ভালোবাসার জন্য অন্য ঠাঁই খুঁজতে বলা মানুষটা আজ দেখবে, পায়ের তলায় মাটি আর মাথার ওপর ছাদ অনন্যারও আছে।
চৌকাঠে পা রাখার সময় হঠাৎ শ্লথ হয়ে গেল অনন্যার গতি। একটু থমকে দাঁড়াল সে। মাথায় তখন ঘুরপাক খাচ্ছে ঠিক-ভুলের দ্বন্দ্ব। সিদ্ধান্তটা ভুল নেওয়া হল না তো? সুজয়ের সাথে নতুন জীবনটা এরকমই বিভীষিকাময় হবে না তো?
ঘরটা যেন ঘর নেই আর। বিবর্ণ দেওয়াল গুলো মনে করিয়ে দিচ্ছে বিবস্ত্র শরীরের ওপর বয়ে চলা কালবৈশাখী ঝড়গুলো। বাগানের শুকনো গাছগুলো মনে করিয়ে দিচ্ছে ইতিউতি লুকিয়ে রাখা কালশিটে মেঘ আর চোখের বৃষ্টিগুলো। ঝলমলে ফটোফ্রেমগুলো মনে করিয়ে দিচ্ছে - দরদাম করে কিনে আনা গোলাপী চাদর আজ প্রতিরাতে কুঁচকে যায়। অভির আঙুল জলছবি আঁকে অন্য নগ্ন পিঠে। না, আজ আর অনন্যা থমকে দাঁড়াবে না। অনন্যা আবার ঘুরে দাঁড়াবে। বাঁচার জন্য। নিজের জন্য।
ভালোবাসার জন্য অন্য ঠাঁই খুঁজতে বলা মানুষটা আজ দেখবে, পায়ের তলায় মাটি আর মাথার ওপর ছাদ অনন্যারও আছে। না পোষালে চলে যেতে বলা লোকটা আজ জানবে, চলে যাওয়ার বৈধতা অনন্যার আছে। স্বামীত্বের অধিকার ফলানো লোকটা আজ দেখবে, কিভাবে চোখের সামনে আলগা হয়ে যায় সম্পর্কের বাঁধন - কিভাবে ভেঙে পড়া বাসার খড়-কূটো ঠোঁটে তুলে বাসা বাঁধে ভালোবাসা। অনন্যাকে পারতেই হবে। আরো অনেক অনন্যার জন্য। ঘর তুলতেই হবে ওকে নড়বড়ে ভিতে। সাদামাটা কাঁচামাটির ঘর। পরকীয়ার ঘর। ভালোবাসার ঘর।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন