সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অ্যানিভার্সারি পর্ব--2

--------------------------------------------------------------------------------------------AISHEE

মিঠি ওরফে সুচন্দ্রিমা বসু বালিগঞ্জ -র মেয়ে।
পুরো স্কুল জীবনটাই কেটেছে বাড়ির কাছে সাউথ পয়েন্টে।
অ্যাজ ইউসুয়াল বেশ কমবয়স থেকেই বেশ পাকা।
সিগারেট,হ্যাংআউট,হুল্লোড়,পার্টি-এসবই ওর লিভিং অ্যাটিটিউড।
তবে পড়াশুনো নিয়ে নো কমপ্রোমাইজ।প্রেসিডেন্সিতে পড়ার ইচ্ছেটা মিঠির ওই ক্লাস এইট-নাইন থেকেই।
টুয়লভে বোর্ডস রেজাল্ট আর মিঠির ইনটেলিজেন্স সেই সুযোগটা করে দেয়।
“আপনার পার্সটা মনে হয় পড়ে গেছে।”
কথাটা শুনেই পিছনে ফিরে মিঠি দেখে প্রায় ওরই বয়সি একটা ছেলে,চোখে চশমা,গালে হাল্কা দাড়ি-বেশ বুদ্ধিদীপ্তভাব রয়েছে চোখেমুখে।
মিঠিকে উদ্দেশ্যে করেই কথাটা বলে।
বাসের মেঝে থেকে পার্সটা কুড়িয়ে মিঠি হাল্কা হেসে বলে “থ্যাঙ্ক ইউ।”
আজ মিঠির কলেজের প্রথম দিন।
বেশ এক্সাইটেড।প্রেসিডেন্সি ওর অনেকদিনের স্বপ্ন।সাথে ইংলিশ অনার্স।কলেজ স্ট্রীট আসতেই নেমে যায় মিঠি।ক্লাসরুমটা বেশ বড়।
দুতলায় উঠে বাঁদিকে।পুরনো বিল্ডিং তো,বেশ অন্যরকম একটা গন্ধ রয়েছে।মিঠি গিয়ে ফার্স্ট বেন্চে বসলো।
নাহ্ চেনা কোন মুখ নেই।হঠাৎ দরজার দিকে তাকাতেই সেই বাসের ছেলেটা।
মিঠি চেনা মুখ দেখে একটু নিশ্চিন্ত হয়ে হেঁসেই হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল “হাই!সুচন্দ্রিমা হিয়ার...”উল্টোদিক থেকে রিপ্লাই এলো “স্বপ্নিল...স্বপ্নিল গাঙ্গুলি...এটা ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট তো?-হ্যাঁ।তো...কোনস্কুল?-ডি.পি.এস।ইউ?-সাউথ পয়েন্ট।
স্বপ্নিল ছোটবেলা থেকেই বেশ শান্ত।তার উপর নতুন মুখ।
তাই একটু আড়ষ্ঠভাবেই কথা বলছিল।প্রথমদিন...তাই ক্লাসের খুব একটা প্রেসার নেই।ইনট্রো আর টুকটাক আলোচনাতেই কাটছে।
ব্রেকে স্বপ্নিল কলেজের নীচের ব্যালকনিটায় বসে বই পড়ছিল।“সিগারেট চলে?” প্রশ্নটায় পাশে মুখ ফিরিয়ে দেখে সুচন্দ্রিমা।
স্বপ্নিল হেঁসে বলল “ওই মাঝেসাঝে।”“আচ্ছা তোর ডাকনামটা বলনা...ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড।” সিগারেট ধরাতে ধরাতেই বলল সুচন্দ্রিমা।-ডোডো।-ওকে।আমি মিঠি।
ডাকনাম ধরেই ডাকি?-হ্যাঁ হ্যাঁ ।কলেজের পর একই দিকে ফেরা দুজনের।তাই একই বাস ধরলো।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...