সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Atpoure's Review: UMA


------------------------------------------------------------------------------------------------------- Ayan Roy


বড় আশা করে এসেছি গো ...

আশা ছিল , তবে সেটা আশা নাকি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির কামাল তা নিয়ে কনফিউশন থাকতে পারে | ছবি মুক্তির আগেই তা নিয়ে যেমন হইচই পড়ল তা দেখে মনে হতে শুরু করলো এই বুঝি এলো স্বর্ণযুগ | সব তারকারা তাদের অমোঘ উচ্চারণে ব্যক্ত করলেন যে এমন কাজ না কভি হুয়া হ্যায় অউর না কভি হোগা | তাই সদলবলে পয়লা জুন বাঙালি চলল ‘উমা’ বরণে |

কিন্তু , দেয়ার ইজ অলওয়েজ আ কিন্তু , সেই কিন্তু টাই বারোটা বাজাল সৃজিত মুখুজ্জের নতুন প্রজেক্ট উমার | শ্যামবাজার থেকে মিত্রা যখন হেঁটে যাচ্ছিলাম, মাইরি বলছি , মোমোর দোকানে , পিত্জার দোকানে , ব্র্যান্ডেড কা এর দোকানে, মিষ্টির দোকানে যেখানে সেখানে ছবির প্রমোশন , অর্থাৎ আপনি দেখতে বাধ্য ভাই , আপনার কোনো উপায় নাই , আমারও নাই যদিও | তাই আপনি যেমন কিছু ডাক উপেক্ষা করতে পারেন না , এইটাও না পারার সম্ভাবনা প্রবল |

গৌরচন্দ্রিকা শেষ , কথায় আসি , ছবির কথায় | ছবির শুরুতেই বোঝা যায় উমা নামের বাচ্চা মেয়েটি বেশিদিন নেই পৃথিবীতে , তাই বাবা তাকে কলকাতার পুজো দেখানে নিয়ে এলেন কলকাতায়, টাও আবার মার্চ মাসে | কলকাতার ফিল্ম জগৎ নেমে পড়ল সেই প্রজেক্ট সফল করতে | সেই প্রজেক্ট নিয়েই বাকি ছবি , ছবিতে চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সৃজিত , তবে তা দূর্বল ন্যারেটিভ এবং ততোধিক দূর্বল এডিটিং এর জন্য কোনো চমক দেওয়া মুহূর্ত তৈরী করতে পারেনা | সমস্যার জায়গা এটাই , কোনো কিছুই ঠিকমত তৈরী হয় না , তার আগেই অন্য কিছু শুরু হয় | এত সবের মধ্যেও ছবিটা বসে দেখা যায় , যেত না , যদি না অঞ্জন দত্ত থাকতেন | তিনি তার অভিনয়ের নৌকায় তুলে গোটা ছবিটাকে বাঁচিয়েছেন ,তিনিই এই ছবির ‘NOAH’ | অনুপম রায়ের গান গুলি এমনি জুক বাক্সে শুনতে যতটা ভালো লাগে , ছবিতে ততটাই খারাপ | কারণ আপনি ভাবতেই পারবেন না , যখন তখন ,যেখানে সেখানে , ছবির ছন্দের সাথে সেটা যাক না যাক , গান এসে জুড়ে বসবে একটা গুম গুম তীব্র বেস সহযোগে | তবে কি সুরহীন এই ছবি , না না...... আছে বস আছে , সেখানে হাল ধরেছেন অঞ্জনপুত্র নীল | নীল দত্তের আবহ কিছু সিনে অন্য একটা ব্যাপার তৈরী করে , যে সুর অনুপমের তৈরী , সেই সুরের স্রেফ Arrangement পাল্টে সেটাকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন নীল |

উমার স্বপ্নপূরণের এই যে অভিযান , তার পথে বাধাও আসে , কিন্তু সেগুলি কে বাধা মনে হয়না | অনির্বাণ ভট্টাচার্য এমন একজন মানুষ যাকে যে কোনো চরিত্রে বসিয়ে দেওয়া যায় , যে কোনো অভিনয়ে অনির্বাণ তার যে টুকু কর্তব্য সেটুকু করেই নিজেকে প্রমাণ করে যায় | এই ছবিতে একমাত্র একটা জায়গায় মনে হয় চোখ ভিজে যায় , ঠিক তার পরেই অনির্বাণের সংলাপে দর্শক হেসে ওঠে হোহো করে | হয় সৃজিত সেটাই চেয়েছেন অথবা এটা মিসফায়ার | তবে একা যদি এই ছবি দেখতাম , তবে অনির্বাণের ওই “কি?” আমায় নিশ্চই অন্যরকম ভাবাত |
বাকিদের মধ্যে সারা সেনগুপ্ত খুব সাবলীল অভিনয় করেছে , কিন্তু অদ্ভুতভাবে যীশু সেনগুপ্ত কে মনে হয়েছে উনি খুব প্রিটেন্ড করছেন | অভিনয়ের মধ্যে সত্য খুঁজে পাওয়া খুব জরুরী হয়তো | রুদ্রনীল অন আদার হ্যান্ড অনেকখানি সামলেছেন ছবির শেষ দিকের ইমোশন |
এই গোটা ছবিতে অনেক ঘটনা , তবে এই ছবির ঘটনা মূল নয়, ইমোশন মূল | এই ইমোশনের বিলড আপ কিভাবে করবেন সৃজিত সেটা তার ব্যাপার , কিন্তু আমার মনে হয়েছে সেটা তৈরী হতে হতেও ভেঙ্গে পরেছে |
বড় আশা করে গিয়েছিলাম , সে আশা তো মিটলো না , ভাবলাম মিত্রা থেকে দু পা হাঁটলেই অমৃতর দই , যাই খেয়ে আসি | ওমা সেও বন্ধ | তা সে ভালো মিষ্টি দই হোক বা ভালো বাংলা ছবি , মুখের কথায় কি মেলে ? চাতক স্বভাব না হলে ?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...