সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কলকাতা বইমেলা, কলকাতা প্রাণমেলা II

কলকাতা বইমেলা, কলকাতা প্রাণমেলা II
এক, ট্রেনেই আলাপ হয়েছিল মন্দিরা ও তার সদ্য বিবাহিত স্বামী সন্দীপ নায়েকের সঙ্গে I আমি তখন বিনা টিকিটের যাত্রী, রবীন্দ্র ভারতী’র ছাত্র I ডাকসাইটে সুন্দরী মন্দিরা মুড়াগাছা বা ধুবুলিয়া ষ্টেশনে নেমে যাওয়ার আগে একটা ভিজিটিং কার্ড আমার হাতে দিয়ে বলেছিল, যোগাযোগ রেখো I তারা নেমে যাওয়ার পর কার্ডে চোখ রেখেই চক্ষু চড়কগাছ ! পুনশ্চ !!
দুই, নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের পর আমার জানা আর একজন সুভাষ হলেন সুভাষ দত্ত I খবরের কাগজ পড়েই তাঁর এলেম সম্পর্কে অবগত হয়েছি, বাপ রে বাপ, ভয়ানক একবগ্গা ভদ্রলোক, প্রশ্ন যখন পরিবেশ রক্ষার I
তিন, ছাত্রাবস্থা কেটে যাওয়ার পর যখন কি করি, কি করি করে বেড়াচ্ছি, মাথায় এলো, ট্যুরের ব্যবসা করি, অনেকেই হয়ত জানেন ট্রাভেল এজেন্সী’র ব্যবসাকে একসময় মাম্মী পাপা’স বিজনেস বলা হত, ঘর লাগোয়া একটা বারান্দা আছে ? একটা টেবল চেয়ার নিয়ে বসুন, ব্যবসা শুরু, এই রকম আর কি ! তো নানারকম লোকের সঙ্গে যখন এই নিয়ে আলোচনা করছি, কি করা যায়, কিভাবে করা যায়, তখনই গার্গীদির বর সঞ্জয়দা বলল- শোনো দীঘা, দার্জিলিং ছাড়ো, অনেকেই করেছে, অনেকেই করবে ওসব, তুমি বরং অফবিট ট্যুর অ্যারেঞ্জ করো, জানতে চাইলাম, কি রকম ?
সহৃদয় পাঠকগণ, আমার ধানাই পানাই-এ ইতিমধ্যেই যাঁরা বিরক্তি বোধ করতে শুরু করেছেন, মনে মনে গালিও দিচ্ছেন হয়ত, তাঁদের জানাই, ঐ তিনটি অবস্থার একটাই গন্তব্য - কলকাতা বইমেলা !
মন্দিরা নায়েকের বাড়িতে গিয়েই প্রথম জানতে পারি, টয়লেটেও বই পড়া যায় I জেনে অবাকও হয়েছি, তাই তো, সময়ের এরূপ সদ্ব্যবহার তো দূর্দান্ত ! একদিকে হালকা হচ্ছেন, আর একদিকে হচ্ছেন জ্ঞানে ঋদ্ধ I সেদিন FB তেই দেখলাম, জাপানের সমস্ত বাস ষ্টপেজেই একটা আলমারিতে কিছু বইপত্র রাখা থাকে, বাসের প্রতীক্ষায় রত যাত্রীসাধারণ তা নিয়ে দিব্যি পড়তে পারে I চমৎকার চিন্তাভাবনা, তাই না ? অবশ্য আমাদেরও কিছু কিছু স্থানে কসমোপলিটান, ভাবী কি পেয়ার, রাশিচক্র, সিনে অ্যাডভান্স ইত্যাদি জাতীয় পত্রপত্রিকার ছোট খাটো ষ্টল থাকে, লুকিয়ে পড়তে হয়, এই যা I
বন্ধু কৌশিকের জোরাজুরিতে আর পুনশ্চ ষ্টল অভিযানের তাগিদে, আমার প্রথম বইমেলা যাওয়া I বইমেলা তখন ময়দানে I অতবড় ময়দান তখন যেন যন্তর মন্তরের ফাঁদ I রাস্তা, ষ্টল, বই, সুন্দরী, হাঁক ডাক আর ধূলো, একে বারে মারকাটারি ব্যাপার স্যাপার I এরই মাঝে চোখে পড়ল, ইউবিআই অডিটোরিয়াম I এখানে কি হয় ভাই ? কৌশিক দায়সারাভাবে বলল, নতুন বই প্রকাশ, বিভিন্ন অলোচনা, আঁতলেমি এটা সেটা I কৌশিকের সঙ্গে কলকাতায় বেড়ানোর সমস্যা একটাই, আপনি কোন ললনারই মনোযোগ পাবেন না, সব ঐ কৌশিক ব্যাটাই টেনে নেবে, ফারদিন খানের মতো দেখতে আমার এই বন্ধুটি এই একটি ব্যাপারে মারাত্মক স্বার্থপর I
চোখে পড়ল আনন্দ পাবলিশার্স, পোশাক পরিচ্ছদ দেখে আপনি যদি কোন ব্যক্তির কৌলিন্য আন্দাজ করতে পারেন, তাহলে ষ্টল সজ্জা দেখেও বুঝবেন নিশ্চয়, কার দৌড় কতদূর I তবে নানা শৈল্পিক ও নান্দনিকতার মিশেলে নির্মিত ষ্টলগুলি কৌতূহলী মনের খোরাক হয়ে ওঠে বৈ কি I কাঠ বেকার আমরা তখন, বই তো কিনতে পারব না, দু একখান চুরি করতে পারি অবশ্য I অভিজ্ঞদের মতে, অপরের বই আর পরের বউ চুরিতে কোন পাপ নেই I অনেকক্ষণ ধরেই কানে আসছিল, সেপথে কিছুটা গিয়েই চোখে পড়ল একদঙ্গল তরুণ তরুণী গিটার বাজিয়ে গান গাইছে I বেশ কিছু দর্শক শ্রোতাও জুটে গেছে তাদের, আজই হয়ত জন্ম নেবে কোন ভবিষতের শিল্পী I খবরের কাগজ পেতে নিছক আড্ডারও জটলা দেখলাম I লিটল ম্যাগ ? শখের কবি ? তাঁরাও রয়েছেন I কোন কোন ষ্টলে আবার হঠাৎ ভিড়, কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে জানা গেল কোন বিখ্যাত লেখক এখন ওখানে উপস্থিত রয়েছেন I ওপথ আবার আমার জন্য নয়, বিখ্যাত লোকেদের সান্নিধ্যে আমার নিজেকে লিলিপুট বলে মনে হয় I একবার রবীন্দ্র সদনে ২১শে ফ্রেবুয়ারীর অনুষ্ঠানে নচিকেতা চক্রবর্তী ও পল্লব কির্তানীয়ার সঙ্গে আলাপ করার পরই আমার ঐ দুর্ভাবনার শুরু I অনেক খোঁজাখুজিঁর পর, একই রাস্তায় অন্তত বারতিনেক চক্কর কাটার পর পেলাম পুনশ্চ’কে I আশা ছিল কিনতে না পারি, একটা বই অন্তত উপহার পাবো এখানে I নিরাশ হলাম, নায়েক দম্পতি অনুপস্থিত I শুধু তাকিয়ে আছে মোটা মোটা শংকর I
ব্যক্তিগতভাবে আমি ১লা বৈশাখ তথা নববর্ষ জমকালোভাবে পালন করতে উৎসাহী, পাঁচ সাতদিন ধরে I দূর্গাপূজোকে সার্বজনীন বলা হলেও নানা জায়গায় ধর্মীয় কারণেই আমরা কাছাকাছি আসতে পারি না, আমরা ওরা বিভেদ থেকেই যায়, ঠিক হিন্দু মুসলিম শব্দদুটির মধ্যে যেভাবে অদৃশ্য একটা হাইফেন বরাবর থাকে I হ্যাঁ বহুস্থানেই ভিন ধর্মীয়রা দূর্গাপূজোয় প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহন করে, জানি সেটা, সেটা মাথায় রেখেই বলছি I তবে এতে আমার মন ভরে না, আমি চাই একটা আপাদমস্তক বাঙালি উৎসব, তাতে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবধরণের বাঙালির অংশগ্রহণ থাকবে প্রচন্ডভাবে, এবং সেটা ধর্মীয় কারণে হবে না I যতদিন সেটা না হচ্ছে, ততদিন আসুন আমরা বইমেলাকেই আঁকড়ে ধরি I বাঙালি হিন্দু সেজেগুঁজে ঠাকুর দেখতে বেরোলে, বাঙালি মুসলিম জুলজুল চোখে দেখবে না, আবার ঈদের চালের রূটির জন্য হিন্দু বন্ধুর হা হুতাশও নেই এখানে I বইমেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলেই আপনার তাবৎ পরিচয় ছাপিয়ে একমাত্র পরিচয় জেগে উঠে, আপনি বইপ্রেমী I আপনি বই কিনতে, দেখতে বা নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকতে এসেছেন এখানে I
যে কটা রাজ্য রাজধানী কারণে অকারণে ঘুরেছি আজ অবধি, আমার মনে হয়েছে কলকাতা এমন একটা রাজধানী যেখানে আপনার অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রধান খাদ্য ডাল ভাত, পকেটে একটা দশ টাকার নোট থাকলে দিব্যি খেতে পাবেন, হ্যাঁ আজও I কলকাতায় আমি স্নাতকোত্তর পড়েছি মাসিক ১৩ টাকা বেতনে I কলকাতার হয়ত অনেক কিছুই নেই, প্রচুর ফ্লাইওভার, জেটগতির জীবন কিন্তূ হৃদয়টা রয়েছে অটুট I আর সেই হৃদয়ের উপরদিকেই রয়েছে, কলকাতা বইমেলা I তাই যেদিন শুনেছিলেন, আগুন লেগেছে বইমেলা’য়, অদ্ভূত এবং অজানা আশঙ্কায় আপনার মনটও হু হু করে উঠেছিল I পাঠক, লেখক, বই পাগল ও বই প্রেমিকদের মিলনস্থল এই বই সমাবেশ I মোবাইল এসে হয়ত আপনার পড়ার অভ্যাস নষ্ট করেছে, বইয়ের আলমারিতে ধূলো জমেছে, বন্দী অবস্থায় রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিম I আপনি একবার বইমেলা ঘুরে আসুন I দেখবেন পরের রবিবারই ঐ আলমারি পরিষ্কার করার কাজে আপনি নেমে পড়েছেন I দেখবেন হয়ত কোন বই আপনাকে দেবে আপনার লেখা বা আপনাকে লেখা প্রথম প্রেমপত্র, অথবা দাদুর হাতে লেখা কোন হলদেটে খরচের হিসেব, আদরের ছোটবোনের বিয়ের কার্ডও কোন রচনাবলীর ভেতর হতে আসতে পারে বেরিয়ে I আপনি ওদের বলেননি, ওরাও আপনাকে বলেনি কোনদিন, যেদিন প্রথম আপনি অ আ ক খ শিখেছিলেন সেদিন থেকেই ওরা আপনাকে ভালোবাসে I

পুনশ্চ, সুভাষ দত্তের খবর পাইনি অনেক দিন, ময়দান থেকে কলকাতা বইমেলা চলে গেছে মিলন মেলা প্রাঙ্গনে, কিন্তূ অফবিট ‘কলকাতা বইমেলা ট্যুর’ আমি আজও অ্যারেঞ্জ করতে পারিনি I তবে কোনদিন যদি কলকাতার রাস্তায় একটি বড় বাস আর তাতে ‘কলকাতা বইমেলা দর্শন’ লেখা ব্যানার চোখে পড়ে আপনার, নিশ্চিত জানবেন, ওটা আমারই কান্ড II

-জাহির রায়হান
raihan_77@yahoo.co.in

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...