সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কথোপকথন





লাইটস-ক্যামেরা-অ্যাকশান’- হটাৎ একজন অপরিচিত অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়ে গেল অনেকটা সিনেমার মত এত তাড়াতাড়ি কোনও অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপ হয় একমাত্র সিনেমায় অথবা সিরিয়ালে! কিন্তু বাস্তবে আমার সঙ্গে হল  ব্যাপারটা সিনেমার স্ক্রিপ্ট হলে মন্দ হত না! বেশ গল্প লেখা যেত! তবে আমি বড্ড নিরুপায়, এটা বাস্তব

অভিনেত্রীকে কাছে পেয়ে, একটা প্রস্তাব দিয়ে বসলাম কী ভাবছেন, প্রেমের প্রস্তাব ? ধুস, ওটা বড্ড মেলোড্রামাটিক! অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম, বাংলা ইন্ড্রাস্ট্রির ভেতরে লুকিয়ে থাকা কথাগুলো বাইরে আনতে! তার জন্য এমন একজনকে দরকার ছিল, যিনি বাংলা ইন্ড্রাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত অথচ এখনও তেমন কোনও বড় কাজ করে উঠতে পারেননি ঘটনাচক্রে এমন একজনকে পেয়েও গেলাম! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই অভিনেত্রী বেশ আগ্রহ দেখালেন  তাই কাজটা শুরু করে দিলাম তবে অভিনেত্রীর যেহেতু আসল নাম প্রকাশ করতে পারব না, তাই তাঁর জন্য একটা নাম ঠিক করেছি- ‘সোহাগ’! নামের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের মিল নাইবা থাকতে পারে, কিন্তু তিনি বড্ড আদুরে এবং বেশ হাসিখুশি!

সোহাগকে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলাম, “ তোমার কাছে কমপ্রমাইস-এর অর্থ কী? ’’ সোহাগ বেশ দৃহ গলায় উত্তর দিল, “ অনেক কিছুই হতে পারে! আমার পরিসীমার বাইরে গিয়ে যেকোনও কাজই আমার কাছে কমপ্রমাইস! আমার প্রিয় চরিত্র-এর বাইরে গিয়ে অভিনয় করা আমার কাছে কমপ্রমাইস’’  অভিনেত্রী একটু থামলেন, আবার শুরু করলেন, “ না ঘুমিয়ে রাতের পর রাত অভিনয় করা আমার কাছে কমপ্রমাইস!”

অভিনেত্রীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “ শুধু এইটুকু?” সোহাগ জানালেন, “ অনেক সময় অনেক মুখ্য চরিত্রের জন্য অনেক পরিচালক বিছানায় আসতে বলেন যদিও আমাকে এখনও পর্যন্ত কেউ সেইরকম প্রস্তাব দেয়নি, তবে আমার পরিচিত অনেকেই এই প্রস্তাব পেয়েছেন, শুধু তাই নয় সাদরে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন!”আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, “ আপনি এই ধরণের প্রস্তাব পেলে কী করবেন ? ” অভিনেত্রী একটু 

সংযত হয়ে বললেন, “ এটা সময় আর পরিস্থিতির ওপরে নির্ভর করে! আর তাছাড়া বিছানায় গেলেই যে সুযোগটা পাবো, তেমনও কোনও নিশ্চয়তা নেই আমি এমন অনেক কাউকেই চিনি, যারা বিছানায় গিয়েছেন অথচ সেই প্রস্তাবিত কাজের সুযোগ পাননিসুতরাং আমার ধার্য্য কমপ্রমাইস বাইরে গিয়ে এ ধরনের কোনো কমপ্রমাইস কোনো মূল্য আমার কাছে নেই, যদি কোনোদিন দাঁড়াতে পারি , নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়েই দাঁড়াবো এছাড়া আমি অপেক্ষা করে যাবো ....’’

ঘটনাচক্রে অভিনেত্রী বিবাহিত! তাই জিজ্ঞাসা করলাম, “ এই ধরণের কোনও প্রস্তাব এলে আপানর বিবাহিত জীবন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ? ” সোহাগ জানালেন, “ অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ! আমি সম্পর্কে বিশ্বাসী তবে খুব সিকেলটিভ

ঘড়ির কাঁটা দেখালাম ১টা ছুঁল! কথা বলতে বলতে যে প্রায় মাঝ রাতে পৌঁছে গেছি কখন, খেয়ালি করিনি তাই থামতে বাধ্য হলাম অভিনেত্রীরও পরের দিন শুট আছে তাই আমিও কিছুটা কম্প্রমাইস করলাম! পরের পর্বটার জন্য আরও কিছু অজানা গল্প জমিয়ে রাখলাম!      

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...