সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

॥মন্দবাসা॥

------------------------------------------------------------------@SOUVIK 



তোর ঠোঁট কামড়ালে বুঝতে পারি শরীরের পোকা মাকড় গুলো কিভাবে কিলবিল করছে প্রতিনিয়ত।আঙুল দিয়ে বুকের মাঝে সরলরেখা আঁকার ইচ্ছেটা এখন তীব্র হচ্ছে রোজ,কঠিন জ্যামিতি।এটাকে প্রেম বলবি নাকি ভালোবাসা,চাইলে "মন্দবাসা"-ও বলতে পরিস।নাভির উৎস খুঁড়লে অনুভব করি কতটা নেশায় মত্ত আমি।কাছে আসতে চাই আদম হয়ে তোর ঈভ রূপের কাছে।বুঝি না অনুভূতিগুলো কী আজকাল বদলে যাচ্ছে!নাকি আমি চুম্বক হয়ে উঠছি যা তোর তপ্ত শরীরের প্রতি প্রবল আকর্ষণ অনুভব করছে কারনে অকারণে।ভালোবাসাটা এতোটা শারীরিক ছিল না প্রথম দিকে।হাতের উপর হাত রাখার গল্পগুলো বেশ রোমান্টিক ছিল।কাঁধে মাথা রেখে দুচোখ বন্ধ করলেই এক অবাধ স্বধীনতা ফিরে পেতাম।তখন বুঝিনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এরকম বিভৎস দৃশ্য দেখব নিজের।তোর মানসিক ভালোবাসার নিষ্ক্রিয়তার উপর খুব মায়া হয় রে।কিন্তু কী করবো,আজকাল শান্তি খুঁজতে বনলতা সেন কে দরকার হয় না।এখন তোর কানের পাশের চুলগুলো ভীষণ বেইমানি করছে কিন্তু।ঠোঁটের রং, গায়ের গন্ধ,লালা মাখা জিভের স্বাদ ব্রাত্য রাখে শুধু।আমার এরকম লালসা তোর কাছে যে খুব অপরিচিত সেটা আমি জানি।শরীর এখন কাকতলীয় এতে আমার দোষ কোথায়?বিশুদ্ধ প্রেমিক হয়ে গোলাপের কাঁটা চাইলে ভালোবাসা পেতাম,কিন্তু আমি তো জন্তু,হিংস্র ভক্ষক তাই আমার জন্য মান্দবাসাটাই তোলা থাক।পেয়ালায় চুমুক দিয়ে কফি খেতে খেতে প্রেমটা আমি ভুলে গেছি,এখন যেটা পরে আছে তা হলো একটা ঝাঁ চকচকে বিছানা,তোর ঘামে ভেজা পিঠে আলতো চুমুক দেওয়ার টানটা বেশি।তুই বরঞ্চ আমাকে যৌনতার নীচেই ফেলে রাখিস।আমার তোর সবার শহরে চারিদিকে লিঙ্গ প্রেমের স্বৈরাচার চলছে যে,কী আর করবো আমি বল!তুইও তো আজ নিরুপায়,বিচ্ছেদ করে চলে যেতে পারিস কিন্তু তাতেও দেখবি আমার হরমোন তোকে ছেড়ে যাবে না,বুঝতে পারলি না কী বললাম?বললাম "খিদে",প্রেমে এখন আর তৃষ্ণা শব্দটা সোসাইটি নিচ্ছে না।সম্পর্কের বয়স বছর ঘুরতে...না না ওই মাস ঘুরতেই সব আবেগ উধাও।এইভাবেই তো চারদেয়ালের ঘরে উষ্ণতার পারদ চড়ে,চাদরে চর্মযুদ্ধ চলে গোটা রাত,পর্দায় লেগে থাকে রক্ত...বাকি ক্লান্ত মন ভোরের আলো অবধি ওপাশ ফিরে শুয়ে থাকে,এর নামই মন্দবাসা।তোকে খুব হুল ফুটিয়েছি আজ বাদিকের বুকের কাছটায়,কিছু মনে করিস না,এতো আঘাত দিলাম এই কারণেই যাতে পরে বিষাক্ত ছোবল না খেতে হয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...