সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
পর্ব-৫
পুপুর ক্লাইন্ড রাজু ওরফে চন্দন দাস,দারিদ্র্যের স্বীকার হয়ে বাড়িতে বাড়িতে দুধ দেয় এবং মাসের শেষে টাকা সংগ্রহ করে এনে মা র হাতে তুলে দেয় বাবা ছিলেন ক্যান্সার র পেসেন্ট্ টাকার অভাবে বিনা চিকিত্সায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল যখন রাজু তখন ৫ বছর, রাজু এখন ১৪, ফ্ল্যাটে নিজের ভাগ্নিকে শারীরিক অত্যাচার করছিল কাকা বেচারা রাজু সেই সময় ই নুপুর কাকী র ঘরে দুধ দিতে আসে,ব্যাস ঘটে যায় পুরনো সেই রীতি গরিবদের কে শোষণ করা, রাজুই করেছে ওসব , কেউ বিনা পয়সায় রাজু র কেস লড়তে চায়না অগত্যা পুপু ই সেজেছে তার উকিল বন্ধু।ডিফেনডান্ট এবং প্লেনটিফ র অনেক প্রসিড, এবং অবজেকসন ওভার রুলড্ র পর জুভেনাইল জেল থেকে বেকসুর খালাশ পায় রাজু। রাজু কাছে এসে ভাঙা ভাঙা ভাবে বলে থ্যাংকু উকিল দিদি। পুপু-ইউ ওয়েলকাম বেটা , কোন ক্লাস এ পরিস তুই?
রাজু- (মাথা নিচু করে বলে) আমি পড়িনা গো,
পুপু- কেন?
রাজু- মা বলেছে গরীবদের প্ড়াশুনো করতে নেই,
পুপু খানিক চুপ করে থাকে এতটুকু ছেলে এসব কী বলছে সে, রাজুর মাকে ডেকে পুপু বলে পুপু- কাল ই ওকে আমার কাছে নিয়ে আসবে আমি ওকে পড়াশুনো শেখাব।চোখ ভর্তি জল নিয়ে কাছে এসে রাজুর মা বলে "মা বাবা লোকনাথ তোমার মঙ্গল করুন সুখী হও মা স্বামী সন্তান নিয়ে জগৎ আলো করে বেঁচে থাকো।" 
বুক টা মোচর দিয়ে ওঠে তার খানিকখন চুপ থেকে রাজুকে একটা চকলেট দিয়ে বলে কাল আসিস মনে করে, দূজনের উদ্দেশ্যে মৃদু হেসে হনহন করে বেরিয়ে যায় সে। মুশাফীর কাকু পুপুকে ডেকে নেয়, গাড়ীতে উঠতে যাওয়ার মুখে দেখে রাজভবনের পাঁচ নম্বর গেটের মুখে কে এক দাঁড়িয়ে পুপুকে উদ্দেশ্য করে হাতটা দুলিয়ে ঈশারা করছে,দুর থেকে মুখটা অস্পষ্ট হলেও দাঁড়ানোর ভঙিমা ,উচ্চতা তার চেনা শরীর টা কাছে আসতে থাকলে তার আর কোনো সংশয় থাকেনা এটা বুঝতে ওটা তার সাহেব তাড়াতাড়ি করে গাড়ীতে উঠে পরে এবং মুশাফীর কাকু কে বলে গাড়ী জলদি ছোটাতে..,
গাড়ী বাবাইকে পাস করতে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায় মুশাফীর হক্ "দাদাবাবু কবে এসেছ ? কোথায় চলে গেছিলে?মেম দিদি তোমার জন্য.., কথা শেষ না করতে দিয়ে ধমকে ওঠে পুপু।
বাবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে, একসকিউস মী ,সাইড প্লিস..চোখে চোখ মেলানোর সাহস হলোনা পুপুর তাই বিকেল ৫টায় ও সে সানগ্লাস টা লাগিয়ে নেয় এবং বলে মুশাফীর কাকু লেটস গো, দিদিমনি সাহেব দাদা গো চিনতে পারছনা? না চিনিনা তুমি যাবে না ওলা বুক্ করব?
চোখ মুছে নিয়ে গাড়ী স্টার্ড দেয় মুশাফীর। বাবাই- মেম, মেম শোন মেম তোর কাছে ফিরতে চাই মেম আমি সব ছেড়ে চলে এসছি ,একবার শোন
কী হল তুমী যাবে না গাড়ী থেকে নামব?
পুপু র মুখে ঠিকরে পড়ছে অভিমান,রাগ,যন্ত্রনা
বাবাই-মেম প্লিস তোর সাথে একবার দেখা করতে চাই মেম শোন লক্ষী আমার 
গাড়ীর জানালার মধ্যে দিয়ে পুপুর হাত ধরে সে..
বাবাই- মেম , মেম প্লিস গিভ মী আ চান্স
১৫ বছর পর সেই উষ্ণ হাতের ছোঁয়া তার সব কিছু তোলপাড় করে দিচ্ছিল...
কোনরকমে হাতটা সরিয়ে পুপু উওর দেয়
পুপু- সরি স্যার, আই থিনক ইটস্ আ লিটল মিসটেক্,
আই আম নট ইওর মেম, মাইসেলফ জান্নাত হাসান
হ্যাভ আ গুড ডে স্যার,(হাসি)
গাড়ীর কাঁচ তুলে সাহেবকে উপেক্ষা করে চলে যায় সে, সানগ্লাশে লুকিয়ে থাকা চোখ দুটো তখন অলরেডি জলে ভরে গেছে তার.. গাল বেয়ে পড়তে থাকে অশ্রু ধারা, কেন এসছে ও? কী ভাবে নিজেকে যখন খুশি ছুড়ে ফেলবে যখন খুশি কাছে টানবে? না আর না, চলে যাওয়ার দিন অবধি তাকে জানায়নি,বারবার ফোন না ধরায় সেই তো তার মা কে ফোন করে আর উনিই বলে আজ রাত ৮ টায় ফ্লাইট । ছুটতে ছুটতে এয়ারপোর্ট পৌঁছেছিল পুপু, তারপর বারবার ফোন করে তাকে রিসিভ করেনি সে.., চতুর্থ বারের মাথায় "দ্য নাম্বার ইউ আর ট্রায়িং ইস কারেন্টলি সূইচড অফ" টি টি টি শব্দে কেটে যায় ফোনটা।
রানওয়ে থেকে ছুটে প্লেন উড়ে যায় আকাশে.. সেসব দিন ভোলেনি সে.. কিন্ত এই কোর্ট এই যে কাজ ছিল তার জানল কী করে?
কে দিল হদিস? মা?
না না মা কেন .., এসব ভাবতে ভাবতে বাড়ী এসে যায় তার,
বিষন্ন মন নিয়ে বাড়ী প্রবেশ করে। ড্রয়িং রূমে প্রবেশ করতে না করতেই হাত থেকে ফাইল পড়ে যায় তার সামনে সব আবছা লাগে এবং জ্ঞান হারায় সে...

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...