সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মৃত্তিকার পত্র

-পার্থ ঘোষ – ষোল পাতার চিঠিটা লিখেছিল ছাব্বিশ বছরের মৃত্তিকা।  মৃত্তিকা অর্থাৎ মৃত্তিকা দাস। দাস পদবীটা মাস চারেক হল অর্জন করেছিল সে। বাবার পদবী পাল।  অতএব সে ছিল মৃত্তিকা পাল।  বিবাহ সূত্রেই বদল হয়েছিল পদবী। বিবাহ হয়েছিল সরকারি চাকুরে অসিতের সঙ্গে । অসিত চাষী-বাসী গেরস্থ। ধান জমি, পানের বরজ, আখ ক্ষেত এসব নিয়ে গ্রামের অবস্থাপন্ন লোক।  বাস রাস্থা থেকে ভ্যান রিক্সায় পঁচিশ মিনিট দূরত্বে পৈত্রিক পাকা দোতলা বাড়ী। অসিতরা তিন ভাই দুই বোন।  দুই বোনেরই বিয়ে হয়েছে গ্রামেরই অবস্থাপন্ন দুই ঘরে।  অসিত সবার ছোটো।  দুই দাদার বিয়ে অনেকদিন আগেই হয়েছে।  বাকী ছিল ছোটো ভাই অসিত। মাস চারেক আগে তারও বিয়ে হয়ে গেছে পাশের গ্রামের মৃত্তিকার সঙ্গে, বেশ ধূমধাম করেই। অসিতের চাকরির বয়স পাঁচ বছর।  কলকাতায় অফিস।  প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়।  বাড়ী থেকে প্রথমে ভ্যান রিক্সায় বাস স্ট্যাণ্ড, তারপর বাসে চড়ে রেল ষ্টেশন, সেখান থেকে ট্রেনে করে কোলকাতায় পৌঁছে আবার বাস ধরে অফিস পৌঁছতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়।  তাই অসিতকে সকাল সকাল...

EID MUBARAK

---------------------------------------------------------------------------------------Mohona I met a girl today, A quiet one. Occupying a corner sit in the crowded metro, Her eyes glistening with tears, that never seemed to dry. Eyes that seemed very distant, That spoke of stories, Not of the glittering jewels she wore, Or of the clingy Burqa that adorned her body. The stories were of the war fields, In a distant land, Where the festive moon did not rise in happiness, Where the only lights were of the uncontrolled fires that burned, Where glee seemed to be long lost, In the shuddering sounds of the bullets. A land, where the crescent moon held no resemblance, To the newly orphaned child. The stories of the sour bloody lullabies!       

shohor

-----------------------------------------------------------------------------------আদিত্য প্রাক্তন শহর। একের পর এক শো, হলভর্তি দর্শক। অজস্র ছোট পত্রিকার অনুষ্ঠান।প্রেস,প্রেম ,কফি। নতুন সম্পর্ক,পুরোনো প্রেমিকা,বৃষ্টি,ট্রাম,মেট্রো,ট্রেন। উবের কিংবা আবার বৈঠক।একটা কবিতার জন্ম। আমি হেরে গেছি সঙ্গে আমার অহংকারও...

॥ডুবসাতার॥

--------------------------------------------------------------------------------------------সৌভিক সীমান্তে ঘুমোয় এক দেহ জমিন।এপারে আমার ইমান হৃদয়। মাঝে একটা গোটা নদী পেরোতে হবে একা খুদার বান্দা...তুফান দেখলে যে আজও বড় ভয় হয়। "চাচা তুম অাব ছোড় দো নাও।মুঝে যানা হে মিলো দূর" আমি সামলে নিতে পারি তোমার ভাঙা তরণী... আঁচলে বাঁধা ঝড়।মোহনার ঠোঁট কামড়ে এখনো রোদ্দুর। তখন কুলের কথায় জড়ায় মাঝি মল্লার ঘরে ফেরার গান। চোরাবালির সে বাঁধ ভাঙছে ঢেউয়ের আসা যাওয়া ভেজা হাওয়ায় ভিজছি আমি।ভিজছে আমার অভিমান। আমার দীর্ঘশ্বাস জুড়ে পলাশ ফুলে হাসি কুড়োতে চলেছি ওপার। স্রোতের টানে ভেসে গেছে কোথায় সাধের বেণীর ফিতে... নরম হাত ডুবিয়ে খুঁজে যাই রোজ।আমি যে শিখিনি ডুবসাতার॥

moncho

------------------------------------------------------------------------------------------আদিত্য  অনেকগুলো জন্মের পর একটা বৃষ্টি জন্মায়। কালির গন্ধ নিয়ে আসে সঙ্গে, অভিনয়ের রীতি ওর অজানা নয়। ওর খেলা মেঘের সঙ্গে বারোমাস। যেমন আমার সঙ্গে শিক্ষার,ভুলের আর কফি কাপের। আমি আবার জন্মাতে চাই একটা মঞ্চের কোলে....

bristi

-----------------------------------------------------------------------মোহনা বৃষ্টি, বর্ষাকাল, মাটির ওই সোঁদা গন্ধ, বেশ ভালো লাগতো আমার। কেমন যেন এক নস্টালজিয়ায় ভরিয়ে দিতো আমায়। ভাবতাম বুঝি সেই রূপকথার, সোনার কাঠি, রুপোর কাঠি, ঘোড়ার পিঠে রাজকুমার, সবই হয়তো বা সত্যি। বৃষ্টি ছিলো আমার বাস্তবতা থেকে পালানোর, এক শীতল, ভেজা, পথ।। আজকাল, বৃষ্টি টা আর তেমন করে নামে না। চলন্ত বাসের জানলার কাচেঁ, আছরে পরা বৃষ্টির কণাগুলো এক অন্য শুর তোলে। অভিমানের।। সেই সব না বলা কথার স্মৃতিগুলো, উথালপাথাল খায়ে বুকের ভেতর। রাস্তার ভীড়ে আযার একাকিত্ব কে, আরও বাড়িয়ে তোলে।। গলার ভীতর চাপা, সেই কান্নার, দরজাটা যেন ঠেলে খুলে দিতে চায়। কার্নিসে বসা কাকটাকেও, আজ যেন বেজায় অসহায় দেখায়। রাস্তার আনাচেকানাচে জমা জলে, নিজের জল ছবি দেখি। কেমন যেন অচেনা দেখায়। অজানাও।। বৃষ্টিটা এখন আর তেমন করে আর নামে না। বুকের ভেতর ওই বিশ্রী, অদ্ভুত ব্যাথাগুলোকে, মুছে দিয়ে যেতে পারে না।।

rasta

------------------------------------------------------------------------------------- সোহিনী সেদিন যেতে চায়নি পৌষালি জোর করে নিয়ে গেছিলো সায়ান যদিও অতীতের হিজিবিজি কাটা গোলকধাঁধা তবুও বর্তমানের আলোকছটায় সেটা অনেকটা আবছা এখন বিয়েটা বাড়ির লোক জোর করেই দিয়েছিলো একপ্রকার ঝুপ ঝুপ বৃষ্টির শব্দ সাথে এ.আর রহমান এর গান ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে লং ড্রাইভ টা বেশ উপভোগ করছিলো সায়ান পৌষালি তখন ও গোলক ধাঁধায় ঘুরছে আলো আঁধারি রাস্তা তখন শুধুই মরীচিকা তার কাছে... সৌমিত চলে যাওয়ার পর থেকে সে মু ষড়ে পড়েছিল একেবারেই .... সায়ান কে সে কোনোদিন ই গ্রহণ করতে পারেনি... হটাৎ একটা শব্দ .. সায়ানের ফোর হুইলারের দম শেষ ... এবার একটু বিরক্তই লাগছিলো পৌষালির গাড়ির জানালাটা বন্ধই ছিল তাই আনমনা পৌষালি রাস্তার মারপ্যাচ খেয়াল করেনি গাড়ি থেকে আনমনে নামতেই তার সারা শরীর শিহরিত হয় ... সেই ফুলপাহাড়ের রাস্তা সেই মেদিনীপুরের জঙ্গল !! হ্যাঁ !! এইখানেই তো সব শেষ হয়েছিল তার দীঘা থেকে ফেরার সময় এখানেই তো দুষ্কৃতীরা সৌমিত কে তার চোখের সামনে !!! আর ভাবতে পারছেনা সে চোখ বুজে এল তার পৌষালি এই ওঠ কিরে? সৌমিত ! এসেছ...

ধূসর মাইলস্টোন

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------Arpan   জীবনের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চোখে ভেসে ওঠে ফেলে আসা সময়ের ধূসর মাইলস্টোন...... আমাদের জীবন একটা গোলাকৃতি চাকার মতো, বহু ক্ষয়-ক্ষতির পরও হেটে যায় কয়েক হাজার মাইল। জানা যায়না ফেলে আসা সময়ের দৈর্ঘ্য, ফিরে যাওয়া যায়না স্মৃতির সবুজ আলপথে! সব ক্লান্তিকে জয় করে ভোরের শান্ত শীতল স্বপ্ন, শহুরে হলদে বিকেল, মায়াবী রাতের নেশায় ঘেরা বুদবুদগুলো ভীড় ঠেলে এগিয়ে যায় আপনমনে- জীবনের ঘড়ি হয়ত থেমে যাবে একদিন, রাস্তার ধূলোমাখা সময়গুলো থমকে যাবে বরাবরের মতো! থামবে না কেবল গল্পগুলো, পথের বাঁকে গলির মোড়ে অপেক্ষা করবে নতুন কোনো চরিত্রের সন্ধানের...... নতুন কোনো প্রেমের গন্ধে!

rasta

----------------------------------------------------------------------------------anindita ইতিহাস সাক্ষী আমৃত্যু - অদ্ভুত - বিদারুণ সব অভিজ্ঞতা বিদ্রোহীর নয় , বিধ্বংসীর নয় এ এক শান্ত - শিথিল রাস্তার আত্মব্যথা রক্তের দাগে , চিৎকারের আওয়াজে শিক্ত আজো অলিগলি বিপ্লব আনবো এই রাস্তাতেই দেখে নিস মা শহরতলি ।                            - অনিন্দিতা

rasta

-----------------------------------------------------------------------------------Nilanjan অগুন্তি হাড়গিলেদের দল এখন পিকনিক করছে ... শহরের সব ফ্লাই ওভারে , উত্তরের হিমশীতল হাওয়ায় ... প্রথম লেপের ওম চিনতে ব্যস্ত সব সদ্য বিবাহিত যুবতীরা ... তাদের প্রাক্তন প্রেমিকেরা , হয়তো কোনো দুর্বল মুহূর্তে , প্রজাপতির ডানায় কেরোসিন ঢেলেছিল ... এইসব তর্ক - বিতর্কের মধ্যে দিয়ে ফুরফুরে হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে , কুচি কুচি সময়েরা ... এ শহরের কোনো রাস্তায় বিধে নেই , প্রিয় চেনা মুখ ... লাল আলোর উন্মাদনায় , যে ব্যস্ততা নামের হাড়কাটা গলি ... ফ্রী স্কুল স্ট্রীটের অন্ধকারে ... আজ এরাও বেশ ছিমছাম ... আপোষকালীন প্রহরায় ... তবু কয়েকটা উন্মাদ . আজকে আবার ফেস্টুন টাঙিয়েছে ... সব আলো নিভে গেলে পরে , আজ রাতে , শতাব্দীর মিছিল নামবে রাস্তায় ...

rasta

--------------------------------------------------------------------------------- সৌভিক   সেন সেদিন রাস্তায় নেমেছিলাম বলেই হয়তো , তোমার হাতের কেনা বোতলের টাটকা অ্যাসিড থাপ্পড়ের মতো লেগেছিল আমার বাঁ গালে ? তারপর থাপ্পড়ের ফোঁটাগুলো জ্বলিয়েদিচ্ছিল আমার তুলো - চামড়া গুলোকে গড়াতে গড়াতে । সেদিন রাস্তায় নেমেছিলাম বলেই হয়তো , রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পাগুলো হাত বাড়িয়ে দেয়নি সাহায্যের ? সেদিন রাস্তায় নেমেছিলাম বলেই হয়তো , আমার বন্ধু - বাবা মা কে কিছুদিন সারাদিন রাস্তায় কাটাতে হয়েছিল ? সেদিন রাস্তায় নেমেছিলাম বলেই হয়তো , আমার উড়তে চাওয়া স্বপ্নগুলো এক ঝটকায় উবে গেছিলো অষ্টাদশী প্রেমের মতো ? সেদিন রাস্তায় নেমেছিলাম বলেই হয়তো , খালি মনে হচ্ছিল , হয়তো রাস্তায় নেমেছিলাম বলেই ... তারপর আজও রাস্তায় নামি যখন কিছু সুন্দর - মন পাশে , হাতে রংবেরঙের প্রতিবাদ আজ কিন্তু মনে হয় , ভাগ্যিস সেদিন রাস্তায় নেমেছিলাম বলেই হয়তো , হয়তো ...         ...