সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান


ভালবাসার শহর : ভিতরে এবং বাইরে  আদিত্য
( পর্ব ৩ )

 শহরের নাম কলকাতা নয় ! এখানে ভালবাসার জন্ম হয়েছে গোলা-বারুদ থেকে। ছোট থেকেই ওরা ভালবাসার মানে জানে ‘একে-ফরটি-সেভেন’ । রক্তের খেলা দেখতে ওরা অভস্ত। ওরা জানে এখানে ভালবাসা মানে মৃত্যু। না, কোনও সিনেমার ক্লাইম্যাক্স নয়। কোনও উপন্যাসের শেষ পাতাও নয়। একটা চরম বাস্তব। একটা ছুঁয়ে দেখা লাশের ঠাণ্ডা কিংবা মরা মানুষের গন্ধ পাওয়া বিকেলের হাহাকার! সারাক্ষণ মাথার ওপরে বিমান চলছে, সারাক্ষণ ভয় কুঁকড়ে খাচ্ছে একটা ছোট্ট শিশুকে।  একটা শহর, যেখানে  কোনও কাব্য চলে না! কেউ ভালবাসতে জানে না। শুধু নিজেকে  বাঁচিয়ে রাখার তাগিদ তাড়া করে বেড়ায় প্রতি মুহূর্তে! হ্যাঁ, বেঁচে থাকতে হবে! ব্যস, এইটুকুই তাঁদের পাওয়া। এর চেয়ে বেশি কিছুর আশা তাঁদের জীবনে গল্পের সমান। কিন্তু তাঁরাও তো আমাদেরই মতো কতগুলো নাট্য মঞ্চের অভিনেতা, তাঁদের তো ইচ্ছে করে উড়ে যেতে, কিন্তু তাঁদের উপায় নেই। তাঁরা শুধু মরতে জানে। এ শহরের নাম সিরিয়া, এটাও ভালবাসার শহর! সম্প্রতি ফেসবুকে আমরা অনেক বিদ্রোহের পতাকা উড়িয়েছি। কিছু কিছু কবি তো বসন্ত  উৎসবের লেখা ছেড়ে সিরিয়ার মেতেছে! ভাবলেও কষ্ট হয়, এরাই নিজেরদের রাজ্যের কোনও ঘটনায় নাক সিটকায়! আসলে বলেছিলাম না, ব্যবসায়িক মাল-মশলা খুবই কম আছে এ রাজ্যে। তাই সুযোগ না পেয়ে অন্য দেশের ঘটনায় বেশি মত্ত! তবে আমার বক্তব্য খুবই স্পষ্ট, সিরিয়া নিয়ে ক্ষোভ, দুঃখ কিংবা ভালবাসা যাই থাক, সেগুলোকে নিয়ে ফেসবুকে দয়া করে বিপ্লব করবেন না! এতে হিংসা আরও বাড়বে।
আর বেশিভাগ ফটো যে ফটোশপ করা, সেটা একটু বুঝে নিন। তবে একবারও বলছি না, সব ফটো! কিন্তু অধিকাংশ ফটোর মূলে রয়েছে জালিয়াতি! আর সেগুলোকে নিয়ে মেতেছে একদল বিদ্রোহী! আমার মনেও আপনাদের মতো তীব্র ক্ষোভ আছে, কিন্তু সেগুলো উগরে দেওয়ার জায়গা ফেসবুক নয়। আমারও গায়ে কাঁটা দিয়েছিল, যখন ঐ ছোট্ট শিশুটাকে ঘিরে ধরেছিল তিনটে বন্দুকধারী, আমারও ইচ্ছে করছিল , ক্ষমতার বাইরে বেরিয়ে ওদের শেষ করে দিতে। কিন্তু এটাও ভুললে চলবে না, ওদের জন্য শুধু প্রার্থনা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই! আগে নিজের ঘরটা সামলাই, তারপর তো বাইরের কথা ভাবব। যে শহরের পারদে পারদে এখন রক্ত জমে, তাকে বলব ভাল থেকো! ভাল থেকো ভালবাসার শহর।    

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...