সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ম্যাসটাইটিস: নিকিতা চক্রবর্তী


                                                                        #ম্যাসটাইটিস
                                                                            ©নিকিতা চক্রবর্তী

আজ একটা কমন প্রবলেম বলছি । ডাক্তারী পরিভাষা ম্যাসটাইটিস । সাধারণত breast tissue সমস্যা । সাইন অ্যান্ড সিমটম্পসগুলো কিছুটা এমন হয় , উল্লেখ করব সম্ভাব্য প্রতিকারও, আপনারা সতর্কতার স্বার্থে মিলিয়ে দেখবেন, সাবধান হবেন ।

এটা একটা পোস্টপারটাম ইনফেকশন, মানে শিশুজন্মের পর মায়ের হতে দেখা যায় । কিন্তু বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বাচ্চার বয়স ৭-৮বছর হয়ে যাওয়ার পরও মায়েদের এই ইনফেকশনটা হচ্ছে । সুতরাং, শুধু ল্যাকটেটিং মাদারই নন, সবাই বিষয়টা খেয়াল রাখবেন । 

সিমটম্পস-- 

১০৩℉ জ্বর, অকারনে জ্বর হবে , আপনি না বুঝে antipyretic নিলে জ্বর কমে যাবে কিন্তু তিন চারদিন পর আপনার ব্রেষ্ট জুড়ে ছোট ছোট দানা দানা গ্র্যানিউলস বেরোবে, আপনি হয়ত rash ভেবে পাত্তা দেবেন না । অ্যারিওলাটা লাল হয়ে ফুলে উঠবে, অ্যারিওলা হল ম্যামারীগ্ল্যান্ডের মাঝখানে বাদামী টিস্যুযুক্ত গোলাকার অংশটা । অ্যারিওলা গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ক্র্যাক করবে, ফেটে ফেটে যাবে । নেগলেক্ট করবেন না, শীঘ্র ডাক্তারের কাছে যান , আপনার ইমিডিয়েট অ্যান্টিবায়োটিক দরকার । 

কারন-

 অনেক সময় ওয়ার্কিং লেডিরা হয়ত সকাল আটটা বা নটায় বেরিয়ে যান, বাড়ী ফিরতে ফিরতে রাত নটা । এই যে দীর্ঘ বারো ঘন্টা সময়, আপনার ব্রায়ের ফাঁকে জমতে থাকা ঘাম, ব্যাকটেরিয়ার অ্যাপার্টমেন্ট তৈরী করছে । ম্যামারী গ্ল্যান্ড থেকে ঘামের সাথে বিশেষ একটা সেবাম নিঃসৃত হয় । সেটা কিছু এরোফিলিক ব্যাকটেরিয়ার বিশেষ পছন্দ । ওরা আপনার ল্যাক্টপোরস্ দিয়ে ঢুকে পড়ে আপনার ব্রেস্টে , সেখানে ল্যাক্টডাক্টে তৈরী করে বাসা,, আপনি আক্রান্ত হলেন ।

অনেকে পুশ আপ ব্রা ব্যবহার করেন দীর্ঘ বারো চৌদ্দ ঘন্টা , তাতে যেটা হয়- ব্রেষ্ট মাসল সঙ্কুচিত হয়, কমপ্রেসড থাকে, কমপ্লিকেশন দেখা যায়, অধিক টেনডার হয়ে যায় ব্রেস্ট, এসময় ব্যকটেরিয়া ইনভেড করতে পারে ।

সতর্কতা- কীভাবে ইনফেকশন এড়াবেন?

১) আপনি ওয়ার্কিং লেডি হলে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ওয়াশরুমে গিয়ে ব্রা লুসেনড করে ব্রেস্টে একটু পরিষ্কার জল দিন, অ্যারিওলায় । ম্যাসাজ করুন রাউন্ড করে ।

২) পুশ আপ ব্রা দীর্ঘক্ষন নয় ।

৩) রাতে শোয়ার আগে ব্রেস্ট ষ্টেরিলাইজেশন মাস্ট । অ্যান্টিসেপটিক ফ্লুইড দিয়ে ব্রেস্ট স্টেরিলাইজ করবেন । আর ভেসলিন জাতীয় কিছু অ্যারিওলায় লাগিয়ে শোবেন ।

মোটামুটি এগুলো রেগুলার করুন , আর উল্লিখিত সিমটম্পস দেখলেই দেরী না করে তক্ষুনি ডাক্তারের কাছে যান । আরো ক্যোয়ারী ? কমেন্টে অবশ্যই জানান । 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...