সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরের সঙ্গে একান্তে অভিনেত্রী সংকলিতা রায়



                                               অভিনেত্রী সংকলিতা রায়/ সাক্ষাৎকার- আদিত্য 

অভিনেত্রী সংকলিতা রায় খুব সোজাসাপটা এবং সিলেকটিভ মাত্র একবার কথা বলেই অভিনেত্রীকে এমন তকমা না দিয়ে পারলাম না! পরিচয়টা হয়েছিল যদিও একটি সিনেমার সূত্র ধরে তাই ফোনটা পেয়ে একবারেই চিনতে পারলনে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলাম, “ মডেলিং থেকেই কী অভিনয়ে আসা ? “অভিনেত্রী জানালেন, “হ্যাঁ! মডেলিং করতে করতে সিনেমা, যদিও মাঝের একটু সময়ে থিয়েটার করেছি তারপর আবার সিনেমা।''

অভিনেত্রীকে একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “ এর মাঝে আর অন্য কিছু করেননিঅভিনেত্রী জানালেন, “একটি নিউজ চ্যানেল থেকে সঞ্চলনার  অফার এসেছিল, কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত সেটা আর করা হয়নি।''

অভিনেত্রী সংকলিতা রায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গান নিয়ে পড়াশুনা করেছেন প্রায় কলেজ লাইফ থেকেই মডেলিং করছেন সময় পেলে এখনও গান নিয়ে মেতে ওঠেন তাই জিজ্ঞাসা করলাম, “কোন কোন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন? ‘’ অভিনেত্রী জানালেন, “আমি হারমোনিয়াম আর তানপুরা বাজাতে পারি সময় পেলে বাজায়ও।''
  

অভিনেত্রী সংকলিতা,  প্রভাত রায়েরহ্যাংওভার’, সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘শেষের কবিতা, প্রেমাংশু রায়েরকাটাকুটি, আশিষ রায়ের “ক্লাসমেট”, সুমন অধিকারীর ‘ বছর তিরিশ পর' এবং 'রান্নাবুড়ি' এবং আরও অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম,” ছোট থেকেই কি অভিনয় করবেন বলে ভেবেছিলেন ?’’ সংকলিতা জানালেন,’’ না! আমি জীবনে প্ল্যান করে কিছুই করিনি!’’



“ এতদিন ইন্ড্রাস্ট্রিতে আছেন, কোনওদিন কম্প্রমাইসের শিকার  হয়েছেন ?’’ অভিনেত্রী একটু থেমে বললেন, “ না হয়নি! তবে অনেক ইশারা, ইঙ্গিত পেয়েছি এবং সেইগুলোর থেকে সরেও এসেছি।'' 

অভিনেত্রীকে এবার জিজ্ঞাসা করলাম,”মিষ্টি খেতে ভালবাসেন ?” অভিনেত্রী সরাসরি জানিয়ে দিলেন, “ একদমই না!” অভিনেত্রীকে একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,’’ আপনি কি খুব হেলথ কনসাস ?’’ ফোনের ওপার থেকে হাসির শব্দ পেলাম। হাসতে হাসতে অভিনেত্রী জানালেন, “ আমি আত্মতুষ্টিতে বিশ্বাসী। যখন যেটা ভাল লাগে, তখন সেটা খায় তবে আইসক্রিম খেতে বেশ ভাল লাগে।'' 

“পাহাড় না সমুদ্র, কোনটা বেশি ভাল লাগে ?” সংকলিতা জানালেন, “ অবশ্যই পাহাড়। সমুদ্র আমার মোটেও ভাল লাগে না।‘’“অবসর সময়ে কীভাবে কাটান ?” সংকলিতা জানালেন, “ আমি বই পড়তে আর সিনেমা দেখতে ভালবাসি।''    




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...