রাত্রির গভীরতা মাপতে মাপতে,
কখন যেন সকাল হয়ে যায়,
তোমার মাঝে ডুবতে ডুবতে,
কখন যেন শ্বাসরোধ হয়ে যায়।
তারপর এসে যায় দৈনন্দিন মৃত্যু,
ভেসে ওঠে একটা নিস্তেজ লাশ।
তোমার বুকের মহাসমুদ্রে -
কোথায় কী একটা খড়কুটোর মত ভেসে রইল,
তাতে তোমার কী-ই বা এসে যায় ?
একদিন এই লাশ গলবে, সৎকার বিনা -
গলে-পচে দুর্গন্ধ বেরুবে তোমার বুকের প্রচ্ছদে,
দুর্ভোগ নিয়তির মতন উৎসব করবে মাংসাশী শকুন!
তারপর ?
তারপর মিশে যাবে আমার সব তোমার সবেতে,
তোমার অতীত পচা একটা রক্তহীন শব,
অপারগ তুমি বয়ে নিয়ে বেড়াবে আজীবন।
মৃত্যু সত্ত্বেও তোমার বুকের সলিল সমাধিতে,
চিরন্তন স্থায়ী হওয়াটাই কি আমার স্বর্গপ্রাপ্তি নয়,
এই কি পরম প্রাপ্তিতে পূর্ণ হওয়া মৃত্যুকামনা নয়,
এই কি নয় নিরেট মুমূর্ষু প্রণয়ের পরম আরোগ্যজয়।
যদি খেয়াল পড়ে কখনো,
ভেবো কতটা আমাকে ভাসালে,
কতটা হারালে নিজেকে,
কতখানি ছিল সংকল্প তোমার,
তার কতখানি লাভ করলে।
জিততে গিয়ে আত্ম-অধিকারের দ্বন্দ্বে,
কতটা পঙ্গুত্বে অন্ধত্বের পরাধীনতায় বন্দী হলে নিজেতে।
কী আশায় বাঁচতে গিয়ে,
কতবার আত্মহত্যা করলে নিজেকে।
আমার তো জীবন মানেই,
প্রতিরাতে তোমাতে খুন হওয়া...।।
(চয়ন পন্ডা মহাপাত্র)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন