সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

charminar পর্ব--6

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------#ঐশী
“দিন এখনো রঙীন/সেই দিন এখনো রঙীন/
তাকে আদরে তুলে রাখলাম...”
ফোনটা বাজায় হঠাৎ চমকে ওঠে R.R...
-Hello...?
-Hello.Good Afternoon Madam.
-Yes.Good Afternoon.
-Madam,Tomorrow 5 P.M,Meeting with Cabinet Secretary.
-Yes .Tomorrow I have a Morning Flight to Delhi and Thanks for the reminder.
-It’s my duty Madam and Please be careful about Delhi’s temperature.
-Yaaa absolutely.Thank You.
(ফোনটা কেটে দেয় R.R)

“আগামীকাল ১৮ ই ডিসেম্বর,২০২৭।”
Time Flies.
“দেখতে দেখতে ১০ টা বছর পেরিয়ে গেলো আবিরকে ছাড়া আর তাই জন্যেই আজ এভাবে হঠাৎ স্মৃতিরা ভিড় করছে।মনে পড়ছে that long three years.কতো টুকরো টুকরো ঘটনা,কতো স্মৃতি।” ভাবতে ভাবতে নিজেই হেঁসে ফেলে I.A.S Rachita Ray(In short R.R.)
Gold Flake টা জ্বালিয়ে একটু অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে রচিতা ।

ঠিক ১১ টা বছর আগের ১৮ ই ডিসেম্বর আর ১১ বছর পর আগামীকাল।নাহ্ সময় থেমে থাকেনি।জীবনও নয়।প্রচুর বদল ঘটে গেছে।ঠিক যেভাবে Charminar থেকে Gold Flake।তেমনভাবেই জীবনেও।

নাহ্ রচিতা কোনদিনও ভাবেনি তার জীবন আবির-হীন হয়ে কাটবে।

আবির Mumbai চলে যাওয়ার পর গল্পটা অন্য ধারাতে বইতে শুরু করে।যাওয়ার পর কিছুদিন সব ঠিকঠাক চললেও,”Destiny has it’s own way.”
নাহ্ ঠিক কী হয়েছিল তা আজ দাঁড়িয়ে অপ্রাসঙ্গিক।কার দোষ বেশি,কার কম সে হিসেব কষে আজ আর কোন লাভ নেই।তবে শেষ হয়েছিল সবটা।

রচিতার সময় লেগেছিলো বুঝতে যে আবির তাকে সত্যিই আর চায়না।যোগাযোগ বা কোনরকম touch সে রাখতে চায়নি রচিতার সাথে।অবশ্যই কোন কারণ ছাড়া নয়।রচিতার মতো যেদি,রাগি,একগুঁয়ে মেয়ের সাথে থাকা যেতোনা।কলকাতায় থাকাকালীন সবটা সামলানো সম্ভব হলেও,বাইরে গিয়ে সম্পর্কের অশান্তি সামলানো আবিরের পক্ষে সম্ভব হয়নি বা চায়নি।Someone said ”Everything has it’s exp airy date.”এক্ষেত্রে সেটা যেমন সম্পর্কের তেমনি আবিরের জীবনে রচিতার প্রয়োজনীয়তার।

রচিতা কয়েকবার চেষ্টা করেছিল যোগাযোগের কিন্তু বুঝতে পারে তাতে আবির বিরক্ত।সাথে ব্যস্ত নতুন জীবন,বন্ধু-বান্ধব,হইহুল্লোর নিয়ে।রচিতাকে আর প্রয়োজন ছিলনা কোনভাবে।ভালোবাসা বা সম্পর্ক একতরফা হওয়ার না।তাই রচিতাও হাল ছাড়ে একসময়।
অনেক প্রশ্ন নিয়ে সবটা মেনে রচিতা নিজেকে সরিয়ে নেয়।রচিতা বোঝে আবিরের খুশির কারণ রচিতা আর হতে পারছেনা।বরং আবিরের খুশির কারণ অন্য কেউ-সেটায় রচিতা খুশি ছিল।আসলে আবির ভালো থাকুক রচিতা সেটাই চিরদিন চেয়ে এসেছে,নাই বা হলো রচিতা আবিরের হাসির কারণ।আবির বলতো “রচিতা তার জীবনকে সম্পূর্ণ করেছে।”কিন্তু ওই যে “Change is the only constant with time.” তাই হয়তো আবিরের বদলের সাথে সাথে আবিরের জীবন সম্পূর্ণ করার মানুষ বা মানুষগুলোও বদলে গেলো।

আজ ১০ বছর আবিরের সাথে কোন যোগাযোগ নেই।কেউ-ই আর একে অপরের খোঁজ রাখেনি বা রাখার চেষ্টাও করেনি।সময় পেরিয়েছে,অনেককিছু বদলে গেছে।
রচিতার সামলাতে কষ্ট হয়েছিল নিজেকে।সেইসময় কাছের কিছু মানুষ আর বন্ধু-বান্ধব না থাকলে আজ রচিতা হারিয়ে যেতো।

2018 -এ Masters complete করে কলকাতা ছাড়ে রচিতা।নিজেকে দাঁড় করিয়ে Rachita Ray আজ R.R.

তিনবছর আগে রচিতার জীবনে একজন আসে।আজ রচিতার সবটা জুড়ে সেই একজন।তার তিন বছরের ছোট্ট মেয়ে ঋধিতা।সেই আজ রচিতার জগৎ।তাকে নিয়েই রচিতার সব স্বপ্ন।
নাহ্ বিয়ে করেনি রচিতা।তিনবছর আগে ঋধিতাকে দত্তক নেয় রচিতা।তাকে ঘিরেই সবটা।একাই নিজের মতো মানুষ করছে ঋধিতাকে।Kolkata তে flat এ থাকে।

আবিরের চলে যাওয়ার পর রচিতার স্বপ্নগুলো ভাঙলেও,নতুন স্বপ্ন গড়েছে সে।যার জন্য আর কোন আবিরকে দরকার নেই।আত্মসম্মান,সাহস আর যেদ-ই যথেষ্ট।

আজ কোন রাগ,কোন অভিমান আর নেই আবিরের উপর।আবির যেখানেই আছে ভালো আছে এটুকু ভেবেই রচিতা খুশি।

নাহ্ আবিরকে miss করেনা রচিতা।
অপেক্ষা?
নাহ্ সেটা কোনদিনই করেনি রচিতা।
কারণ আবিররা ফেরার জন্য ছেড়ে যায়না।

“ভালোবাসা”সবসময় পারেনা “ভালো বাসা” গড়তে।তাই হয়তো আবির রচিতারা চিরকালই আলাদা থেকে যায়।

                                                                      

                                                                            ॥ স মা প্ত ॥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...