সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

'বিশেষ মানুষটি লেট-রাইজার, তাই একসঙ্গে অঞ্জলি দেওয়া এখনও হয়ে ওঠেনি!'


পুজোর বাকি মাত্র ক'টা দিন, বাঙালির শপিং থেকে ওই ৫ দিনের প্ল্যানিং, সবই তুঙ্গে। সোমদত্তা চক্রবর্তীর সঙ্গে আড্ডা জমেছিল সেসব নিয়েই। পুজোর প্ল্যান নিয়ে কথা উঠতেই সোমদত্তা জানালেন, তিনি পেশাদার গায়িকা ঠিকই, তবে কলকাতার পুজোর উত্তেজনাটাকে বাদ দিয়ে পেশাদারিত্ব এখনো দেখাতে পারেননি। বয়স যতই বাড়ুক, পুজোর উত্তেজনা আর পুজোর শপিংয়ে ঘাটতি হবেনা কোনোদিনই, এমনটাই মনে করেন তিনি। কাজেই পুজোর কয়েকদিন কনসার্ট, শো ছাড়াও চলবে চুটিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘোরা, হাউজপার্টি এবং অবশ্যই ম্যাডক্সে আড্ডা। অষ্টমী তে বিশেষ মানুষটির সাথে লাঞ্চ তো আছেই!

জিজ্ঞেস করলাম, "অষ্টমী বরাবরই প্রতিটা বাঙালির কাছেই স্পেশাল, তো বিশেষ মানুষটির সাথে অষ্টমীতে অঞ্জলি দেওয়াটা কি হচ্ছে?" ''আসলে বিশেষ যে মানুষটির কথা বলছি, তিনি এতই লেট-রাইজার, একসঙ্গে অঞ্জলি দেওয়াটা আর হয় না!" সোমদত্তার হাসি। তবে যোগ করলেন "একসঙ্গে অঞ্জলি দেওয়াটা কিন্তু বাকেট-লিস্টে আছে, যদিও এখনো অব্দি হয়ে ওঠেনি।"

পুজোর স্পেশাল কোনো প্রেমের স্মৃতি? সোমদত্তার কথায়, "ছোটবেলায়, যখন ওই ক্লাস ৭-৮-৯  উঠতি বয়স, পুজোর পাঁচটা দিনই কাটতো পাড়ার প্যান্ডেলে। পাশের পাড়া থেকে ছেলেরাও আসতো। অষ্টমীতে শাড়ি পরে অঞ্জলি দেওয়ার সময় একটু চোখাচোখি, ঝাড়ি..একটু আধটু চলতোই। তবে পুজোর ক'টা দিনই, মজার ছলে। সেসব কখনো মাচিওর করেনি।"


পুজোয় শো আছেই, কাজেই জানতে চাইলাম প্লেলিস্টে পুজো স্পেশাল কী কী থাকছে? জানালেন, 'রূপং দেহি জয়ং দেহি', 'ঢাক বাজা কাঁসর বাজা' ছাড়াও পুজো মানেই যেহেতু ভুরিভোজ, কাজেই বাঙালির খাওয়া-দাওয়া কে উদ্দেশ্য করে থাকবে 'বাংলা আমার সর্ষে ইলিশ'।

পুজো মানেই শপিং আর সাজগোজ। সোমদত্তা বললেন "পুজোর শপিং সওওব কমপ্লিট।  ওয়েস্টার্ন ও যেমন কিনেছি, কুর্তিও কেনা হয়ে গেছে ৬-৭  টা।" সোমদত্তার প্রিয় কম্বিনেশন লাল-সাদা। অষ্টমীতে পরার জন্য মায়ের আলমারি থেকে সেই রঙ এরই একটা শাড়ি ঠিক করে রেখেছেন এক বছর আগে থেকে! জানালেন, "একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছি, তাই পিসি, জ্যাঠা, মামা সকলেই জামাকাপড় দেন। আক্ষরিক অর্থেই সকালে বিকেলে পরার মতো আলাদা আলাদা জামা হয় আমার। তবে পুজোয় দুপুরে বেরোলে বাড়ি ফিরতে ফিরতে পরেরদিন, কাজেই জামা বদলানোর সময় পাওয়া যায়না!"

পুজোয় মেক-আপ কেমন হবে? " আমি মেকআপ করতে খুবই ভালোবাসি, কিন্তু যেহেতু তুমুল ঘোরাঘুরি হয়, খুব হেভি মেকআপ করলে সেটা একেবারেই ঘেঁটে যাবে। কাজেই হালকা মেকআপ করার চেষ্টা করবো।" যে জামার সঙ্গে যেমন মানায়, তেমনি সাজবেন সোমদত্তা। বললেন, "অষ্টমীর সকাল যেমন খুবই স্নিগ্ধ একটা সময়, খুব চড়া মেকআপ করলে তখন মানাবে না। আবার যেসব সন্ধ্যে গুলোয় শো আছে, সুন্দর করে সাজতে হবে। চোখ হবে ব্রাইট।" নানারকম হেয়ারস্টাইল করতেও ভালোবাসেন তিনি। 

পাঠকদের পুজোয় কেমন সাজার টিপস দেবেন?  জানালেন, " পুজো মানেই তো রঙিন, কাজেই যেমন ইচ্ছে উজ্জ্বল রঙে সাজুক সকলে। সুন্দর সুন্দর হেয়ারস্টাইল করুক।" তবে সাথে এও যোগ করলেন, " যেহেতু ঘোরাঘুরি প্যান্ডেল হপিং পুজোর আসল অংশ, পোশাক হোক আরামদায়ক। রঙিন সাজগোজ তো হবেই, তবে আরামই পুজোর সাজের শেষ কথা।"

 (সাক্ষাৎকার- উষসী কর
ছবি- সোমদত্তা চক্রবর্তীর-এর থেকে সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...