সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
@ ANINDITA 


বলছি "বিস্কুট নেতানো" ট্রেলার টা দেখেছিলেন?
সিনেমাটার নাম ছিল "শুভ মাঙ্গালাম সাবধান"।
"মাঙ্গালাম" শুনলেই কেমন বিয়ে বিয়ে শুনতে লাগে,তাই না?  হ্যাঁ এটা ওই বিয়ে ঠিয়ে নিয়েই সিনেমা- " শুভ মাঙ্গালাম সাবধান "।

এখন যদি বলেন সবই তো ঠিক আছে কিন্তু আবার "সাবধান " কেন?  তবে দাঁড়ান দরজা টা বন্ধ করুন, গোপনে বলতে হবে ইয়ে মানে একটু গোপন ব্যাধি কিনা। 

যাই হোক এবার আসা যাক আসল গল্পে, ছেলে NIT থেকে ডিপ্লোমা পাশ ইঞ্জিনিয়ার বছর ছাবিশেক বয়েস একখান মেয়ে পছন্দ হয়েছে কিন্তু মাস দুয়েক চেষ্টা করেও বলতে না পারে অনলাইন ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে সোজা সম্বন্ধ পাঠিয়ে দেয় ছেলে অর্থাৎ আনশুমান।  

নায়িকা মানে ভুমি পাডেকর যদিও ভেবেছিল "লাভ ম্যারেজ" কিন্তু সে আর হল কই। ফ্যামিলি নিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়ে বাবার সাথে জ্যাঠার ঝামেলা হতেই বুঝল তার বিয়ে ঠিক হয়েছে তার সাথেই যে বিয়ের জন্য মাস দুয়েক প্রোপোজ করবে করবে করেও করে উঠতে পারে নি। তাই বলতেই পারেন অ্যারেঞ্জ কাম লাভ কাম অ্যারেনঞ্জ।  

এবার আসা যাক আসল সমস্যায়ে। বাড়িতে কেউ না থাকায়, একদিন কিছু হওয়ার শুরুতেই আনশুমান বোঝে তার কিছু সমস্যা আছে I mean to say he has some sexual problems. ঠিক সেই সময়েই ভুমি পাডেকর তাকে জিজ্ঞেস করতে আনশুমান চা-এ বিস্কুট ডুবিয়ে বিস্কুট নেতিয়ে পড়ে যাওয়া দেখিয়ে বোঝায় He has a problem which  is called erectile dysfunction. 

এখন এটা এক সমস্যাই বেশ এটা সমাধান নিয়ে শুরু হয় আসল ব্যাপার। সব ভাবে চেষ্টা করেও কিছুতে কিছুই সম্ভব হয় নি। ওদিকে মা তখন ভূমি পাডেকর-এর মা তাকে বোঝাতে about sex উদাহরণ দেয়- মেয়েদের শরীর গুফার মতো হয় শুধু আলিবাবার জন্য খোলে, ৪০ চোরে জন্য নয়। মেয়ের তখন বিরাট প্রশ্ন আদেও "আলিবাবা গুহায় আসবে তো?"

 দিন তিনেক পরিশ্রমের পর সমস্যার সুরাহা হল না দেখে এক বিরাট দন্দে পরে যায় আনশুমান বিয়ে করবে কিনা ভেবে। যতই সমস্যা থাকুক মেয়েটা তখন প্রেমে পড়েছে তাও প্রথম প্রেম এভাবে তো আর যেতে দেওয়া যায় না,বিয়ে সে করবেই। তাই দুই ফ্যামিলি চলে যায় হরিদ্বার বিয়ের জন্য। সমস্যা তখনও তুঙ্গে,তবে অন্য কিছুই আর তুঙ্গে ওঠে না।

দিনা সাতেক মেয়ের চিন্তিত মুখ দেখে বাবা হোয়াটসঅ্যাপ চেক করে বোঝেন ছেলের "Erectile Dysfunction" আছে। এখন রোগ গোপন, চিকিৎসাও গোপনে দরকার তাই এক পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান মেয়ের বাবা ছেলেটিকে আর না না পশু চিকিৎসক আবার ইয়েও চিকিৎসা করেন তো। তাতেও বা লাভ হল কই হল তাই বাবা বললেন মেয়ে কে পালিয়ে যা দরকার নেই আর। তখন আবার গোপন রোগ আর গোপন নেই সবাই কন্যাপক্ষ থেকে বরপক্ষ সবাই তখন জেনে গিয়েছে বিস্কুট সমস্যা। 
ঠিক ওই গান টার মতোন-

"গোপন কথাটি রবে না গোপন..."

গল্প করতেও হবু বর-কনে এক জোট হলেই পরীক্ষার ফলের মতো অপেক্ষা করতে থাকে "হল কি না জানতে"। 

কিন্তু আবার ছেলে পক্ষর দাবি তাদের ছেলের এসব নেই নিশ্চই মেয়েটিতেই এমন কোনো খুঁত যার জন্য ইরেক্ট হয় না। তার সপক্ষে যুক্তি হিসেবে ছেলের মা অ্যান্ডারপ্যান্ট কাচার উদাহরণ ও বাদ রাখেনি। ছেলের প্রাক্তন প্রেমিকার দাবিও ছিল যে এরকম কোনো সমস্যা ছিল না আগে। কিন্তু এখন কিছু করা সম্ভব না। তবে হ্যাঁ নায়ক নায়িকা রাজি থাকলেও পরিবারের মধ্যে অশান্তি তখন তুঙ্গে, তবে শুধু অশান্তি ই। তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করলেও আশা ছিল "Dysfunction" থেকে "Functional" হয়ে উঠবে। কথায় আছে না-

"ভাগবান কে ঘর দের হ্যায় আন্ধের নেহি"।

ফুলশয্যা - উঁহু
হানিমুন- উঁহু
নরমাল দিন- উঁহু

তবে? হবে না কি নায়ক নায়িকার মিল I mean to say ইয়ে। 

একদিন পুজোর সময় হল অবশেষে। এখন যার সেক্স ভালো থুরি শেষ ভালো তার সব ভালো।


সত্যি বলতে কি বেশ কমেডিয়ান ফিল্ম, তবে ফ্যামিলি নিয়ে দেখা যাবে কিনা সত্যিই ভেবে দেখিনি কারণ তারা ফ্যামিলি নিয়েই সিনেমার শেষ থেকে শুরু অব্ধি ছিল আপনিও থাকতেই পারেন কারণ ক্যারেক্টার বা ফ্যামিলি কেমন সেটা ছাড়াও বিয়ের জন্য এই সমস্যা গুলোও সমস্যাই বটে।  তবে হ্যাঁ এটা গম্ভীর সমস্যা হতেও পারতো পরবর্তী কালে সেটাই বোঝানো হয়েছে। Sex is equally important as marriage :) বার্তা নিয়ে সিনেমা টি তৈরী বেশ সুন্দর কমেডি হওয়ায় অনায়াসে ৭.৫ দেওয়াই যায় ১০ -এ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...