--------------------------------------------------------------------------------------------AISHEE
ডোডোর রোজ এই এক অভ্যেস।
বলা ভালো বদভ্যাস।
কিছু না কিছু ওভেনে চাপিয়ে রেডি হতে যায় আর তাতেই যতো গন্ডগোল।
আজকে যেমন ডিমের ওমলেটটা পুড়েই গেলো।এইতো কিছুদিন আগেই দুধ চাপিয়ে ভুলে গেছিল।তারপর যা হয় গ্যাস নিভে যা তা ব্যাপার।যাইহোক এভাবেই ওর রোজকার জীবন চলেএখানে।এমনি ঘর-দোর বেশ গুছিয়েই রাখে ডোডো।
শুধু এই রান্নাঘরটাই যা সমস্যার।আসলে কলকাতায় থাকতে কখনো এসব কিছুই করেনি ও।তাই দিল্লীতে এসে এতোবছরেও ব্যাপারগুলো সড়গড় হয়নি।
গ্যাসটা নিভিয়ে ঘরে এলো ডোডো।আজ সকাল থেকেই আলমারিতে গরম জামা-কাপড়ের মধ্যে থেকে গ্লাভস খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে।এদিকে অফিসের তাড়া।
আসলে বেশ কিছুদিন হল ঠান্ডাটা বেশ জাঁকিয়ে পড়ছে।
সন্ধ্যেবেলা বাইক নিয়ে অফিস থেকে ফেরার সময় হাত জমে যাওয়ার অবস্হা হয়।হঠাৎ-ই সব জামাকাপড়ের মধ্যে চোখ পড়লো পুরনো সাদা রুমালটায়।
আলমারির এক কোণে কুঁচকে রয়ে গেছে।ডোডো বের করলো রুমালটা।ন্যাপথলিনের উগ্র গন্ধ।সাদা রং তো।তাই একটু হলদেটে ভাবও এসেছে।ডোডো রুমালটা পুরোপুরি খুললো।রুমালের এককোণে লাল সুতোয় “কুঁচকে” রয়েছে “ভালোবাসি”।...কফি হাউস,মাঝে মাঝে ময়দান,নন্দন,ন্যাশনাল লাইব্রেরি-এভাবেই ফার্স্ট ইয়ার এগোচ্ছিল দুজনের।দুজনেরই প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ।বন্ধুত্ব-ও জমে উঠেছে চুড়ান্ত।তাই আড্ডা,সিনেমা-এ সবই বেশ জমতো।আর তাছাড়া “আ গুড স্পিকার অলওয়েজ নিডস্ আ গুড লিসেনার”।এক্ষেত্রে মিঠি ডোডোর থেকে ভালো আর কাউকে পেতোনা।মিঠির বাড়ির কলের লাইন খারাপ থেকে পাশের বাড়ির কাকিমার চিৎকার;মা এর কাছে বকুনি খাওয়া থেকে পিরিয়ড কেনো হলোনা-সবকিছুর-ইনীরব শ্রোতা ছিল ডোডো।ডিসেম্বর মাস।ফার্স্ট সেমের কিছুদিন আর বাকি।দুজনেই জোরকদমে পরীক্ষার প্রিপারেশন নিচ্ছে।ঠিকহলো একটা বিকেলে ঘুরতে বেরোবে দুজন।একটু রিক্রিয়েশন।মিঠির আবদার পার্কস্ট্রীট সেমেট্রি।সেইমতোবিকেল সাড়ে চারটের সময় দুজনেই হাজির।সেমেট্রির ভিতরটা সবসময়ই বেশ ফাঁকা এবং শান্ত।গেটে নাম লিখে,একঘন্টার পারমিশন নিয়ে দুজনে গেলো ভিতরে।বেশ গা ছমছমে একটা জায়গা।দুজনেই বেশ ফিল করছিল সাইলেন্সটা।কিছুটা ঘুরে দুজনে ভিতরের মাঠটায় গিয়েবসলো।ডোডোর ডানদিকটায় মিঠি বসলো।চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে কয়েকশো বছরের পুরনো কবর।ওরা ছাড়াও আর কয়েকজন রয়েছে এদিকে-ওদিকে।মিঠি একটা সিগারেট জ্বালিয়ে ডোডোর কাঁধে মাথা রাখলো।সন্ধ্যে নামছে ধীরে ধীরে।শীতের বিকেল তাই অন্ধকারটা হঠাৎ করেই নামে।বাইরে থেকে গাড়ির আওয়াজ আসছে হাল্কা ।সেটা বাদে বাকিটা নিস্তব্ধতা।এই বিকেলগুলো অজানা কারনেই কেমন মন কেমন করা।ওদের মাঝেও এক অখন্ড নিরবতা।মিঠির “ইন্ডিয়া কিং”-র স্মুদ গন্ধটাও আজ হঠাৎ ডোডোকে কেমন উগ্রনেশা ধরাচ্ছে।দুজনের চোখাচোখি হল।শ্বাস-প্রশ্বাস এর গতিবেগ দুজনেরই ধীরে ধীরে তীব্র হচ্ছে।আস্তে আস্তে ডোডোর হাত তখন মিঠির সুগভীর ক্নিভেজ ছুঁয়েছে।নাহ্...মিঠির দিক থেকে কোন বাধা এলোনা।বরং ডোডোফিল করলো মিঠির শরীরের হাল্কা কাঁপুনি।তারপর ডোডোর হাত ধীরে ধীরে হারালো আরও আরও আরও গভীর অতলে।আর দুজনের ঠোঁট মেতেছে তখন উদ্দাম যৌনতায়।কোথাও থেকে ছাতিমের উগ্র নেশা ধরানো গন্ধ বাতাসে ভেসে আসছে।
ডোডোর রোজ এই এক অভ্যেস।
বলা ভালো বদভ্যাস।
কিছু না কিছু ওভেনে চাপিয়ে রেডি হতে যায় আর তাতেই যতো গন্ডগোল।
আজকে যেমন ডিমের ওমলেটটা পুড়েই গেলো।এইতো কিছুদিন আগেই দুধ চাপিয়ে ভুলে গেছিল।তারপর যা হয় গ্যাস নিভে যা তা ব্যাপার।যাইহোক এভাবেই ওর রোজকার জীবন চলেএখানে।এমনি ঘর-দোর বেশ গুছিয়েই রাখে ডোডো।
শুধু এই রান্নাঘরটাই যা সমস্যার।আসলে কলকাতায় থাকতে কখনো এসব কিছুই করেনি ও।তাই দিল্লীতে এসে এতোবছরেও ব্যাপারগুলো সড়গড় হয়নি।
গ্যাসটা নিভিয়ে ঘরে এলো ডোডো।আজ সকাল থেকেই আলমারিতে গরম জামা-কাপড়ের মধ্যে থেকে গ্লাভস খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে।এদিকে অফিসের তাড়া।
আসলে বেশ কিছুদিন হল ঠান্ডাটা বেশ জাঁকিয়ে পড়ছে।
সন্ধ্যেবেলা বাইক নিয়ে অফিস থেকে ফেরার সময় হাত জমে যাওয়ার অবস্হা হয়।হঠাৎ-ই সব জামাকাপড়ের মধ্যে চোখ পড়লো পুরনো সাদা রুমালটায়।
আলমারির এক কোণে কুঁচকে রয়ে গেছে।ডোডো বের করলো রুমালটা।ন্যাপথলিনের উগ্র গন্ধ।সাদা রং তো।তাই একটু হলদেটে ভাবও এসেছে।ডোডো রুমালটা পুরোপুরি খুললো।রুমালের এককোণে লাল সুতোয় “কুঁচকে” রয়েছে “ভালোবাসি”।...কফি হাউস,মাঝে মাঝে ময়দান,নন্দন,ন্যাশনাল লাইব্রেরি-এভাবেই ফার্স্ট ইয়ার এগোচ্ছিল দুজনের।দুজনেরই প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ।বন্ধুত্ব-ও জমে উঠেছে চুড়ান্ত।তাই আড্ডা,সিনেমা-এ সবই বেশ জমতো।আর তাছাড়া “আ গুড স্পিকার অলওয়েজ নিডস্ আ গুড লিসেনার”।এক্ষেত্রে মিঠি ডোডোর থেকে ভালো আর কাউকে পেতোনা।মিঠির বাড়ির কলের লাইন খারাপ থেকে পাশের বাড়ির কাকিমার চিৎকার;মা এর কাছে বকুনি খাওয়া থেকে পিরিয়ড কেনো হলোনা-সবকিছুর-ইনীরব শ্রোতা ছিল ডোডো।ডিসেম্বর মাস।ফার্স্ট সেমের কিছুদিন আর বাকি।দুজনেই জোরকদমে পরীক্ষার প্রিপারেশন নিচ্ছে।ঠিকহলো একটা বিকেলে ঘুরতে বেরোবে দুজন।একটু রিক্রিয়েশন।মিঠির আবদার পার্কস্ট্রীট সেমেট্রি।সেইমতোবিকেল সাড়ে চারটের সময় দুজনেই হাজির।সেমেট্রির ভিতরটা সবসময়ই বেশ ফাঁকা এবং শান্ত।গেটে নাম লিখে,একঘন্টার পারমিশন নিয়ে দুজনে গেলো ভিতরে।বেশ গা ছমছমে একটা জায়গা।দুজনেই বেশ ফিল করছিল সাইলেন্সটা।কিছুটা ঘুরে দুজনে ভিতরের মাঠটায় গিয়েবসলো।ডোডোর ডানদিকটায় মিঠি বসলো।চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে কয়েকশো বছরের পুরনো কবর।ওরা ছাড়াও আর কয়েকজন রয়েছে এদিকে-ওদিকে।মিঠি একটা সিগারেট জ্বালিয়ে ডোডোর কাঁধে মাথা রাখলো।সন্ধ্যে নামছে ধীরে ধীরে।শীতের বিকেল তাই অন্ধকারটা হঠাৎ করেই নামে।বাইরে থেকে গাড়ির আওয়াজ আসছে হাল্কা ।সেটা বাদে বাকিটা নিস্তব্ধতা।এই বিকেলগুলো অজানা কারনেই কেমন মন কেমন করা।ওদের মাঝেও এক অখন্ড নিরবতা।মিঠির “ইন্ডিয়া কিং”-র স্মুদ গন্ধটাও আজ হঠাৎ ডোডোকে কেমন উগ্রনেশা ধরাচ্ছে।দুজনের চোখাচোখি হল।শ্বাস-প্রশ্বাস এর গতিবেগ দুজনেরই ধীরে ধীরে তীব্র হচ্ছে।আস্তে আস্তে ডোডোর হাত তখন মিঠির সুগভীর ক্নিভেজ ছুঁয়েছে।নাহ্...মিঠির দিক থেকে কোন বাধা এলোনা।বরং ডোডোফিল করলো মিঠির শরীরের হাল্কা কাঁপুনি।তারপর ডোডোর হাত ধীরে ধীরে হারালো আরও আরও আরও গভীর অতলে।আর দুজনের ঠোঁট মেতেছে তখন উদ্দাম যৌনতায়।কোথাও থেকে ছাতিমের উগ্র নেশা ধরানো গন্ধ বাতাসে ভেসে আসছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন