সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
পর্ব-২,
মা-দরজা টা খোল পুপু লক্ষী মা আমার,দেখ না যদি আবার সব আগের মতন..
পুপু-ডোনট্ টক রাবিশ মা,কোথাকার কার চিঠি,তুমি এখন যাও কাল আমার ক্লাইনটের জামিন টা করাতেই হবে,কেসটা নিয়ে স্টাডি করতে হবে।
চোখ মুছতে মুছতে মা নেমে গেল নিচে, মাকে মিথ্যে বলে কাটিয়ে দিলেও মনটাকে একটু ও শান্ত করতে পারছেনা সে.. এতো বছর পরে এসব নাটকের প্রয়োজনীয়তা টা কী সে বুঝে পেল না
বই টই নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলেও এতদিন পর এসব চিঠির কি মানে সেসবই ভাবাচ্ছিল তাকে.. রাত আরও গভীর হয়,
মা- পুপু ভাত খেতে এসব অনেক পড়াশোনা হয়েছে।
পুপু-খেতে মন নেই মা
মা-এসব আমার বাড়িতে চলবে না শিগগির এসো বলে দিলাম
মা এর এই রাগ তার চেনা তাই অগত্যা তাকে নামতে হল চোখে মুখে জল দিয়ে।ভাত খাওয়ার ইচ্ছে তার আজ একদমই নেই অথচ আজ তার ফেবারিট সরষে ইলিশ,
মা চিঠির ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এরকম কিছু বুঝতে পেরে পুপু থালা ছেড়ে উঠে পরে।
পুপু-মা শুতে গেলাম কাল মুশাফীর কাকু যেন ৮ টায় গাড়ি নিয়ে আসে বিকোস প্রথম হিয়ারিং টা আমার,গুড নাইট
এর বেশি কিছু বলবেনা বলেই তাড়াতাড়ি করে সিঁড়ি দিয়ে উপরে নিজের ঘরে চলে যায়,আলো অফ্ করতে গিয়ে হঠাত্ চোখে পড়ে নোটিফিকেশন লাইট টা ফোনের জলছে নিভছে হাতে নিয়ে লক্ স্ক্রিন টা খুলতে যাবে অমনি "বাবাই(সাহেব) কলিং " নিজের পুরনো নাম্বার তথা সিম বদলে ফেললেও কনট্যাক্টস থেকে কোনো নাম রিমুভ করেনি সে। কিন্তু নাম্বার টা আর সেম নেই তো তাহলে পেল কি করে? ঐশী? কিন্তু ও তো সব জানে কেন এরকম করল তাহলে, প্রচন্ড রেগে ল্যান্ড লাইন থেকে ফোন করে ওকে,নিজের রাগ জেদ আত্মসম্মান সেগুলোকেই নিজের করে শিলিগুড়ি তে একাই থাকে সে, হ্যালো,কী হয়েছে এত রাতে কেন ফোন করছ মামনি তোমার তাহলে আজ..
পুপু- তুই সাহেব কে কেন আমার নাম্বার টা দিয়েছিশ?
ঐশী- হোয়াট? আমি কেন বাবাই কে তোর নাম্বার দেব ১০বছর হল কোন কথা নেই ফেসবুক ছবি আপলোড করলে জাস্ট দেখি, কিন্তু এত বছর পর তুই এসব আবার
পুপু- তুই দিস নী?
ঐশী-অন গড,কিন্তু ...
পুপু-ওকে সরি,গুড নাইট
ঐশী- হ্যালো পুপু শোন পুপু ....
টি টি টি শব্দ ফোন কেটে যায়,
অসম্ভব বিরক্তি নিয়ে ফোন টা ফ্লাইট মোডে রেখে কোনমতে চোখ বুজে নেয় সে।
মস্তিষ্কে ভিড় করে লাল নীল স্মৃতি।
কেন ফোন করছে? কি চায় ও।
আমি তো ছেড়ে যাইনি নিজের ইচ্ছেয় গেছিল
সেদিন নিজেই তো দেখা করতে চাইল খুব নাকি জরুরি, আমি টিউশন অফ্ করে ও গেলাম ইটটু খানি দেরি হওয়াতে সে কি মেজাজ সাহেব র
মেম(পুপু) তোকে তাড়াতাড়ি আসতে বললাম তো কি করিস এতো...,
মানেটা কি? আজ সানডে,ওনেক বারুইপুর লোকাল কেনসল থাকে জানিসনা?
ঠিকআছে শোন তোর সাথে আর দেখা করা পসিবল নয়...
কিন্তু কেন সাহেব? পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে গাল বেয়ে জল পড়ে পুপু র
চোখের পাতায় নেমে আসে ঘুম ...

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...