সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

charminar পর্ব--5

------------------------------------------------------------------------------------------------------------#ঐশী



দেখতে দেখতে ২০১৬-র বাকি দিনগুলোও কাটলো।

এলো ২০১৭।
“একসাথে ‘এক সাতে’ ”-দুজনেরই New Year resolution বলা যেতে পারে।

আবিরের কলেজে এটা last year.আর just একটা semester-ই বাকি ।তারপর তাকে North Bengal ফিরে যেতে হবে।তারপর আবার নতুন কোন জায়গা।২০১৬ -র মাঝামাঝি আবির একটি নামকরা I.T Company তে চাকরি পায়।B.Tech pass করার পরই হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই তাকে শুধু এ শহর নয়,এ রাজ্য ছাড়তে হবে।
এইসব পরিস্হিতি নিয়ে দুজনের মন বেশ খারাপ হলেও তারা ঠিক করে এই কয়েকটা মাস তারা নিজেদের মতো করে খুব ভালো করে কাটাবে।
চলছিল বেশ।তবু এদের ঝগড়ার বিষয়ের যেমন অভাব নেই,তেমন ক্লান্তিও নেই।যাইহোক সব মিলিয়ে মিশিয়ে এগোচ্ছিল।

June-এ Semester শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবির একটা মাস থেকেও যায় কলকাতায়।সেইসময় দুজনে মোটামুটি সারা কলকাতা ঘুরে memories recollect করে সাথে reestablish ও.খাওয়াদাওয়াটা তো compulsory।যাইহোক তারপরই আবিরকে ফিরতে হয় বাড়ি।

পুজোর ঠিক আগে আগে Mumbai থেকে ডাক আসে ।বলতে গেলে হাতে শুধু পুজোটা রচিতাকে দেওয়ার জন্য।
সবটা মিলিয়ে রচিতা যতটা খুশি ততটাই আবিরকে নিয়ে মনখারাপ।

তিনটে বছর চোখের নিমেষে কেটে যায়।রাগ,অভিমান,ঝগড়া,তিক্ততা আর অপার ভালবাসা-সব নিয়ে তিনটে বছর আর সাথে countless memories.

বাড়ি ফেরার পর আবির মাসে একবার করে কলকাতা আসতো।দেখা করতো ওরা।আগের মতো না হলেও একসাথে কিছুটা সময় কাটাতো।খাওয়াদাওয়া,পুরোনো জায়গাগুলোয় আড্ডা,specially নন্দন চত্বর-সব মিলিয়ে কাটছিল শেষ কিছুদিনও।পুজোর একটা দিনও একসাথে কাটায়,এমনকি রচিতার জন্মদিনেও ওরা দেখা করে।

দেখতে দেখতে এই দিনগুলোও পেরোয়।ঝগড়া ছাড়া বললে ভুল বলা হবে।
আবিরের যাওয়ার ticket ছিল CCU থেকে।

সময় তার নিয়মমতোই এসে হাজির হলো।October-র মাঝামাঝি একটি দিন।রচিতা দেখাও করতে যায় airport-এ।মনখারাপ হলেও আবিরের নতুন জীবন নিয়ে রচিতা ততটাই খুশি এবং উত্তেজিত।
“All well that ends well”-সবটা মিলিয়ে শেষটা খুব খারাপ ছিল না।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...