"কোন পছন্দের পুরুষের সঙ্গে এইবারের অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে চাইবেন?’’ উত্তরে কী জানালেন অভিনেত্রী নবনীতা মালাকার, জেনে নিন
বাঙালির দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির
শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর মাত্র কয়েকটা দিনের প্রতীক্ষা! প্রতিদিনের ব্যস্ততা ভুলে এবার
ঢাকের তালে একটু কোমর দোলানোর পালা। পুজো মণ্ডপের ধুনুচি নাচ থেকে পাতের পঞ্চ আহার
কিংবা একপলকের প্রেম- সবকিছুকে চেটেপুটে নিতে তৈরি আপামর বাঙালি! আর ঠিক এই সময়ে
কী করছেন, বাংলা টেলিভিশনের তারকারা ? কিভাবে পুজো কাটাবেন তাঁরা ? সেই বিষয়ে কথা
বলতেই আজ আটপৌরের মুখোমুখি অভিনেত্রী নবনীতা মালাকার।
নবনীতা মালাকার জলপাইগুড়ির
বাসিন্দা। অভিনয়ের সূত্র ধরেই তাঁর কলকাতায় আসা। ছোটবেলা কেটেছে জলপাইগুড়িতে ।
শুধু তাই নয়, স্কুল এবং কলেজের গণ্ডিও পেরিয়েছেন সেই জলপাইগুড়িতে। তাই তাঁর কাছে
পুজো মানেই জলপাইগুড়ি ফেরা! আবার বাবার সঙ্গে হাত ধরে ঠাকুর দেখতে যাওয়া।
অভিনেত্রী অনেকটা নসটালজিক হয়ে বললেন, ‘’ আমাকে বাড়ি থেকে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার জন্য
ছাড়তই না কোনওদিন! যখনই ঠাকুর দেখতে বেরোতাম ,তখন বাবার কেনি
আঙুল ধরে থাকতাম। তবে বড় হয়ে বন্ধুদের সঙ্গেও বেড়িয়েছি!‘’
অভিনেত্রী একটু থেমে আবার বললেন,
‘’ জলপাইগুড়িতে অষ্টমীর দিন আমারা এক আশ্রমে অঞ্জলি দিতে যেতাম। তখনও বাবা সঙ্গে
যেত। শুধু তাই নয় আজও পুজোর সময় বাড়ি ফিরলে বাবাই সঙ্গে থাকে!’’
নবনীতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ সেই
দিনগুলোর কোনও বিশেষ স্মৃতি মনে পড়ে না?’’ অভিনেত্রী একটু হাসতে হাসতে বললেন,
‘হ্যাঁ! সেটা ছিল এক অষ্টমীর সকাল। সেইবারই প্রথম আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে অষ্টমীর
অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলাম সেই আশ্রমে। আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। আশ্রমে গিয়ে আমি হঠাৎ
বন্ধুদের হারিয়ে ফেলি! আমি তখন বেশ নার্ভাস হয়ে বন্ধুদের খুঁজছি, এমন সময় পিছনে
ঘুরে দেখি সাদা পাঞ্জাবী পড়া একটা ছেলে মোবাইলে আমার ছবি তুলছে। আমি প্রথমে ঘাবড়ে
যায়, কিন্তু কিছুটা স্মার্ট হয়ে, ‘ইসস!’ বলে বেড়িয়ে যায়।‘’ অভিনেত্রী একটু থেমে
হাসতে হাসতে আবার বললেন, ‘’ সেই ছেলেটা আমাকে আমার স্কুল অবধি ফলো করেছিল! বেশ
কিছুদিন আমার পিছনে ঘুরঘুরও করেছিল। তবে বাবার ধমক খেয়ে সে পালিয়ে যায়।‘’
নবনীতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ পুজোর
সময় কী ধরনের পোশাক পড়তে ভাল লাগে ?’’ অভিনেত্রী জানালেন, ‘’আমি শাড়ি পড়তে খুব
ভালবাসি। আগে বছরে দু’দিন শাড়ি পরতাম,
সরস্বতী পুজো আর অষ্টমীতে। সেই আটপৌরে ভাবে! শুধু তাই নয় এখনও অষ্টমীতে আটপৌরে
ভাবে শাড়ি পড়াই আমার স্টাইল। তবে
এখন সবধরেনই পোশাক পড়ি।‘’
‘’ এইবারের পুজো তোমার কাছে কীসের
জন্য স্পেশাল?’’ নবনীতা মালাকার জানালেন, ‘’ আমার খুব পছন্দের চরিত্র হল দুর্গা!
কিন্তু ছোট থেকে আমি রোগা বলে সেই চরিত্রটা পাইনি! তবে এইবার এই স্বপ্নটা পূরণ হতে
চলেছে।‘’
একেবারে শেষে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’
আপনার জীবনের কোন পছন্দের পুরুষের সঙ্গে এইবারের অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে চাইবেন?’’
হাসতে হাসতে তিনি বললেন, ‘’ আপাতত কেউ নেই! তবে যে আসবে তাঁকে ভাল হতে হবে। আমার
প্রতি লয়াল থাকতে হবে এবং তাঁকে মেয়েরা দেখুক, তাতে ক্ষতি নেই কিন্তু সে আমি ছাড়া
কোনও মেয়েকে দেখতে পারবে না!’’ কথাগুলো বেশ আদরের সঙ্গে বলে অভিনেত্রী হাসতে থাকলেন।
(সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- নবনীতা মালাকার-এর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন