সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এখনও অনেক সংবেদনশীল বাঙালি নাক
সিটকায়! তাঁদের বক্তব্য ‘’ ওটা কি কাজের জায়গা নাকি? ওখানে তো শুধু সময় নষ্ট করা
হয়!’’ তবে এমনই বেশ কিছু সংবেদনশীল মানুষের মুখে ঝামা ঘসে দিয়েছে অনেক তুরুণ প্রতিভা! এখন অনেক তরুণ তুর্কি সোশ্যাল মিডিয়াকে তাঁদের কাজের জায়গা মনে করে!
শুধুমাত্র তাই নয়, তাঁদের শিল্পসত্ত্বা প্রকাশের সবচেয়ে সহজলভ্য মাধ্যমও হয়ে উঠেছে
এই সোশ্যাল মিডিয়া।
শিল্পী জয়ীতা বোস, সেই তরুণ তুর্কিদেরই একজন!
সম্প্রতি তাঁর আঁকা বেশকিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার বেশ আলোচ্য বিষয়। দ্য ইন্ডিয়ান
কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ড্রাফ্টম্যানসিপ-এর প্রাক্তন ছাত্রী জয়ীতার ছোট থেকেই আঁকার
প্রতি টান। তবে বরাবরই সে চেয়েছিল একটু অন্য কিছু করতে। প্রথাগত ধ্যান ধারনার
বাইরে বেড়িয়ে কাজ করতে।
জয়ীতার কথায়, ‘’ আমি একটু অন্য ধরনের পেন্টিং করতে
ভালবাসি!শুধুমাত্র কাগজে ছবি এঁকে যাব, ওটা ঠিক আমার ভাল লাগে না! তাই আমি বিভিন্ন
মিডিয়ামে ছবি আঁকি, যেমন- বডি পেন্টিং কিংবা ওয়াল পেন্টিং ইত্যাদি।‘’
কলকাতার বেশ কিছু নামীদামি রেস্তোরাঁ কিংবা
ক্যাফেটেরিয়ার দেওয়ালে জয়ীতার আঁকা আপনার চোখে পড়তে বাধ্য।
এখানেই শেষ নয় জয়ীতার
আঁকার অন্যতম বিশেষ বিষয় হল, ‘ হিউম্যান সাইকোলজি!’ জয়ীতার থেকে জানা গেল যে,
মানুষের ব্যবহার, তাঁর রীতিনীতি কিংবা পোশাক পড়ার ধরন থেকে তাঁর প্রেম সবই তাঁর
আঁকার বিষয়বস্তু। জয়ীতা হাসাতে হাসাতে জানাল, ‘’ এই কাজটা করতে বেশ মজা পায়! একটা
মানুষকে অনেক্ষন ধরে পর্যবেক্ষণ করে সেইখান থেকে একটা ছবি ফুটিয়ে তুলতে বেশ মজাদার
লাগে!’’
নিজের বাড়িতেই আপাতত একটা স্টুডিও খুলেছেন তিনি!
এছাড়া জয়ীতার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে কাজের বরাত নেওয়া হয়( www.instagram.com/joyeeta.joyart) , শুধু তাই নয় ফেসবুকের পেজেও আপনি ছবির
জন্য বায়না করতে পারেন( www.facebook.com/joyeetajoyart)! একটা অন্য রকম পরিকল্পনা নিয়ে জয়ীতা সাজিয়েছে তাঁর ক্যানভাস। চাইলে আপনিও পরখ করে দেখতে পারেন!
(সাক্ষাৎকার- আদিত্য
ছবি- জয়ীতা বোস-এর থেকে সংগৃহীত)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন