- হ্যালো!
- হ্যালো..!
- কোথায় থাকিস? কোনো পাত্তা নেই তোর!
- আচ্ছা আপনি কে বলছেন?
- (থতমত হয়ে) আসলে আমি আমার এক স্কুলের বান্ধবীকে
টেলিফোন করেছিলাম। তার নাম সুনন্দা। আপনি কি....
- না আমি সুনন্দা নই...
- ওও.. I'm really sorry...
- না না ঠিক আছে।
(দুপ্রান্তে স্তব্ধতা... অচেনা তবু যেন কত বছরের
চেনা দুই মানুষ)
- (ও প্রান্ত থেকে) আমি স্পন্দন... আর আপনি?
- হিয়া ..
- আরে আপনার নামের সাথে আমার নামের তো ভারী মিল!
- হ্যাঁ সেই তো দেখছি। ( ঠোঁটের কোণায় মুচকি হাসি)
- আচ্ছা আজ রাখি। Bye...
পরের দিন আবার টেলিফোন আসল। অনেক কথা হল দুজনার।
রোজই কথা হত তাদের। দুজন দুজনকে ভালো করে চিনতে জানতে শুরু করল। এক সময় দু'জনের মধ্যে
ভালো লাগার জন্ম নিলেও কেউ কাউকে বলতে পারল না। এইভাবেই তারা টেলিফোনে কথা বলত। কোনোদিন
স্পন্দনের টেলিফোন করতে দেরী হলে বা হিয়ার টেলিফোন ধরতে দেরী হলে দুপ্রান্ত চিন্তায়
উদ্বিগ্ন হয়ে প্রথমেই বলে " কোথায় ছিলে ? আমি তো ভাবলাম আজ কথাই হবে না!
"
হঠাৎ একদিন স্পন্দনের টেলিফোন এল না। সারাটা দিন
অপেক্ষায় ছিল স্পন্দনের টেলিফোনের। দুদিন তিন দিন তিন মাস... আজ ত্রিশটা বছর পেরিয়ে
গেল স্পন্দনের আর টেলিফোন এল না। জানে না হিয়া কেন আর টেলিফোন আসে না... কি এমন করল
যে তাকে এইভাবে শাস্তি পেতে হচ্ছে... হিয়া উত্তরের শূন্য ডালি নিয়ে আজ ও অপেক্ষায়...
দুপুরে টেলিফোন টা বাজলে আজও বছর ত্রিশ আগের
মতো হিয়ার স্পন্দন দ্বিগুন হয়ে ওঠে।
একটাই অপেক্ষা স্পন্দনের টেলিফোন !
Just osadharon hoyeche
উত্তরমুছুনKhub sundor laglo
উত্তরমুছুন