কিসের
ভিত্তিতে বলছি, আমরা ভাল আছি ? কিংবা ভাল থাকার
অভিনয় করছি! কুশমুন্ডি গ্রামের মেয়েটা ধর্ষণ হল। ধাতব পাত ঢুকিয়ে দিল ওর যৌনাঙ্গে।
আমরা তাও নিশ্চুপ। কোনও মোমবাতির মিছিল নেই। নেই কোনও আন্দোলন। শুধু ফেসবুকের ওয়ালে
মাঝেমধ্যে একটু চিৎকার। ব্যস, ওইটুকুই আমাদের
সম্বল।
আজ থেকে
বেশ কয়েক বছর আগে যখন মুম্বই শহরের কোলে নিরভয়া ধর্ষণ হয়েছিল, প্রায় একই ভাবে তাঁকেও
শোষণ করেছিল সমাজের কিছু কীট। সেইসময় কিন্তু আমরা গর্জে উঠেছিলাম! চারিদিকে ছড়িয়ে
পড়েছিল আন্দোলনের জোয়ার। মিছিল বাসা বেঁধেছিল শহরের শিরায় শিরায়! আসলে সেখানে অনেক
ব্যবসায়িক মাল-মশলা ছিল। শহরটা ছিল মুম্বই। মেয়েটা ছিল শিক্ষিত! তাই সকলের প্রিয়
পাত্র হয়ে উঠেছিল ওই তরুণী! খবরের শিরোনামে বারবারই
ঘুরপাক খাচ্ছিল তার কথা।
কিন্তু
আমাদের কুশমুন্ডি গ্রামের এই তরুণী কী দোষ করল? সে অশিক্ষিত বলে নাকি রাজ্যটার নাম
পশ্চিমবঙ্গ বলে ?
আমি
একবারেও জন্যও কাউকে অস্মমান করছি না। দুজনেই একই শোষণের শিকার। দুজনেরই পরিবার
একই যন্ত্রণা পেয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্নটা সেইসব বিদ্রোহীদের কাছে , আপনারা কোথায়
? কেমন আছেন ? কেমন আছে আপনাদের লোক দেখান বিপ্লব ?
একবারের
জন্যও গর্জে উঠেছেন ? মানবিক মূল্যবোধের হিসেব কষেছেন কখন ? ব্যবসায়িক শিরোনামের
খপ্পরে হারিয়ে গেছে আমাদের ভালবাসার শহরটা।
কখন
ভেবে দেখছ, কাল যদি আমরা কিংবা আমাদেরই কেউ এই শোষণের শিকার হয়, তখন কে থাকবে পাশে
? তখন নিজেকে খুব ক্ষুদ্র মনে হবে! বড্ড
অসহায় লাগবে এই ভালবাসার শহরে।
এখন
তো শিক্ষকদেরও সর্বনাশ! মাথায় হাত বোলালেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠছে! এখন তারাই
সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছে তথাকথিত অভিভাবকদের কাছে। তবে এটাও সত্যি, বেশ কিছু জায়গায় শিক্ষকদেরও বারবাড়ন্ত চোখে পড়েছে!
ঘটনার
ঘনঘটায় আমরা হারিয়ে যেতে বসেছি। ভালবাসতে ভুলে গেছি নিজেকেই। এই শহরটার ভিতরে এবং বাইরের
রুপ সবটাই আলাদা। সবটাই মিথ্যে এবং কাল্পনিক।
আমি
ভিড় হয়ে মিশে গেছি ভিড়ে, আরও ভিড়ে এবং আরও ভিড়ে……
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন