সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

॥পুরোনো প্রেম॥-by souvik






সে আমাকে বুঝতে শিখেছে এখন,অনেকটাই।ইদানিং আমিও আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চিবুকে হাত রেখে ভাবি,এতোটা স্বাভাবিক এখনও আমাদের সম্পর্কটা!এমতবস্থায় কানে কথা বলার যন্ত্র ঠেকিয়ে সিঁড়ি পেরিয়ে দৌড়ে ছুটে যাই ছাদে।বুঝি রাতের আকাশ ঝাঁপিয়ে বছর পাঁচেকের জমা আবেগ ঘিরে ধরছে আমায়।কী জানি কাল কী হবে।তবু কোনো ব্যখাহীন নিঃস্ব অজুহাতে দূর থেকে তার কাছে আসার প্রয়াস বাঁচে প্রতিমুহূর্তে।একটা পাহাড়ি রাস্তা,আঁকাবাকা পাথুরে জমি,খাদের কাছে দাঁড়িয়ে আমি...তুমি আছো ওই কুয়াশা ঘেরা মেঘের পাশে,অথচ কী আশ্চর্য দেখো এখনো অকারণে ফোন বেজে উঠলে চোখ বুজেও বুঝতে পারি,তুমি আছো,কোথাও না কোথাও।বৃষ্টিভেজা কার্নিশে যে ছোট্ট পাখি বসে আছে ডানা মুড়ে,সেও টের পেয়েছে আমার বাড়তে থাকা হৃদস্পন্দন। একটা বেপরোয়া ট্রেন দুপাশে দুই স্টেশন ফেলে ছুটে চলেছে দ্রুত গতিতে।আমরা ভালো আছি নিজেদের মতো করে নিজের শহরে।ভিড় ঠেলে চোখ পাকিয়ে ঠোঁট উল্টে দৌড়চ্ছে সময়।শুধু ঘরের এককোনে বসে আছে চুপকথা একাএকা...প্রশ্ন আসছে অনেক,"ভালোবাসো কী এখনো?" বহু বছর আগে প্রেম এসেছিল বন্ধুর বেশে,শর্ত ছিল না কোনো বাঁধন ছিল অনেক,আকর্ষণ ছিল...অনুভূতি ছিল,আর ছিল দুএক ছিটে ছেলেমানুষী।এখন অনেকটা সিগারেট পুড়েছে স্বল্প আগুনে,দুহাত শক্ত করে কপালের শিরা ফুলেছে লাল হয়ে,ক্লান্তি আর ঘাম নিয়ে মন অসাড়,শেষ হয়েছে যাবতীয় টানাপোড়ন,আমরা অনেকটা বড় হয়েছি। তাই সোস্যাল আর ফরমাল কথাবার্তা এসেছে সবার আগে।জীবন,অফিস,ক্যরিয়ার, সফটওয়ার,ইনক্রিমেণ্ট,প্ল্যানিং আরো কতকী...তোমর মিহি গলায় এসব গভীর আলোচনা শুনবো এমন ভাবিনি কখনো।যদিও অনেক কিছুই ভাবিনি,তবু নির্দিধায় ঘটে গেছে সে সব।এখন কথোপকথনে বুঝে উঠতে পারি না কোনটা আদর,কোনটা জখম আর কোনটা শুধুই সৌজন্য বিনিময়।যাক সেসব কথা থাক,আজ রাতের হাওয়া আমার চিলেকোঠার ঘিরে তোমার গায়ের গন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছে অনেকদিন পর।টেলিফোন ছাড়ার শেষ পাঁচ মিনিট যেন এখনো আগের মতোই দুর্বল করে দেয়।কিছু বলতে চেয়েও যেন আটকে যাওয়া।জানি এখন আর বিকেলের কাছে হাতে হাওয়াই মিঠাই নিয়ে হেঁটে চলা পথ,সন্ধ্যার ভিড় কামরায় কাঁধে মাথা দিয়ে উষ্ণ আবেশ,চারটে নাগাদ কফিশপের কর্নারের সিটটা,ফ্রিজের ঠকথকে ঠান্ডায় তোমার ঠোঁটে কামড়ানো অর্ধেক সন্দেশ,খোলা ছাদের রেলিং এ বসে একতারে কবীর সুমনের গান শোনা,পাশপাশি বসে সরোবরের জলে পা ডুবিয়ে আঙ্গুল দিয়ে জলছবি আঁকা কিমবা হয়তো সেদিনের ক্ষণিক নীরবতার পরে আচমকা জাপটে ধরে আদর করা...এসব কিছু নতুন করে আর আমাদের মন খারাপ করায় না।ফিরতি এছেলেমানুষী প্রেম আমদের হারিয়ে গেছে অনেক দিন আগেই। আমাদের বসন্তের আবীর আর জন্মদিনের মোমবাতি পেরিয়ে আমাদের আগামী সম্পর্কগুলো শুধুই কর্তব্যের।বাড়ি সমাজ-সমাজ বাড়ি...এসে গেছে বড্ড তাড়াতাড়ি।আমরা জানি হয়তো আর বছর খানেক পরেই দুটো ক্ষয়ে যাওয়া মন আনাগোনা করবে দুজন আলাদা মানুষের বিছানার কাছে।তবু আটকে রোখার জো নেই আমাদের।সাহসিকতা দেখানো এখনো আমার অভ্যেস।জোর গলায় জানতে চাইছি "কবে বিয়ে করছো"আবার বাহাদুরি দেখিয়ে বলছি"এবার ভালো একটা ছেলে দেখে সেটেল হও"।জানলার ধারে চোখ বুজে তুমি মিটিমিটি হাসছো, উত্তরে বলছো,"মা এখনো তোমায় বেশ পছন্দ করে"।জানি না দুতরফের এই তর্কবিতর্ক কখন কী হেরে যাওয়ার মুখে আমাদের আবার জিতিয়ে দেবে কিনা।নুইয়ে পরা শুকনো বাঁশ পাতার উপর মেঘলা দিনে রামধনুর আলো পড়লে হিংসুটে হাওয়ায় এখনো নড়ে ওঠে সে।পুরণো প্রেম কথাটায় সমর্থন আমার সেদিনও ছিল না,নাহলে কি আর এতদিন পর এক ঘন্টার গল্প কথায় আবার তোমার প্রেমে পরে যেতাম।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...