সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

|| ভাঙা ছক || পর্ব : ২


যাইহোক,নিজের পরিচয় নিয়ে অনেক হেঁয়ালি হল।মোটামুটি শুরুতেই বলে রাখি,যদিও শুরুটা ঠিক কোথায় তা আমার নিজেরও জানা নেই...আসল কথায় আসি,এটা ঠিক কতোটা আত্মজীবনী জানিনা তবে হ্যাঁ একটা গোটা গল্প তৈরী হয়ে যেতে পারে।
.
.
.
জয়ীর যাতায়াত আমাদের বাড়িতে যখন আমি ক্লাস টুয়েলভ।সালটা ২০১২।প্রথম প্রথম খুব একটা আলাপ জমেনি।কথা বলতাম তবে টুকটাক।

সালটা ২০১৩।উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ।বাড়িতে সারাদিন বসেই থাকি,সেভাবে করার কিছুই নেই।বলা বাহুল্য এরকমই বসন্তের এক বিকেল।বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমি সবে সিগারেটটা ধরিয়েছি...
হ্যাঁ বেশ কম বয়স থেকেই সিগারেট ধরেছি।সময় ও জীবনের জটিলতায় সংখ্যাটা বেড়েছে...

—এই নে ধর...

—কী গো?ওহ্ কফি!!!

—কেন?খাবিনা?

—নাহ্ নাহ্ তা বললাম কই?

—হুম্...

—কী হলো?চুপ করে গেলে?কিছু বলবে না?

—দিনে কটা করে?

—কী?ওহ্ সিগারেট!!!বেশি না...হয় ওই দুটো-তিনটে...

—আচ্ছা তবে বেশি কাকে বলে?কী পাস এসব খেয়ে?

—তা তুমিই দেখোনা কী পাওয়া যায়...নাও একটা টান দাও...

—পাগল নাকি!!!ওসব কেউ খায়?তুইও ছেড়ে দে...

—হা হা হা...ছাড়বো বলে তো আর ধরিনি।তবে তোমায় ধরতে হবেনা।শুধু একবার একটা টান দাও...

সে বিকেলে যদিও জোর করে একটান জয়ীকে দিয়েছিলাম এবং তারপরও আমার জোর করাতে বেশ কয়েকবার কাউন্টার নিয়েছে,তবে সেগুলো কোনটাই সুখটান হয়ে ওঠেনি এবং কোনদিনও জয়ী আমার সিগারেট খাওয়া সমর্থন করেনি।
.
.
.
জয়ীর বড় হয়ে ওঠা সল্টলেকে।পরবর্তীতে মুম্বাইয়ে বাসস্থান।কিন্তু কলকাতায় থেকেও বাকি পাঁচজনের থেকে ওকে আলাদা করাই যায়।
আমার সাথে আলাপ পারিবারিক সূত্রে।
২০১২-র জুলাই তে প্রথম আসে জয়ী আমাদের বাড়ি।বন্ধুত্বটা শুরুতেই হয়নি।আস্তে আস্তে জমেছিল আলাপ।সময় পেরিয়েছে যতো আমাদের বন্ধুত্ব ততটাই গভীরতা পেয়েছে এবং হয়তো বা শুধু বন্ধুত্বের গন্ডিতে থেমে থাকেনি।
ভালোলাগাটা ঠিক কবে শুরু হয়েছে তা বলাটা মুশকিল।হয়তো বা কোন এক বসন্ত বিকেলে কিংবা গ্রীষ্মের দুপুরে গাছের ছায়ায় পুকুরে ঢিল ছোঁড়া অথবা বড় রাস্তার ধারে ফুচকা খেতে খেতে আবার হয়তো বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আনন্দবাজার-এবেলা নিয়ে তর্ক করতে করতে।জয়ী বা আমি একে অপরের কতোটা খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়াতে পেরেছি জানিনা তবে দুজন দুজনকে প্রচুর ভালো সময় দিয়েছি যা অনেক খারাপ সময়কে ভোলাতে পারে।
তো আমাদের এহেন বন্ধুত্ব আর পাঁচজনের কাছে তেমন কিছু আলাদা নয় আবার হয়তো বা আলাদা।অনেকটাই আলাদা।কিন্তু আমি আর জয়ী আমাদের সম্পর্কটা নিয়ে কতটা আশাবাদী ছিলাম বা আছি কিংবা থাকা উচিত ছিল বা আছে তাও জানা নেই তবে আমরা দুজন দুজনের উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়তোবা একটু বেশিই।যেটা হয়তো হওয়া উচিত ছিলনা বা ছিল।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...