সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্গ লেখার মত

----------------------------------------------সৌগত চ্যাটার্জি



অঙ্কে আমি খুব কাঁচা, ক্লাস ইলেভেনে দিলিপ স্যার একবার কানটা জোরে মুলে বলেছিলেন, তোর দ্বারা অঙ্ক হবে না।সারাটা শরীর কিড়মিড় করে উঠেছিল, লোকটা বলে কি, মাধ্যমিকে নব্বই পাওয়া ছেলেটা অঙ্ক জানেনা।
দিলিপস্যার যে ভুল বলেননি বুঝলাম গল্প লিখতে বসে।খেটে খুটে একটা মালকে দাঁড় করালাম উত্তর এল,ভালো লাগেনি।
দুঃখ লাগেনি, বেশ আনন্দের সঙ্গে কয়েকটা ক্যানভাস এনে ছবি আঁকলাম, তারপর একটা চিত্র প্রদর্শনিতে দেখা হল।নমস্কার জানিয়ে গল্পের কথা জিজ্ঞেস করতেই বলল,  অঙ্কটা মিলছেনা, এখন খুব জটিল, সব নির্মেদ।
-তারমানে কি উলঙ্গ?
-না, ততটা নয়, তবে পোশাকটা নেই?
-নগ্ন?
-হ্যাঁ, ঐ একটা ফিতে থাকবে, আর ওটাই লোক টানবে।এখনতো কিছু মাখামাখা নেই।সব ঝুরো ঝুরো।
-বুড়ো?
-কি বললেন?
-না মানে, শিখতে শিখতেই বুড়ো হয়ে যাবো।তবে একটা প্রশ্ন করব?একে গল্প কেন বলব, এটা তো একটা নগ্ন শরীর মাত্র।
-আকাশ দেখেছেন? অনেকে ক্যানভাস ভাবে।
-এখন বেশির ভাগ নীল আকাশের বদলে নীল ছবি দেখে।
-আপনার দ্বারা হবেনা, আগেই বলেছি তো।
-এটাই শেষবার একটু বলুন, প্লিস রাগ করবেন না।আচ্ছা আমি বলছি শুনুন, এখন গল্প কিন্তু গল্প নয় তাই তো?
-ঠিক।অনেকটা মোহের মত, কিছুসময় একটা আবেশ, ঐ বিদ্যুতের চুম্বক যেমন, যতক্ষণ বিদ্যুত ততক্ষণ সব, বুঝলেন তো।
-তারপর কেজিদর?
-আপনাকে কোনো গল্প পাঠাতে হবে না।আরো অনেক গল্পকার আমাদের পত্রিকাতে লেখার জন্য লাইন বসে দিয়ে আছে।
-আমিও তো দাঁড়িয়ে আছি।
-আপনাকে তো আমি লিখতে বলিনি।
-সভাতে আমিও তো ছিলাম।
-কুকুর গরুও তো ছিল।
-আপনি কিন্তু সেদিন বলেননি গল্পে, গল্প থাকলে হবে না, শুধু শক্ থাকতে হবে। পাঠক মানে গোষ্ঠী মানে যাদের গল্প না গল্প, কবিতা না কবিতা, আপনারা পাছান সরি ছাপান তারাও তো শক্ খাবে।
-আপনি বড় বাজে বকেন, একটা সাধারণ গল্প সেখান থেকে যোগ বিয়োগ, ভাগ কিছুটা গুন করে বেরিয়ে যেতে পারলেই গল্প নেমে অসাধারণ হয়ে যাবে।এর পর যিনি পড়বেন তিনি ভাববেন।
-তার মানে সবার জন্যে নয়, তাই তো?
-সব বিষয় কি আর সবার জন্যে হয়?
শ্বাস কষ্ট হচ্ছে আমার।সেই দিলিপ স্যার।আরে বাবা বললামই তো অঙ্কে কাঁচা আমি।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...