সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাঙালিয়ানার উদযাপন- একটি সফল উদ্যোগ



                                   এথিনিয়ার ড্যান্স থিয়েটার (  ছবি-শমিত ঘোষের ফেসবুক থেকে) 

গত ১৯ জুন নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল “ বাঙালিয়ানার উদযাপন ”। ত্রয়ী আয়োজক সংস্থা নৈহাটি এস্থেটিকস, হাত বাড়ালেই বন্ধু এবং দ্য লোহাঘাট পার্ক অ্যাসোসিয়েশান-এর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।  এই সমগ্র অনুষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য ছিল অসুস্থ নাট্যকর্মী সতীশ সাউ –এর চিকিৎসার জন্য অর্থ তুলে দেওয়া। সেই মতো অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অর্থ (প্রায় ৩৫৬০ টাকা) বুধবার অপর এক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়, যারা সেই অর্থ অসুস্থ নাট্যকর্মীর পরিবারের হাতে তুলে দেবে।

এই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিল ওপার বাংলার কাব্যবিলাস নাট্যগোষ্ঠীর কপাল কিন্তু ‘কপাল’-এর সামগ্রিক পরিকল্পনা সেইভাবে কোনও দাগ কাটতে পারেনি। ওপার বাংলার ‘চমক’ দেখার জন্য উপস্থিত ছিলেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু সবাইকে প্রায় হতাশ করল ‘কপাল’। শুধু প্রাপ্তি  যে তাঁরা ওপার বাংলার দল। নাটকেও ওপার বাংলার কথা, ব্যস এইটুকুই। এই বাইরে বাকিটা শূন্য।


                       
                                 কাব্যবিলাস নাট্যগোষ্ঠীর কপাল ছবি-শমিত ঘোষের ফেসবুক থেকে) 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন সমাজের গুনীজনেরা। সঙ্গে ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও। প্রত্যেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল ‘এথিনিয়া’-এর ড্যান্স থিয়েটার। তাঁদের ভাবনায় ছিল সত্যজিৎ রায়। তারপরে মঞ্চে আসে ওপার বাংলার কাব্যবিলাস নাট্যগোষ্ঠী। কিন্তু তাঁদের নাটকের উদ্দেশ্যটা বোঝা গেল না। যদিও সেই হতাশা কিছুটা পূরণ করে দিয়েছে উজাগর নাট্যগোষ্ঠীর ‘ এমনও বসন্ত দিনে ’।

যদিও এর আগেও এই একই মঞ্চে এই নাটকটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল, কিন্তু এই নাটকটি প্রত্যেকটি অভিনয়ে বিভিন্ন ভাবে অভিনীত হয়। সেইমতো এইবারেও কিছু নতুনত্ব ছিল। কিন্ত এইবারে মনে হয়েছে নাটকটি কোথাও অতিরঞ্জিত করার চেষ্টা হয়েছে। 

তবে এটাও ঠিক এই নাটকটিতে গানের ব্যবহার অসাধারণ। লাইভ মিউজিকে মুগ্ধ করেছে ‘উজাগর’। প্রেম-বিরহে সর্বজিৎ এবং ইপ্সিতা সবাইকে আপ্লুত করেছ। তবে আলোর ব্যবহারে আরও সতর্ক হতে হবে।এই অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল ইপকার এবং সৌনক নন্দীর আসাধারন গান।     



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...