সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বছর দশকে পর- পর্ব ২


----------------------------------------------------------------------------------------------আদিত্য


অনেকটা জল বয়ে গেছে নদী দিয়ে। পাথরগুলো আরও ক্ষয়ে গেছে। মরছে ধরেছে ব্রেনে। আমি তখন উদাসী এবং একা। কাজ নেই। একটা বাঙালি মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে হয়ে ঠিক এই সময়ে যে চাপটা আসে, সেটাই আমায় তখন সূক্ষ করে দিয়েছিল।  আটপৌরেও দিনে দিনে থমকে যাচ্ছিল। কোন শো নেই। রোজগারের রাস্তাটা প্রায় বন্ধ। শুধু হাতে গোনা কয়েকটা সেলিব্রিটি ইনটারভিউ ছাড়া। আদতে যতই ব্যস্ততা দেখাই, আমি কিন্তু চূড়ান্ত মনমরা। কিন্তু কাউকেই বুজতেই দিতাম না। এমনকি তোমাকেও না।
প্রায় এক বছর পর আমাদের দেখা হ্ল। ঠিক যেমনটা হয় প্রতিবছর পুজোর সময়। তবে এবারে নতুন সংযোজন সৃজা। এই ছোট্ট মেয়েটা আমাদের গল্পের একটা নতুন অধ্যায়। প্রথম কয়েকটা দিন একটা আত্মীয়তার ঘোরে কেটে গেছিল। তারপর শুরু হ্ল একটা কঠিন পথ।
একদিন জিজ্ঞাসা করলাম,   আজ বিকেলে বেরোবে নাকি ? “
-“ হ্যাঁ! কিন্তু কি বলে বেরোব ? “
-‘’ বলবে আমার সঙ্গে যাচ্ছ “
একটু ইতস্তত হয়ে বললে , -“ মা কি ভাববে ? “
-     “ কিছুই ভাববে না “
-     “ আচ্ছা, তুই আগে বেরিয়ে দাঁড়িয়ে থাকিস । আমি পরে বেরিয়ে দেখা করে নেব “
-     “ আচ্ছা, তাই হবে “
সেদিন থেকেই আমাদের লুকিয়ে দেখা করা শুরু। এখন ভাবলে আশ্চর্য লাগে, একই বাড়ির মধ্যে থেকে আমরা লুকিয়ে দেখা করতাম। প্রথম উদ্দেশ্য ছিল আমরা রোগা হব। তাই হাঁটতে বেরচ্ছি। আসলে ওটা দুজন দুজনকে সান্তনা দিতাম। পরে এই লুকিয়ে দেখা করাটায় আমাদের পেয়ে বসল। সারাদিনের জমানো কথা গেল মুক্তি পেত এই বিকেল বেলায়। পরের দিকে যত রাগ, অভিমান সবই নাম পেত এই বিকেগুলোয়।
জানো জয়ী আমাদের একসঙ্গে হাঁটতে দেখে অনেকেই বলেছে, “ তুই কি বিয়ে কিরেছিস ?  ওটা তোর বউ ? “
আমি উত্তর দিতাম না। এরিয়ে যেতাম। জানি না, ঠিক কতটা রোগা হয়েছি, তবে মাথার মধ্যে যে মেদগুলো জমেছিল, সেগুলো এখন গলে গেছে।
আমি কোনওদিনই ব্ল্যাক কফি খেতাম না, তাও আবার চিনি ছাড়া। তোমার সঙ্গে যে সন্ধ্যেগুলো কাটিয়েছি, সেগুলো আমার অভ্যাসকে পাল্টে দিয়েছে জয়ী। তুমি আমাকে বদলে দিয়ে চলে গেছো। এই পারিবারিক পলিটিক্সে তুমি জিতে গেছো।
জানো, তোমার প্রতি যে ভালবাসা ছিল, সেখানে শুধু শ্রদ্ধা ছিল। আমি কোনদিনই তোমার গায়ে আঁচড় লাগতে দিইনি।
আমারা কথা বলতাম সাহিত্য নিয়ে। কথা বলতাম কবিতা নিয়ে। আস্তে আস্তে আমারা একে অপরের অবসরের সঙ্গী হয়ে গেছিলাম। একদিন বললে, “ এই তিনমাস কি করব ? “ আমাকে নাটক দলে একটা সুযোগ দিবি ?” আমি বললাম, “ নাটকের দলে সুযোগ দিতে পারব কিনা জানি না , তবে আটপৌরেতে ভয়েস ওভার দিতে পার “ । তুমি বললে “সেটা কি ?” “ কিছুই না। কোন গল্প কিংবা কবিতাকে রেকর্ড করে আপলোড করা ।“
তুমি এককথায় রাজি হয়ে গেলে। জানো, আমারা আস্তে আস্তে এক হয়ে যাচ্ছিলাম। আমারা একটা নতুন উপন্যাস শুরু করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু………………   



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...