সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

তোমায় নিয়েই গল্প সাজাচ্ছি আজকাল। তোমার গল্পে আমার ছোট্ট ভূমিকা


জানো,
            টুকটাক লেখালেখির বেয়াড়া অভ্যাসটা মজ্জাগত হয়ে পড়েছে আজকাল। ক্লান্ত কলমটা আবার কালি মেখেছে মুখে, ঠোঁটের ডগায় আঁকড়ে রেখেছে কলঙ্ক। হিজিবিজি বকে চলেছে মগজ, হিসেবগুলো গুলিয়ে দিচ্ছে মন। ঠিক আগের মতই। তবে যে আমি ভাবতাম, কলম আর লিখবে না?
          পুরোনো letter box এর ধুলো ঝেড়েছি কাল। বক্সের ডালার ওপর ফেলে রেখেছি মাধবীলতার গুল্ম। জানি, এবার চিঠি আসবেই। দু'লাইন বুকে করে রুল টানা কাগজে আসবে উড়ো চিঠি। আবার, ঠিক আগের মতই। তবে যে আমি জানতাম, চিঠি আর আসবে না?

           তোমায় নিয়েই গল্প সাজাচ্ছি আজকাল। তোমার গল্পে আমার ছোট্ট ভূমিকা। উপসংহার জানিনা আমি, ভাবিনি। ভরিয়ে চলেছি পাতার পরে পাতা। বাঁধানো খাতাটা শিকড় গেঁথে নিচ্ছে। ভুলে যাচ্ছি আগের গল্পগুলো। প্লট - সময় - অবুঝ চরিত্রগুলোর কথা লেখা ছিল একটা বাদামী নোটবুকে। ড্রয়ারে আর দেখতে পাইনা সেটা। শব্দগুলোই ভুলে যাচ্ছি না শুধু -অভিধান খুঁড়ে তুলতে হয়না আর। ভুলিয়ে দিচ্ছ অকথা - কুকথা যত। ভুলিয়ে দিচ্ছ অতীত নিয়ে থাকা পোড়ামাটির ধ্বংসস্তুপ। উড়িয়ে দিচ্ছ আ্যাশট্রে উল্টে নিকোটিন মাখা ছাই। এমব্রয়ডারি করা টেবিল ক্লথ পেতে গুছিয়ে দিচ্ছ টেবিল। আমিও সাজাচ্ছি প্রেমের উপন্যাস। ঠিক আগের মতই। তবে যে আমি বলতাম, মন আর ভালোবাসবে না?

পুরাতন আর প্রাক্তন তো চিরন্তন,
তবুও কেমন মনে পড়ছে না নাম!
ভাসছে মনে শুধুই তোমার মুখ,
উড়িয়ে দিচ্ছি ডায়রিতে রাখা খাম।
আমার পাড়ায় আবার আসবে তুমি,
আদর মাখবে গলির গুপ্তপথ -
কানের লতি কামড়ে ধরে আমি
ফিসফিসিয়ে বলব - "সম্মত।"
আমার গল্পে নায়ক ছিল কিছু,
তোমার গল্পে নায়িকারা বেশ ছিল!
এই গল্পে সবই আছে, তবু
আবছা হয়েছে ধূসর স্মৃতিগুলো।
পুরোনো গল্পে তুমিই নায়ক ছিলে -
নায়িকারা ছিল আসা যাওয়া করা ঢেউ;
এই গল্পে আমি বালুকাবেলা,
ফেলে যাওয়া ছাপ ধরে রাখেনি তো কেউ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...