“মন খারাপের রঙ নাকি লাল”! আচ্ছা , ধূসর কি কোনো রঙ নাকি শুধুই ধূসর ? নাকি ধূসর একটা দুঃখ , ভালোবাসা , যৌনতা , বন্ধুত্ব ,সময় ? – প্রশ্নটা সহজ কিন্তু উত্তরটা জটিল । আসলে ধূসর একটা নিদারুন অভিব্যক্তি । কতগুলো সম্পর্কের জটিল সমীকরণ । ধূসর অনেককাল আগের একটা পাতা ঝরা শীতকালের গল্প।
নাটকের শুরু থেকেই চোখে পড়ার মতন ছিল ডিজাইন , সিফটিং , আর মিউজিকের ব্যবহার । যদিও পরিচালক তাঁর নাটকে আলো এবং সেটস বেশ ছিমছাম রাখতেই বেশি পছন্দ করেছেন, যদিও সেটা প্রযোজনা মাফিকই হয়েছে । কোথাও মনে হয়নি অতিরিক্ত । অভিনয়ের প্রসঙ্গে বলতে গেলে , অনন্যা ওরফে অঙ্কিতা মাঝি আর কৃষাণু ওরফে সুমিত রায় কোথাও গিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগই দিলো না । যদিও যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মউ আর জোনাক । বাকি চরিত্রগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আসা যাওয়া করেছে । তাদেরও আধিপত্য বিস্তার করেছে মঞ্চে । পরিচালক শান্তনু বুঝিয়ে দিলেন সামান্য পুঁজি নিয়েও একটা অসামান্য প্রযোজনার সফল মঞ্চায়ন সম্ভব । আর বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার নাট্যকার সৌপ্তিক পাল এর কাছে , তিনি যে গল্পটা ধার করেছিলেন “E.L .JAMES’’ এর ‘’FITFY SHADES SERIES’’ থেকে সেটা তিনি সুদে আসলে ফিরিয়ে দিলেন । যোগ্য সঙ্গত দিয়েছে বাকি কলাকুশলীরাও ।
সম্পর্কগুলো কোনো ধূসর পাণ্ডুলিপিতে আটকে থাকেনি , তারা প্রান পেয়েছে। প্রোজেক্ট ড্রিম বিক্রি হতেই পারে কিন্তু দিনের শেষে সেও নিজের মুখোমুখি হয়েছে , বিয়ারের ক্যান থেকে কফি কাপ কিংবা ভিন্ন ঘরানায় গড়া দুটো জীবনও মুক্ত হয়েছে আকাশের নীচে । আমার বলতে ইচ্ছে করছে , “ শুধু শরীর শরীর , তোমার কি মন নাই কুসুম ”- আমি বলি মন থাকলেই তো মনকেমন ………
হুজ্জুত এবং খড়দহ ব্রাত্যজনের যৌথ এই প্রয়াস আরও সফল হোক । তারা সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে আরও এগিয়ে যাক । ভালো থাকুক সম্পর্কের বেড়াজাল । ভালো থাকুক সাদা – কালো ফ্রেমের দূরত্ব । ভালো থাকুক ধূসর এই সময় ।
ADITYA GHOSH.
ADITYA GHOSH.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন