বছর
দশেক পর – (পর্ব ৫ ) / আদিত্য
বিবাহিত
কোনও মহিলা প্রেম করলে তাকে পরক্রিয়ার তকমা দেওয়া হয়। সমাজের চোখে সে নিম্নমানের হয়ে যায়। জয়ী, আমি কোনও
দিনই তোমার গায়ে আঁচর লাগতে দিইনি। শ্রদ্ধা করেছি চিরকাল। ভালবেসেছি একটা গল্পের মত।
বিশ্বাস কর, একটা শারীরিক সম্পর্ক শুধু ক্ষণিকের সুখ দিতে পারে, এর চেয়ে আর বেশি কিছু
নয়। আমাদের সম্পর্কটা এর চেয়েও বেশি ছিল। আমদের কেউই বেঁধে রাখতে পারবে না সময়ের বেড়াজালে। আমরা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছি।
মনে
পড়ে, আমি বলেছিলাম সময়টা সেখানেই থমকে থাকবে, যেখানে দাঁড়িয়ে তুমি বলেছিলে, সব ভাল
হবে, ঠিক সেখানেই সব থমকে আছে। আজও যখন বাড়ি থেকে বেরোয়, মনে হয় তুমি আছ। এখন দরজায়
দাঁড়িয়ে বলছ সব ভাল হবে। আমার পরীক্ষার সময় কিংবা আমার বেকারত্বের থেকে মুক্তি, সব
সময় আমার পাশে ছিলে একটা দেওয়ালের মত। তোমার কাছে মাথা রেখে আমি শান্তি পেতাম, যে শান্তি
আর কেউই দিতে পারবে না।
জানো,
এখন আমার ঘুম ভাঙানোর দায়িত্ব নেওয়া এক লেখিকা, এখন আমাদের গল্প নিয়ে কাটাছেঁড়া করছে।
যদিও আমিই দায়িত্ব দিয়েছি। আনকোরা তবে ওর ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। বেশ সাজিয়েছে আমাদের গল্পটাকে। জানো, এক অদ্ভুত কাণ্ড
ঘটিয়েছে এই লেখিকা। একটা বই কেনার জন্য প্রায় গোটা কলেজ স্ট্রীট চত্বর চষে বেরিয়েছে।
যদি বইটা খুব প্রয়োজনীয় হত, তাহলে বলার কিছু ছিল না। কিন্তু এয়ারপোর্টে বই হাতে ছবি
তুলবে বলে, এই কাণ্ড ঘটিয়েছে! ভাবলেও হাসি পায়। জয়ী, ও তোমার চেয়েও আনকোরা।
জানো
জয়ী, আমরা কাউকেই বুঝতে দিইনি আমরা কতটা অপরিণত ! তুমি বারবার বলতে “ আমি চাই না, তোর
দাদার সঙ্গে তোর সম্পর্কটা খারাপ হোক “ ! জয়ী আমাদের গল্পটাতো কেউই জানতে পারবে না,
হয়ত আমরাও না !
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন