সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

FROM BOX OFFICE


MOVIE: JAGGA JASOOS
DIRECTOR: ANURAG BASU
WRITTEN BY: ANURAG BASU
 



কিছু সিনেমার রিভিউ লেখার ক্ষমতা আমাদের না রাখাই ভালো, তেমনই অনুরাগ বসু র জগ্গা জাসুস।
সিনেমাটা দেখার ৭-৮ঘন্টা পরেও একই ঘোরে বসে আছি।
প্রথম থেকে শেষ অব্দি ভাবাতে পারে, মাথা খাটাতে বলে এরকম খুব কম সিনেমা সাম্প্রতিক কালে তৈরী হয়েছে। যদিও 'কাহিনী' শেষ পর্যন্ত টানটান রোমাঞ্চে রেখেছিলো আমায়। তবুও, জগ্গা কোথাও গিয়েও যেন বেশ মন ছুঁয়ে যাওয়া একটা রঙচঙে কমিকসের শেষ হয়েও না শেষ হওয়া পাতা।
সিনেমার শুরু থেকেই ঘোরলাগা চটক শুরু হয়, ধীরে ধীরে গল্প এগোয়। তারপর ইন্টারভ্যাল পেরিয়ে পরিনতিতে পৌঁছোয় নিজের মতো করেই। প্রায় তিন ঘন্টার সিনেমার বিশেষত্ব ছন্দ মেলানো গান গেয়ে অথবা, ছড়াগুলো সুর কেটে কেটে সংলাপ তৈরীর অভিনবত্ব।
পৃথিবীর বড়সড় সমস্যাকে হাসি-মজা-রঙ-আবেগ-ভালোবাসার মোড়কে মুড়ে পরিবেশন করার সাহস ক'জন পরিচালক ই বা নেন??
হয়তো, একেই বলে জটিল সমস্যাও আমরা সমাধান করতে পারি, কিন্তু চেষ্টা করিনা কষ্ট হয় বলে।
অনুরাগ বসু ও এমনি কিছু দেখালেন এই কয়েক ঘন্টায়।

  না, আর কিছু বলবো না।
সিনেমাটা যারা দেখেননি এখনো চট করে দেখে আসুন,
আর, যারা অলরেডি দেখে এসেছেন কিন্তু আমার লেখা পড়ে নাক কুঁচকে সমালোচনায় বসবেন বলে ভাবছেন, তবে শুনুন:
মিষ্টি প্রেমের সিনেমাটাও যেমন সিনেমা,
গাছের পেছনে নাচ-গান টাও যদি আপনার প্রিয় সিনেমা হয়, তবে এই ট্র্যাভেলবেসড জগ্গাও আমার পছন্দের সিনেমা কেমন।

     তবে, আমাদের দেশে নাচ-গান-রসালো চুম্বনদৃশ্য ছাড়া আমরা আবার সিনেমার শেষে "পয়সা উসুল" বলতে পারিনা তো, তাই না???

  তবে, আমি সিনেমা হলের ভেতরেই জোর গলায় বলেছি, "পয়সা উসুল", যেটা অনেকদিন পর আমি অবচেতনেই জাস্ট বলে ফেলেছি, বিশ্বাস করুন।

  আর, সিট ছাড়ার মুহুর্তে একটা চওড়া হাসি বাঙালি হওয়ার,
চওড়া হাসি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়-কাপুরতনয়ের একটা নতুন প্রশ্নচিহ্ন ছেড়ে যাওয়া আমাদের সকলের মনে।

  বাকীটা সিনেমা বলুক, আপনি বুঝুন।।

পুনশ্চ:
রনবীর কাপুর কিন্তু জাঁকিয়ে ছয় মেরেছেন অনেক অনেক দিন পর,
তাই, ক্যাট ম্যাডাম একটু চেপে খেলেছেন আর কি...

REVIEW BY: MEGHNA










"The whole of life is just like watching a film."-Terry Pratchett
Meghna is a cinephile and writing about them is her passion. 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...