 
- আমরা দুজনেই খুব ভালো করে জানি আমাদের এক হ‌ওয়া কোনো দিন সম্ভব নয়। ভেঙে যাওয়া বিশ্বাসকে যতোই জোড়ার চেষ্টা করা হোক না কেন দাগ থাকবেই। আবার আমরা কথা না বলে থাকতে পারতাম না । তাই মেল টা এতদিন হতো
- তাহলে ইমেল করা টা বন্ধ হল কেন ? 
- না চাইলেও অনেক প্রিয় জিনিসের কাছ থেকে সরে আসতে হয় নিজের নাহক তার ভালোর জন্য
- এমন কি হয়েছিল তোদের মাঝে ? 
- নাহ আজ আর ফোন করব না থাক। শুধু শুধু মায়া বাড়িয়ে লাভ নেই
- আমার উত্তর টা পেলাম না কিন্তু
- অন‍্য কোনোদিন পাবি না হয়, আমার সব কথা তো তোর কাছেই বলি
- তা আর বলতে , গত এক বছর ধরে তো এটাই হচ্ছে
- আর এটাই হবে ,ডাইরির পৃষ্ঠা শেষ হয়ে গেছে গৌরবের ছেড়ে চলে যাওয়ার দিন থেকেই। তখন থেকে তো তুই আমার ওয়ার্ড ব‍্য‌াঙ্ক যেখানে আমার সব শব্দ জমা হয়
- তোর মতো পাগল দুটো দেখিনি যে ফোনের সাথে কথা বলে, শালা এ জনমে তোর সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালই হল আমার
- কারেকশন ডার্লিং পাগলী বল

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...