সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিসর্জন॥-@SOUVIK 


বেশ,এবার না হয় একটু অন্যরকম গল্পই হোক।আমার কাছে পুজো মানে নিজের অজান্তে বেশকটা দিন তোমায় নতুন করে আঁকড়ে ধরে থাকা আর বিসর্জনের রাতেই একটা গোটা বছরের জন্যে তোমায় আবারও অজান্তে হারিয়ে ফেলা।আগামী ৩৬৫টা দিন আমি থিয়েটার, মাল্টিমিডিয়া, সোস্যাল নেটওয়র্ক, এস.এস.সি, স্ক্রিপ্টের ওঠানামা, হাসপাতাল,কবিতার ডায়েরী, জন্মদিন,পথের পাঁচালী,বিরাট কোহলির সেঞ্চুরী, মেঘলা দিনে বৃষ্টির গন্ধ, রিক্রুটমেন্ট, মারিজুয়ানায় মাদক নেশা, সিগারেটের ধোঁয়া,পোড়া মন, স্টেশন চত্বর, ভ্যালেন্টাইনস ডে,কোনো বন্ধুর চাকরীর খবর অথবা হঠাৎ কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু.....এই সব কিছু একএক করে একাই পার করবো কখনো চোখ খুলে কখনো বা বুঁজে।আমি লড়েছি গতবছরেও।চৌকাঠে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি তোমার ফিরে আসার।এই পুজোর মরসুমে আমি প্রতিবার দেখি তুমি একটু একটু করে বদলে গিয়ে ঘরে ফেরো।পুজোর চারটে দিন আমি ছাদে দাঁড়িয়ে রাতের দিকে ভেসে আসা অল্প শিরশিরে হাওয়ায় তোমার শরীরে নতুন পোশাকের গন্ধ পাই।আমি বেশ বুঝতে পারি সে আমার শহরেই আছে,কয়েকটা আঁকাবাকা গলি পেরিয়ে ঢাকের আওয়াজ যেখানে খুব স্পষ্ট সেখানে তুমি আছো,একা।তোমার জন্য পুজো উপলক্ষে কিছু উপহার কিনে লুকিয়ে রাখি,পাছে সেই প্রেমের আভাস অামার ঘরের দেয়ালও না টের পেয়ে যায়।কিন্তু হাতে তুলে দেওয়ার সাহস পাই না,পাছে তুমি আমার ভালোবাসা টের পেয়ে যাও।পুজোর সন্ধ্যায় বন্ধুদের ভিড়ে, ভিরে যাওয়া আমার অনেক বেশী শ্রেয় মনে হয়,কারণ সেই রাস্তায় আমি তো তোমাকে পাই,একটার পর একটা স্ট্রিটলাইটের আলো আমার চোখ যখন ধাঁধিয়ে দেয় তখন সামনে তাকিয়ে দেখি তুমি হেঁটে চলেছ হাসতে হাসতে,কোনো দ্বিধা নেই,কোনো অভিমান নেই,কোনো টানাপোড়ন নেই,পিছুটান নেই...আমিও সেই স্নিগ্ধ সম্পর্কে গা ভাসাই।ক্রসিং পেরোবার সময় বিনাকারনে হাত ধরে ফেলা অনেকটা অভ্যেসবশতই।কানের পাশে মখমলে চুল সরিয়ে কখনো বা অজান্তেই ঘুরে তাকালে আমি মনে মনে বলতে পারি,"অপূর্ব"।এসব কথা কবিতার জন্যে নয়,গল্পেরও নয়।আমি শুধু মুষরে পরি দশমীর রাতে।একটা বিদায়ের বাদ্যি কংক্রিটের দেয়াল পেরিয়ে অামার কানে এসে সজোরে ধাক্কা দেয়।মা চলে যাচ্ছো।তুমি চলে গেলে যে আমি আবার তাকে হারিয়ে ফেলবো।ভাসানের সময় তোমার জলে ভেসে যাওয়া কাঠামোর সাথে আমি সব ক্লান্তি বিসর্জন দিয়ে দি।যে আয়নায় তোমার মুখের প্রতিবিম্ব ভেসে ওঠে বিদায় বেলায় সেই দর্পণে আমি তাকে দেখতে পাই শেষবারের মতো। ওরা ছুঁটে গিয়ে তোমার সব আভরণ তুলে নিয়ে আসে জল থেকে।কেউ তো খালি হাতে ঘরে ফেরেনি মা।শুধু আমি ফিরেছি তাকে কোনো অজুহাতে আরেকবার ছুঁয়ে দেখা অপেক্ষার অনেকগুলো রাত নিয়ে আর দেখেছি এক ভাঙ্গা দ্বারঘট সিঁদুরমেখে গেঁথে আছে গঙ্গাপারের নরমমাটিতে।তোমার চোখে জল কেন মা?আমার শহর বছর ঘুরতে আবার বরণ করবে তোমাকেই।জানি,বিসর্জনের কান্না হবে স্থির। আবার এসো মা,ঠিক এমনি ভাবে তাকে সঙ্গে নিয়ে,আমার কাছাকাছি।
মা তোর জন্ম যদি হয় আবার কোনো এক শিল্পীর তুলির টানে
ফিরিয়ে আনিস তাকে বছর পরে,কথা দেওয়া থাক...
এমনই এক বিসর্জনের দিনে॥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...