সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অ্যানিভার্সারি পর্ব : ৩

--------------------------------------------------------------------------------------------AISHEE

ডোডোর রোজ এই এক অভ্যেস।
বলা ভালো বদভ্যাস।
কিছু না কিছু ওভেনে চাপিয়ে রেডি হতে যায় আর তাতেই যতো গন্ডগোল।
আজকে যেমন ডিমের ওমলেটটা পুড়েই গেলো।এইতো কিছুদিন আগেই দুধ চাপিয়ে ভুলে গেছিল।তারপর যা হয় গ্যাস নিভে যা তা ব্যাপার।যাইহোক এভাবেই ওর রোজকার জীবন চলেএখানে।এমনি ঘর-দোর বেশ গুছিয়েই রাখে ডোডো।
শুধু এই রান্নাঘরটাই যা সমস্যার।আসলে কলকাতায় থাকতে কখনো এসব কিছুই করেনি ও।তাই দিল্লীতে এসে এতোবছরেও ব্যাপারগুলো সড়গড় হয়নি।
গ্যাসটা নিভিয়ে ঘরে এলো ডোডো।আজ সকাল থেকেই আলমারিতে গরম জামা-কাপড়ের মধ্যে থেকে গ্লাভস খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে।এদিকে অফিসের তাড়া।
আসলে বেশ কিছুদিন হল ঠান্ডাটা বেশ জাঁকিয়ে পড়ছে।
সন্ধ্যেবেলা বাইক নিয়ে অফিস থেকে ফেরার সময় হাত জমে যাওয়ার অবস্হা হয়।হঠাৎ-ই সব জামাকাপড়ের মধ্যে চোখ পড়লো পুরনো সাদা রুমালটায়।
আলমারির এক কোণে কুঁচকে রয়ে গেছে।ডোডো বের করলো রুমালটা।ন্যাপথলিনের উগ্র গন্ধ।সাদা রং তো।তাই একটু হলদেটে ভাবও এসেছে।ডোডো রুমালটা পুরোপুরি খুললো।রুমালের এককোণে লাল সুতোয় “কুঁচকে” রয়েছে “ভালোবাসি”।...কফি হাউস,মাঝে মাঝে ময়দান,নন্দন,ন্যাশনাল লাইব্রেরি-এভাবেই ফার্স্ট ইয়ার এগোচ্ছিল দুজনের।দুজনেরই প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ।বন্ধুত্ব-ও জমে উঠেছে চুড়ান্ত।তাই আড্ডা,সিনেমা-এ সবই বেশ জমতো।আর তাছাড়া “আ গুড স্পিকার অলওয়েজ নিডস্ আ গুড লিসেনার”।এক্ষেত্রে মিঠি ডোডোর থেকে ভালো আর কাউকে পেতোনা।মিঠির বাড়ির কলের লাইন খারাপ থেকে পাশের বাড়ির কাকিমার চিৎকার;মা এর কাছে বকুনি খাওয়া থেকে পিরিয়ড কেনো হলোনা-সবকিছুর-ইনীরব শ্রোতা ছিল ডোডো।ডিসেম্বর মাস।ফার্স্ট সেমের কিছুদিন আর বাকি।দুজনেই জোরকদমে পরীক্ষার প্রিপারেশন নিচ্ছে।ঠিকহলো একটা বিকেলে ঘুরতে বেরোবে দুজন।একটু রিক্রিয়েশন।মিঠির আবদার পার্কস্ট্রীট সেমেট্রি।সেইমতোবিকেল সাড়ে চারটের সময় দুজনেই হাজির।সেমেট্রির ভিতরটা সবসময়ই বেশ ফাঁকা এবং শান্ত।গেটে নাম লিখে,একঘন্টার পারমিশন নিয়ে দুজনে গেলো ভিতরে।বেশ গা ছমছমে একটা জায়গা।দুজনেই বেশ ফিল করছিল সাইলেন্সটা।কিছুটা ঘুরে দুজনে ভিতরের মাঠটায় গিয়েবসলো।ডোডোর ডানদিকটায় মিঠি বসলো।চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে কয়েকশো বছরের পুরনো কবর।ওরা ছাড়াও আর কয়েকজন রয়েছে এদিকে-ওদিকে।মিঠি একটা সিগারেট জ্বালিয়ে ডোডোর কাঁধে মাথা রাখলো।সন্ধ্যে নামছে ধীরে ধীরে।শীতের বিকেল তাই অন্ধকারটা হঠাৎ করেই নামে।বাইরে থেকে গাড়ির আওয়াজ আসছে হাল্কা ।সেটা বাদে বাকিটা নিস্তব্ধতা।এই বিকেলগুলো অজানা কারনেই কেমন মন কেমন করা।ওদের মাঝেও এক অখন্ড নিরবতা।মিঠির “ইন্ডিয়া কিং”-র স্মুদ গন্ধটাও আজ হঠাৎ ডোডোকে কেমন উগ্রনেশা ধরাচ্ছে।দুজনের চোখাচোখি হল।শ্বাস-প্রশ্বাস এর গতিবেগ দুজনেরই ধীরে ধীরে তীব্র হচ্ছে।আস্তে আস্তে ডোডোর হাত তখন মিঠির সুগভীর ক্নিভেজ ছুঁয়েছে।নাহ্...মিঠির দিক থেকে কোন বাধা এলোনা।বরং ডোডোফিল করলো মিঠির শরীরের হাল্কা কাঁপুনি।তারপর ডোডোর হাত ধীরে ধীরে হারালো আরও আরও আরও গভীর অতলে।আর দুজনের ঠোঁট মেতেছে তখন উদ্দাম যৌনতায়।কোথাও থেকে ছাতিমের উগ্র নেশা ধরানো গন্ধ বাতাসে ভেসে আসছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...