সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরেকে কী জানালেন অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, জেনে নিন



                                     ছবি -  বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়/ সাক্ষাৎকার- আদিত্য

আগে পরিচয় ছিল না! তবে কথা বলে এইটুকু বুঝতে পারলাম, অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায় একটু আলদা। একটু “সিলেকটিভ” এবং বেশ হাসিখুশি।

প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলাম, “ আপনার কেরিয়ারের শুরুতেই ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে আপনি কাজ করেছেন। কেমন অভিজ্ঞতা ? ” অভিনেত্রী জানালেন, “ ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে কাজ করা আমার একটা বিরাট বড় পাওনা। অনেক সময় অনেক দৃশ্য তিনি নিজে অভিনয় করে দেখিয়ে দিতেন।  শুধু তাই নয়, প্রথম কয়েকটা দিন তিনি নিজে আমার মেকআপ পর্যন্ত করে দিয়েছিলেন।”

তারপরেই জিজ্ঞাসা করলাম, “ ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ আপনার কেরিয়ারের কি একটা বড় টারনিং পয়েন্ট ? ” অভিনেত্রী কিছুটা থেমে বললেন, “ না, ঠিক সেই ভাবে নয়। আবার কিছুটা হ্যাঁ! মানে এই সিনেমাটা করার পর বেশ কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ পেয়েছি। তবে খুব একটা কিছু নয়। প্রচুর মানুষ এই সিনেমাটায় অভিনয় করার জন্য প্রশংসা করেছেন। ব্যস এইটুকুই প্রাপ্তি!” 

অভিনেত্রীকে একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ ” সেইভাবে ব্যবসা করতে পারেনি! আপনি কি বলবেন ? অভিনেত্রী তাঁর সাবলীল ভঙ্গিতে জানালেন, “ না, সেইরকম নয়! এই সিনেমটা বানানো হয়েছিল খুব সিলেকটিভ ভাবে। প্রচুর ফেস্টিভ্যালে গিয়েছে শুধু তাই নয়, যে কটা সিনেমা হলে এই সিনেমার প্রদর্শনী হয়েছে, সেগুলোও দিনের পর দিন হাউসফুল হয়েছে। অনেকে সিনেমাটা দেখে কিছু বুঝতে পারেননি আবার অনেকের ভাল লেগেছে।”



                                                        ছবি -  বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়

সরাসরি একটা প্রশ্ন করে ফেললাম, “ আপনি কি খুব সিলেকটিভ কাজ করতে ভালবাসেন ?” অভিনেত্রী বললেন, “ হ্যাঁ , একদম! কম কাজ করব, তবে ভাল কাজ করব।”
অভিনেত্রীর থেকে আরও জানা গেল, এই মুহূর্তে চারটি সিনেমার কাজ চলছে। তাই তিনি বেশ ব্যস্ত! কথা না বাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “ আপনার কাজে কমপ্রমাইস- এর অর্থ কী ?” অভিনেত্রী জানালেন, “ অনেক ভাল ভাল কাজ ছেড়েছি, শুধু মাত্র কয়েটা দৃশ্য-এর জন্য। যেগুলো করতে আমি রাজি নয়।”

এবার জিজ্ঞাসা করলাম,” ছোট থেকেই কী অভিনয়ে আসার ইচ্ছে ছিল ? ” অভিনেত্রী জানালেন, “ না, সাংবাদিক হওয়ার সখ ছিল। আমার বাবা সাংবাদিক, কিন্তু ঘটনাচক্রে অভিনয়ে চলে আসি, তখন আমি কলেজে। ” একটু থামিয়ে সদ্য বিবাহিত অভিনেত্রীকে বললাম, “ আপনার স্বামীও তো সাংবাদিক! সবটাই কি কাকতালীয় ? ” ফোনের ওপার থেকে শুধু হাসির শব্দ পেলাম! 

আবার জিজ্ঞাসা করলাম, “ সাংবাদিক হয়ে অভিনেত্রীর সাক্ষাৎকার নেওয়া নাকি অভিনেত্রী হয়ে সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়া- কোনটা পছন্দ করবেন ? ” অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, “ অবশ্যই দ্বিতীয়টা!”


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...