সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
পর্ব-৩ 
মাধ্যমিক পাশ র পর কলাবিভাগ এ এডমিশন নেয় পুপু সেকসন- বি, সেখানেই পরিচয় হয় সায়নী বিপাশা এবং ঐশী,বলাই বাহুল্য ঐশী র সাথে তার পরিচয় যদিও রামকৃষ্ণ মিশন থেকে, একই বেঞ্চে বসত তারা সাথে অনিশা,ঋতু,সায়ক ও দেরি করে আসলে গীতশ্র আন্টি ওর অনিচ্ছায় তাদের পাশেই বসাত, এখন সবাই আলাদা ইস্কুল এ পরে, রাসমনি র দিনগুলো পুপুর কাছে খুবই চনমনে ছিল একই সঙ্গে বসবে বলে বেঞ্চ ধরতে কোন দিন আগে আসতে হত বিপাশা কে কোন দিন সায়নী কোনদিন পুপু... সেবারে শাহরুখ এর নতুন মুক্তি পাওয়া মুভি রা ওয়ান নিয়ে আলোচনা চলছিল সবাই মিলে গাইছিল ওয়ানা বি মাহ ছাম্মাক ছাল্য আর তাতে পা মিলিয়েছিল পুপু এবং স্মৃতিকনা পিছন থেকে যমদূত র মতো আগমন ঘটেছিল রূপালী দি র , সিক্রেট সুপারস্টার রা মুখে কুলুপ এঁটে বসে গেল
কিন্তু তাতে শেষ উদ্ধার হলো না, "আজ টিফিন বন্ধ তোমাদের " আরও বলেছিলেন কত কি .. এর চেয়ে" আর তোমাদের ক্লাশ নেবনা" এটা অনেক শান্তি র বানি হত তাদের কাছে,ক্লাশে শান্ত তথা ভদ্র মেয়েদের মুখগুলো হয়ে উঠেছিল কাশ্মীরী আপেল।
এইসব করে দিন কাটছিল পুপু র ভালই। এর মধ্যেই লাইব্রেরিতে প্রবেশ করেছে নতুন লাইব্রেরিয়ান তাও আবার মেল..ভোলাদা,অসীম স্যার ছাড়া তৃতীয় মেল সদস্য টি কে দেখতে ভিড় উপচে পড়ার মতন।
বেচারা এর কারন না বুঝলেও টুটুলদি র বুঝতে অসুবিধা হয়নি সকলের হঠাত্ এই লাইব্রেরি প্রেমী হওয়ার কারন, এরপর শুরু হয়ে যায় টেস্ট একাজাম ,বিদায়ের ধ্বনি শুনতে পায় সবাই কমবেশি,
আজ এডমিট কার্ড দেবে সবাই এর
ফুরফুরে প্রাণবন্ত মুখ গুলো কেমন যেন ফ্যাকাশে,আর দেখা হবেনা এই কঠিন সত্যি টা বুকে চেপে এডমিট নিয়ে বিদায় নেয় সব।
পরীক্ষা আজ শেষ,বিকালে পুপু একটা নেট কার্ড ভরিয়ে মুখপুস্তিকা টিতে লগ ইন করে, দেখে তার একটি পোস্ট এ কমেন্ট করেছে বাবাই নামক এক ছোকরা,পুপু প্রোফাইল চেক করে,কিন্তু বাবাজি তো ফ্রেনড লিস্ট এ নাই,কিন্তু মুখটা কেমনজানি চেনা তার...আগে কোথাও দেখেছে... সন্ধ্যা বেলায় একাউন্ট্ টা খুলতে না খুলতেই তার তরফ থেকে আসে ফ্রেনড রিকোয়েস্ট,
তাহলে? সেতো আসেনি আগে , বাবাই এগিয়ে এসেছিল বন্ধুত্ব র সম্পর্কে তাকে বাঁধবে বলে
তারপর ঐ যে,
১৫ ই সেপ্টেম্বর যেদিন সে....
বেজে ওঠে সকাল ৭ টার এলার্ম, হুড়মুড়িয়ে উঠে পরে পুপু,তার সাথে আজ ১৫ বছর পর এসব কী যে হচ্ছে তা বুঝতে চেষ্টা করতে পারার আগেই নিচে দিয়ে
মা- পুপু রেডি হও মুশাফীর কাকু এসে পরবে ।
পুপু- আসছি মাআআআ তুমি চা টা বসাও

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...