সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জানি দেখা হবে

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------nilanjan





The days are bright and filled with pain...
Enclose me in your gentle rain...
The time you ran was too insane...
We'll meet again,we'll meet again...

----Jim Morrison
----The Doors




আমি বিশ্বাস করি আমাদের আবার দেখা হবে,হয়তো আজ থেকে আরও পাঁচ বছর পরে...যখন আমরা অনেক বেশী পরিণত হব...জীবন ততদিনে হয়তো আমাদের আরো ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলবে...আমাদের ভাগ করে নেওয়ার মতো নিজস্ব গল্প থাকবে,অজানা অচেনা মানুষগুলোর থেকে দূরে থাকার জন্য,কিছু সুন্দর মিথ্যা ঢেকে দেওয়ার জন্য আমরা দুজনেই মুখোশ পরে থাকব...হয়তো সবকিছুকে নতুন করে সুযোগ দিতে খুব বেশী ভয় পাবো,প্লাস্টিক জীবন নিয়েই সুখী থাকার জন্য...ততদিনে মিথ্যে হাসি দিয়ে যন্ত্রণাকে আড়াল করতে শিখে যাব...জীবন নিয়ে কেউ জিজ্ঞাসা করলে মিথ্যে বলব...সেদিন আবার দুজনে দূরে সরে যাব...কিছুই হয়তো পাল্টাবে না সেদিন...কিন্তু আমাদের দেখা হবে...


আমি বিশ্বাস করি আমাদের আবার দেখা হবে,হয়তো পনেরো বছর পরে...একটা অচেনা গলিতে,অচেনা মুখের ভিড়ে...ব্যস্ততা নিয়ে তুমি যখন পাঁচ মাথার মোড়ে সিগনাল ক্রস করবে,তখন হয়তো মুহূর্তের জন্য তোমায় দেখতে পাবো...অথবা দক্ষিন কলকাতার কোনো কফিশপে,তুমি  কফিতে চুমুক দেবে...হাতে থাকবে একটি বই,আর চোখে একটা মোটা ফ্রেমের চশমা...দূর্গাপুজোয় দশমীর সিদুর খেলায় দেখা হবে তোমার সাথে...তোমার স্বামীকে সামনে দেখতে পেয়ে তোমার সামনে যাওয়ার দুঃসাহস করতে পারবো না সেদিন...কিন্তু তোমার ঝর্ণার মত হাসি দেখতে পাবো...সবাই একসঙ্গে চেঁচিয়ে বলবে "আসছে বছর আবার হবে"...নয়তো কোনো অফিসের কর্পোরেট মিটিং এ দেখা হবে তোমার সাথে...কথোপকথন টা শুরু হবে Good morning দিয়ে আর শেষ হবে Thank you দিয়ে,formally... কিন্তু আমাদের দেখা হবে...

আমাদের আবার দেখা হবে পন্ঞ্চাশ বছর বাদে...যখন আমাদের সন্তান-সন্ততিরা তাদের জীবন নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়বে,এবং আমাদের জন্য সময় বের করতে পারবে না...যখন আমাদের গল্পগুলো আমাদের তৃতীয় প্রজন্মের কাছে খুব পুরোনো হয়ে যাবে...দৈনন্দিন একঘেঁয়ে জীবন থেকে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ব খুব...
হাজার স্বপ্নহীন দিন আর নিদ্রাহীন রাত পেরিয়ে আমাদের দেখা হবে...স্মৃতিপটে...পুরোনো চিঠি আর উপহারগুলো আমাদের মুখে হাসি ফোটাবে...তোমার প্রশংসা করলে,তুমি তখন লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠবে...আমি জানি,তোমার গোলাপী গালে কোঁচকানো মুখের হাসি,একটা বৃষ্টিস্নাত গোলাপের চেয়েও সুন্দর দেখাবে...আমরা স্মৃতি নিয়ে বাঁচব...


বিশ্বাস করো,আমাদের আবার দেখা হবে...হয়তো আরো অনেক দেরীতে...তাঁরাদের মাঝে,ছায়াপথে...সেই প্রথম বারের মতো...তুমি তোমার চারপাশের মানুষদের নিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকবে...আর আমি আবার তোমার ঐ ঝর্ণার মতো হাসির প্রেমে পড়ে যাব...আচমকা দমকা ঝোড়ো হাওয়া এসে তোমার এলো চুলগুলোকে ঘেটে দেবে...তোমার সৌন্দর্য্য আরো বেশী বাড়িয়ে দেবে... তোমার চোখের কালো কাজল,তোমার চোখকে আরো মায়াবী করে তুলবে...তোমার চারপাশে অন্ধকার বলয় তৈরী হয়ে যাবে,যার সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র তুমি...হয়তো সেদিন আমি আমার মনের কথা বলার মতো সাহস জোগাড় করতে পারব...অসীম নৈঃশব্দের মাঝেও তুমি আমার চন্ঞ্চল হৃদস্পন্দন শুনতে পাবে...তুমি হাসবে,আমিও হাসব,আমাদের দু চোখ সেদিন এক উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ এর অঙ্গীকার করবে...
সব কিছু এমন স্বপ্নের মতো হবে কিনা জানি না,তবে আমাদের আবার দেখা হবে...
একটা নতুন পৃথিবীতে,নতুন মহাবিশ্বে,নতুন কোনো সুন্দর জায়গায়...
যাই হয়ে যাক না কেন,আমাদের আবার দেখা হবে...

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...