কলকাতা
পাড়া–বেপাড়া-যাত্রাপাড়া
খোলা আকাশ, তার নিচে ছোট্ট মঞ্চ, জোরালো আওয়াজের সাথে ডায়লগ
সামনে মাটিতে বসা বেশ কিছু দর্শক, ঠিক তারপরের সারিতেই কিছু চেয়ারে বসা
দর্শক...... হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন আমি যাত্রার কথাই বলছি। এক সময় বেশ রমরমিয়ে চলত
কিন্তু এই জিনিস। শোনা যায়ে যে ১৫০৭ সালে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু এই যাত্রার সুচনা
করে ছিলেন। যাত্রাটি ছিল- রুক্মিণী হরণ। শ্রী চৈতন্য নিজেই রুক্মিণীর পাট
করেছিলেন। যাত্রাটি চলেছিল সারারাত। আস্তে-আস্তে এল নতুন গল্প, নতুন গান এবং
যাত্রা জন্ম দিল এক নতুন থিয়েটার কে। ক্রমে যাত্রা সুধু গ্রাম-বাংলাতেই নয়, ছড়িয়ে
পড়ল শহর কলকাতা-এ। যাত্রা কারবারিরা সব আস্তে আস্তে শহর এ তাদের আপিশ খুললেন আর
চিতপুর হয়ে উঠল আজকের যাত্রা পাড়া।
১৯৭০ থেকে সিনেমা পেতে থাকল প্রাধান্য। যাত্রা চলে যেতে লাগল লোক চক্ষের দূরে।
লোকের মন বসল রুপলি পরদায়ে আর আজ যাত্রা প্রায়ে বিলুপ্ত এক আর্ট। তবুও এই চিতপুরের
রংচং-এ পোস্টার মারা রাস্তা গুল যেন আজ প্রান জুগিয়ে চলেছে যাত্রাকে।
লোকের মতে এই পাড়া তৈরি হয়েছিল জমিদার আমলে। বিভিন্ন যাত্রার আপিসের মধ্যে
উল্লেখযোগ্য কিছু আপিস হল- তপবন নাট্য কমপানি, ঠাকুর নাট্য কমপানি, মুক্তামঞ্জরি ও
যাত্রালোক। কিছু পোস্টারে বেশ কিছু বাংলা সিনেমার অভিনেতাদের দেখা যায়ে। আএ যাত্রা
আপিশের লোকের বক্তব্য যে তারা অনেক টাকা পায়ে বলেই আসে। তবে তারা এও বললেন যে
কলকাতায়ে যাত্রাপালা হয়না বললেই চলে। সবচেয়ে ভাল ব্যাবসা হয় দোলএর সময়। দোলতো প্রায়ে এসেই গেল, একটা যাত্রা দেখা
যাক তালে? কি বলেন?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন