সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরেকে কী জানালেন অভিনেত্রী অনসূয়া মুখোপাধ্যায়, জেনে নিন

                         
                                        ছবি-অনসূয়া মুখোপাধ্যায়/ সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ



তাঁর মঞ্চে প্রবেশ অনেক আগে! তখনও তিনি জন্মগ্রহণ করেননি। তাঁর মা তখন অন্তঃস্বত্বা। সেই সময়েও তাঁর মা মঞ্চে অভিনয় করে গিয়েছেন। মঞ্চের সঙ্গে রয়েছে তাঁর নাড়ির টান। অভিনেত্রী অনসূয়া মুখোপাধ্যায় ছোট থেকেই অভিনয় জগতের একজন আগাম কাণ্ডারি! প্রথম মঞ্চে আসেন যখন তিনি দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আর ক্যামেরার সামনে আত্মপ্রকাশ ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন।


আমার সঙ্গে আগে যোগাযোগ ছিল না। তাই একটু সংযমী হয়েই ফোনটা করলাম। ফোনের ওপার থেকে একটা মিষ্টি কণ্ঠস্বর ভেসে এলো। মনেই হল না এটা আমাদের প্রথম কথোপকথন। এতো সুন্দর একটা কণ্ঠস্বর শোনার পরেই একটা বিদঘুটে প্রশ্ন মাথায় জাগল। তাই সারাসরি জিজ্ঞাসা করে ফেললাম, “ আপনি মিষ্টি খেতে ভালবাসেন ?’’ অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, “ ভালবাসি তবে একদমই খেতে পারি না। আমি বড্ড ‘হেলথ-কনসাস’।”  



একটা ‘নাটকীয়’ পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা অভিনেত্রী অনসূয়া মুখোপাধ্যায়ের আদর্শ তাঁর বাবা-মা। নিজের একটি নাটকের দলও রয়েছে । মেগা সিরিয়ালে অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়িমিত নাটক করেন। শহরের বেশ কয়েকটি নাট্য দলে তাঁর অগাধ বিচরণ। অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ মঞ্চে নাটক করা আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো- কোনটা বেশি সহজ?’’ অভিনেত্রী সরাসরি জানিয়ে দিলেন, “ কোনটা সহজ নয়। দুটোই আলদা মাধ্যম। তাদের ব্যবহারও ভিন্ন ভিন্ন। তবে আমি শুধু অভিনয় বুঝি। ভাল অভিনয়। অভিনয়টা আমার ভালবাসা।” 

অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল একটি মজার গল্প,ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন দূরদর্শনের একটি নাটকে “ফুসফুসি”নামের একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁর ডাক নাম হয়ে গেছিল ওই ‘ফুসফুসি’! এখানেই তাঁর মজার গল্প শেষ নয়, তিনি আগে একটি চ্যানেলে সঞ্চালনার কাজ করতেন। পুরোনো দিনের গান শোনাতেন। সেইখান থেকেই তাঁর মেগা সিরিয়ালে আসা। তবে মঞ্চের প্রতি তাঁর যেহেতু নাড়ির টান, তাই মঞ্ছকে অস্বীকার করবেন কীভাবে। অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, “শেষ কবে মঞ্চে অভিনয় করেছেন ? “অভিনেত্রী জানালেন, “গত ২২মে একটি নাটকে অভিনয় করেছি।‘’ এত ব্যস্ততার মধ্যে শুধু নাটক করাও নয়, তার পাশাপাশি বহু প্রযোজনা দেখনও। 



অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, “অভিনয় ছাড়া অন্যকিছু করার ইচ্ছে ছিল না ? “অনসূয়া মুখোপাধ্যায় জানালেন, “ না! তবে মাঝে একটা সময় একটা স্কুলে পড়াতাম, কিন্তু মাত্র একমাস ওই চাকরিটা করি। মা চাইতেন সরকারী চাকরি করি। তবে ওইসবে মন টিকল না। অভিনয়ে মন দিলাম।‘’
অভিনেত্রীর থেকে আরও জানা গেল, অভিনয়ের পাশাপাশি নাচ করতেও তিনি খুব ভালবাসেন। অনেকদিন শুটিং শেষে ভোরবেলা বাড়ি ইউটিউব খুলে নাচের বিভিন্ন স্টেপ দেখেন। সময় পেলে বাংলা সাহিত্য নিয়েও ঘাঁটাঘাঁটি করেন।


সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, “ প্রেম করেন ?” অভিনেত্রী জানালেন, “হ্যাঁ! করি।’’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “ কে ? ’’ অভিনেত্রী হাসতে হাসতে জানালেন “ অভিনয়। শুধু প্রেম নয়, অভিনয়ের সঙ্গে সহবাসও করি!” ফোনের দুই প্রান্তেই তখন শুধু হাসির শব্দ।   

      

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...