ইন্ড্রাস্টির ভেতরটা বাইরে থেকেই যতটা চকচকে মনে হয়, আসলে ভেতরটা ঠিক উল্টো এবং মসৃণ। আগের পর্বে শুধুমাত্র কমপ্রমাইসের কথা বলেছি! এই পর্বেও কিঞ্চিত বলব কিন্তু তার সঙ্গে
যুক্ত করব কিছুটা পারিশ্রমিকের কথা।
আগের পর্বে বলেছিলাম, এক অভিনেত্রীর সঙ্গে হঠাৎ সাক্ষাৎ-এর কথা! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই অভিনেত্রীর
নাম দিয়েছিলাম সোহাগ। তাঁর কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে এই পর্বটা
শুরু করছি।
সালটা ২০১১ কিংবা তার কয়েক বছর আগে কথা। বাংলায় তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চিটফান্ড। প্রতি শুক্রবার মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ভিড়। না, শুধু দর্শকদের
নয়,ডিস্ট্রিবিউটারদের ভিড়। কে আগে ‘হল’ পাবে। প্রায় মারামারির জোগাড়।
সেই সময় প্রতি শুক্রবার ঠিক কতগুলো সিনেমা রিলিজ করত, তা বলা মুশকিল। আসলে তখন ইনভেসটারের অভাব ছিল না।
তারপর আস্তে আস্তে চেহারাটা বদলে গেল।
চিটফান্ড প্রায় বন্ধ হয়ে গেল। তারপর মোদী সরকারের আচমকা নোটবন্দী। বেশ কিছু
নামজাদা ইনভেসটাররা হাওয়া হয়ে গেল। আস্তে আস্তে ভিড়টা ফাঁকা হতে শুরু করল। ওটাই
শুরু! যদিও জোড় দিয়ে বলা যায় না, ওটাই শুরু। তবে অনুমান করা যেতেই পারে। এইরকম
পরিস্থিতি যদিও একদিনে তৈরি হয় না। অনেকদিনের ফালাফল স্বরূপ আজকের এই পরিণতি।
আজ বাংলায় দাঁড়িয়ে একজন অভিনেতা-অভিনেত্রী কিংবা বাংলা ইন্ড্রাস্টির যুক্ত একজন
ব্যক্তি ঠিক যত টাকা পারিশ্রমিক পান, তার চেয়ে দ্বিগুণ টাকা তাঁরা মুম্বইতে কাজ
করে পান। তাই অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী আস্তে আস্তে মুম্বই পাড়ি দিচ্ছেন। সঙ্গে
প্রচুর টেকনিশিয়ানও। যদিও মুম্বইতে টাকার দর যে বেশী, সেটার অবশ্য কিছু স্বাভাবিক
কারণ আছে।
কিন্তু এছাড়াও আর একটা বিষয় সামনে আসছে, বাংলার বেশ কিছু অভিনেতা-
অভিনেত্রীকে অনেক সময় মঞ্চে গাইতে কিংবা নাচের অনুষ্ঠানে দেখা যায়। অবশ্য সেখানে
কারুর আপত্তি করার কিছু নেই, কিন্তু অনেক
সময় মুখ্য উদ্দেশ্যটা গৌন্য আর গৌন্য
উদ্দেশ্যটা মুখ্য হয়ে যায়। আদতে কি আমরা যেটা দেখতে চাইছি সেটা পাচ্ছি নাকি আমাদের
যা খাওয়ানো হচ্ছে, সেটাই গিলছি। প্রশ্নটা কারুর প্রতি না, বরং নিজের প্রতি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন