সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রবীন্দ্রনাথ কে অস্বীকার


-----------------------------------------------------------------------------------------------------------nilanjan






একটা সময় ছিল, তখন প্রানপণে রবীন্দ্রনাথ কে অস্বীকার করতে চেষ্টা করতাম। "সঞ্চয়িতা"-র দিকে কেমন যেন তাচ্ছিল্য নিয়ে তাকাতাম। হাতের কাছে কোনো গোয়েন্দা উপন্যাস না থাকলে তবেই হয়তো গল্পগুচ্ছের একটা ছোটগল্প শেষ হতো।
হুম্, তখন আমি আঠারো বছর বয়সের দোরগোরায়।তখন রাত্তিরে টিউশন থেকে ফেরার পথে বন্ধু কে শোনাতে পারি, " দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া....." বা "খাদের সামনে রাত্তিরে দাঁড়ালে চাঁদ ডাকে আয় আয়.........."

আস্তে আস্তে রহস্য উপন্যাস গুলো দুরে সরে যেতে থাকল, আর তার জায়গায়, "পদ্যসমগ্র"(২য় খন্ড), "পাবলো নেরুদার শ্রেষ্ঠ কবিতা", এদিক ওদিক সংকলণ থেকে উঁকি মারা প্রেমেন্দ্র মিত্র, শঙ্খ ঘোষ, বুদ্ধাদেব বসু।সিলেবাসের দৌলতে "কল্লোল যুগ" সম্পর্কে হাল্কা ধারণা জন্মাল। বুঝলাম, "রবীন্দ্রেতর" মানে "রবীন্দ্রনাথের থেকে ইতর" না, রবীন্দ্রনাথের থেকে আলাদা।বইয়ের ফাঁক থেকে বা খাতার পিছন পাতা থেকে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া, পুরোনো কবিতা গুলো কেমন যেন ছেলেমানুষি মাখা, বোকা বোকা মনে হতে লাগলো।ভেতর থেকে কেউ যেন বলে দিতে লাগলো,"কবিতা লিখতে গেলে পড়াশুনো লাগে বুঝলি!"

তারপর থেকে পড়াশুনোর পরিসর "dx" পরিমান বেড়েছে কিনা জানিনা, তবে, এখান সেখান থেকে দু-একটা নতুন নাম, দু-একটা কবিতা, উৎপল কুমার বসুর বা সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ভেসে ভেসে এসেছে, থেকেছে, চলে গ্যাছে নয়তো বা হাড়িয়ে গেছে real analysis,quantum,relativity নয়তো cosmology, astrophysics এর ভাঁজে।কিংবা ভেসে গেছে black hole এর মধ্যে... কখনও কখনও "s" দুরত্ব অতিক্রম করেছে "a" ত্বরণ নিয়ে।চারিদিকে তখন শুধু নীরা, বনলতা, "চাকা", নন্দিনী।

তারপর, কলেজে উঠে গেলাম, কবিতা আর লেখা হয়ে উঠলো না। রবীন্দ্রনাথ কে অস্বীকার করার ক্ষমতা গুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে থাকলো।কলেজে আমার অ্যাটেন্ডেন্স বেশ কম ছিল। কথা সূত্রে কোনো এক বন্ধু বলেছিল, " তুই যে কল্লোল যুগে বিরাজ করিস তা তোর ক্লাসে অ্যাটেন্ডেন্স দেখলেই বোঝা যায়।"কিন্তু না , আমি কল্লোল যুগে বিরাজ- ফিরাজ করতে পারিনি। আমার পড়াশুনো যে a m/s2 মন্দনে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা এদিক ওদিক তাকালেই বেশ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে আজকাল।

কবিতা ফবিতা আমার দ্বারা হবে না, তাই বসে বসে গীতবিতান এর পাতা ওল্টাই আর ভাবি, "আমার সব কথা, সব অনুভুতি, ভাললাগা, খারাপলাগা, স্অঅঅঅব তো ওই লোকটাই লিখে রেখে গেছে! আমি আর নতুন কি লিখব।"

বড্ড দুর্বল হয়ে পরছি, বুঝলেন!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...