সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

...একটা রাস্তার গল্প...

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------by Nilanjan




প্রথম খণ্ড...

গ্রেফতারের শেষে,কিছু চলার শব্দ খালি শুনতে পাই...
রাস্তা চলেছে,রাস্তার সাথে,আরও এক রাস্তা হারানোর দেশে...

ঘুম-বালিশের নীচে,একটা সত্যি ঠিকানা লেখা...
যদি কাউকে সেটা জিজ্ঞেস করি,তবে সে এলোমেলো কিছু আকিবুকি কেটে দেবে...
অবোধ কিছু চোখ,অন্তত সেটাই আশা করে...

আমি হাটব ডানদিক ধরে...
আমি হাটব বামদিক ধরে...
সত্যি ঘটনায় কিছু মিথ্যে থাকেনা বলেই জানি...
হোঁচট খাবো না...বাড়তি কিছু রাস্তা আছে...
সেটাও পার হতে হবে...

বাড়ির দরজা পেরোলেই, রাস্তাটা সোজা চলে যাচ্ছে...
খুচরোর অভাবে আমার শহরে বাস অটো নেই...
অনেক গুলো সারি সারি দাড়ি কমা...আছে জমা...
ব্যবস্থা ছুটতে ছুটতে দিশেহারা...
নিজের মতামতে সে আত্মসংবরণের পথ খুঁজে বেরাচ্ছে...

ডানদিক ধরে হাটলে,পায়ের রক্তের ছাপ অদৃশ্য হয়ে যায়...
সব ধুয়ে মুছে সাফ...
মুঠো মুঠো কাঁকড়...
সবটাই ছায়াপথের ম্যাজিক...

সামনের রাস্তায় ছায়াপথরা ডানদিক ধরে চলে...
ভয় হয়...যদি ছায়াদেরও সংঘাত হয়...

মনে মনে একটা স্বপ্ন দেখি...
সেটা ভেঙে চুরমার...
মনের ভেতর একটা সত্যি...
চেনা রাস্তার সংসার...




দ্বিতীয় খণ্ড...

একটা পুরোনো Roadmap আছে আমার...
ঝেড়ে মুছে রোজ দেখি...
কোনো জায়গায় ছেঁড়া, অস্পষ্ট...
হয়তো কিছু কিছু আড়াল হয়ে আছে, আমার এত শত স্বপ্নের তলায়...
ঘড়ির কাঁটার মতো, সেটাও তো উল্টোদিকে ঘুরতে পারতো?


আজ শুক্রবার, পোস্টারের নায়কদের বড় হয়ে ওঠার পালা...
আর আমার বড় থেকে ছোট...
অনেক অচেনা দুজন হেঁটে যাচ্ছিল...
তারাও নাকি ভালোবাসতে চায়...
রাস্তা নোংরা করার স্বভাব আমার ছোট থেকেই...
আমিও সুন্দর হতে পারতাম...
কিন্তু আমার অগোছালো রাস্তা...
এক মধ্যবিত্ত উদ্দেশ্যে...
দুপুর থেকেই এক ভীষণরকম ব্যস্ততার অস্থিরতার মাঝে,আমি অভিভাবকহীন...
যত দূর চশমা পৌঁছায়, তারপর আমি অনেক ভীতু...
চোখ খুলতে পারছি না...
স্বপ্ন যে অনেকটা বাকি...
পথের ধারে, সেই ঠাসাঠাসি ভীড়...
ওরা রোজ শেষে পৌঁছে আবার শুরু করে...
যে রাস্তাটা সব কেড়ে নিয়ে গেছে, সে হয়তো সমুদ্র হবে...
আমার শোয়ার ঘরের দেওয়ালে তার আইন-কানুন আঁকা আছে...
'দইওয়ালা', 'দইওয়ালা'...
বলোনা 'অমল' কোন পথে গেছে...?????
রাস্তার চারপাশে আমিই 'নিয়মভঙ্গ'...আমি 'রাজা'...হতে পারি, আমি 'নগ্ন'...
তবুও আমার শহরে সেই শিশুর দেখা পাইনা...



picture taken by: Sushovan Mukherjee

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...