সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভালবাসার শহর : ভিতরে এবং বাইরে পর্ব -১

------------------------------------------------------------#Aditya



ডমিনিক ল্যাপিরি কথা আজ খুব মনে পরছে। তিনি থাকলে হয়ত উপন্যাসটার নাম অন্য হত। অন্য হত ভালবাসার শহর। সময়টা আবার থমকে যেত দরজায়। আবারও কেউ কেউ নিজের শৈশবটা আঁকড়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ত উঠোনে। কত ঝড়ের রাতে  আম কোড়ানর আনন্দ ধুলোয় মিশে যেত নিমেষে। একটা লোডশেডিং আবার আমায় নস্টালজিক করে দিত। সাদা- কালো ফ্রেমে একটা বায়স্কোপ শিহরণ জাগত শিরায়। আমি আবার উদাসী হয়ে বসে থাকতাম ছাদে। তুই ফিরবি বলে, আমি আবার একটা কবিতার জন্ম দিতাম। ময়দানে বসে একাই পেরিয়ে যেতাম কত পথ।না, কোনও স্বপ্ন নয়। একটা কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি এসে ধাক্কা খায় প্রতিদিন সকালে। সব কাব্য উধাও হয় নিমেষে। একটা ট্রেন, মেট্রো এবং একটা বসের ধাক্কা। একটা অফিস, হাজার পিএনপিসি এবং দিনের শেষে একরাশ হতাশা। এই নিয়ে আপাতত আমার ভালবাসার শহর।
 একটা রাজা, উলঙ্গ! পেট্রোল আমার বুকে। ডাল-ভাত প্রায় বিরিয়ানির সমান। ব্যাঙ্কে কোপ পড়ছে প্রতিদিন। পেনশান আনা আর ভিক্ষা করা প্রায় সমসাময়িক। কলেজে কলেজে যুব নেতার দাপাদাপি। একটা সার্কাস এবং তাঁর দলীয় সভা উন্মুক্ত। চারিদিকে কবি জন্মাচ্ছে প্রতিদিন। আমার শিরায় বাসা বেঁধেছে অর্থনীতি। আমি ফুরিয়ে যাচ্ছি। না, আসলে আমারা ফুরিয়ে যাচ্ছি।
 চিরকালই ক্রাইসিস আমাদের তাড়া করে বেড়িয়েছে। আমারা শুধু সাময়িক ভাল থাকার উপায় খুঁজেছি। একটা মধ্যবিত্ত জীব অনেক কিছু থাকে, যা বাঁচার রসদ খুঁজতে সাহায্য করে।  অনেকের জীবনে সেই সাময়িক ভাল থাকাটা অনেক বড় হয়ে উঠে ।
 আমি যখন প্রথম মঞ্চে উঠেছি, তখন আমি নিতান্তই অপরিণত। ঐকতান চত্বরে বসে ছিলাম। আমারই এক স্কুল সিনিয়র দেখলাম বসে বসে নাটকের পাঠ আওড়াচ্ছে। তাঁর সঙ্গে কোনওদিনই এতটা সখ্যতা ছিল না। ওই স্কুল সিনিয়র ব্যস, এর বাইরে আর কিছু নয়। সে হঠাৎ এসে বলল, ‘ নাটক করবি ? ” আমিও ইতস্তত হয়ে বললাম, “ কোনওদিনই তো করিনি, আমি কি পারব ? “ অনেকটা  নিজেকেই প্রশ্ন করা! সে বলল পারবি! হাতে ধরিয়ে দিল, দু- পাতার একটা স্ক্রিপ্ট! আমি প্রথবারের জন্য মঞ্চে উঠেছিলাম সেদিন। দিনটা ছিল ২১ শে ফেব্রুয়ারি।
তারপর আর পিছনে ফিরে তাকায়নি। প্রচুর শো করেছি। কালো কালো মাথার ভিরে শুধু হাততালি শুনেছি। তাঁর সঙ্গে দাদার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছিল। অনেকটা পথ একসাথে হেঁটে এসেছি। কিন্তু সব সম্পর্কের একটা ইতি আছে। আমাদেরও সেটাই হয়েছে। অনেক দোষ থাকে, কিন্তু সবটা নিজেদের নয়, কিছুটা বাহ্যিকও।আমরাও মধ্যবিত্ত ভাবনার শিকার! কেমন আছে, ব্যাক স্টেজ ? কেমন আছে গ্রীনরুম ?  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...