বছর দশেক পর – (পর্ব
৬ )/আদিত্য
জয়ী,
আমি বলতাম না আমাদের মধ্যে একটা ছকবাঁধা খেলা জন্ম নিয়েছিল। তুমি প্রতিবারই অস্বীকার
করেছ । শুধু এড়িয়ে গেছ। আসলে তুমি কোনও দিনই চাওনি আমি তোমার কাছে আসি। শুধু দূর থেকে ভালবেসে গেছো। জানো, তোমাকে
নিয়ে একটা ভুলে-ভরা পর্ব করতে ইচ্ছে করছে। জয়ী, প্রতিদিন রাতে আমি তো শুধু তোমার জন্যই
জেগে থাকতাম। তোমার ভয়েস মেসেজ না পেলে আমার ঘুম আসত না। জানো, তোমাকে যখন আটপৌরের
দায়িত্ব দিই, তখন প্রচুর ভিউয়ারস কমে যায়। তাও নেশার ঘোরে তখন হয়ত কিছু বলিনি। সহ্য
করে নিয়েছিলাম। অনেকসময় তুমি ইচ্ছে করে দরজা বন্ধ করে রাখতে, যাতে আমাকে না দেখতে পাও।
অনেকসময় ফোন ধরতে না। ইচ্ছে করে লুকিয়ে থাকতে আমার থেকে। যাওয়ার সময়ও আমাকে কাঁদিয়ে দিয়ে গেছো। কিন্তু এই বুড়ো- বুড়িকেও ছাড়নি। সবাইকে বলে গেলে,
শুধু তাঁদেরই ভুলে গেলে। অনেক আশা নিয়ে তাঁরা তোমার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু তুমি চলে
গেছিলে। জয়ী, তুমি আর তোমার শাশুড়িকে নিয়ে
একটা বাংলা সিরিয়াল হয়ে যায়। জানো, তোমাদের এই মেঘ বৃষ্টির প্রেম দেখলে আমার গায়ে ফোস্কা
পড়ত।
জয়ী,
তুমি আদতে প্রচণ্ড আনকোরা। জানো, আমরা যদি কোনওদিন এক হতে পারতাম, আমাদের যদি সম্পর্কটা
অন্য হত, তাহলে হয়ত তোমাকে এতটা ভালবাসতে পারতাম না। এই সম্পর্কটা অন্য বলেই এত
টান অনুভব করি। আমরা খাতায়- কলমে একটা গল্পের মতো। শুধু আনমনে পাতা উল্টে যাওয়া।
তোমার
শরীরে এখন সেই যৌবন নেই, যা দেখে আমার বয়সী একটা ছেলে তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাবে।
কিন্তু যা আছে, তা হয়ত এর থেকেও বেশি।
তুমি
যখন যার কাছে থাকো, তার কাছেই সেরা হয়ে ওঠো। এটা তোমার সহজাত প্রবৃত্তি। আমি পারি
না। তুমি কতবার বলেছ, সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে, কিন্তু আমি পারিনি। জানো, ডুয়ারসে
গিয়ে গাঁজা পর্যন্ত খেয়েছি। তুমি বারণ করেছিলে, কিন্তু শুনিনি। তোমায় ছুঁয়ে কথা
দিয়েছিলাম, কিন্তু সেই কথা রাখতে পারিনি। জয়ী, তুমি কল্পবিজ্ঞানের রুপকথা হয়ে জন্মাও!
আমি তোমায় আবার ভালবাসব। জয়ী, আমার শরীরের প্রতিটা খাঁজে এখন তোমার গন্ধ লেগে আছে।
আসবে ফিরে আবার ? আবার আগের মত ভালবাসতে শিখিয়ে দেবে এক পাগলকে ? আমি আবার তোমায়
জড়িয়ে ধরতে চাই। একটা “জাদু-কি-ঝাপ্পি। ”
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন