সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

২২শে শ্রাবণ

------------------------------------------------------------------------------------------------মোহনা ঘটনাটা হয়ে যাওয়ার কয়েক মাস পর থেকেই, মিলি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলো। বন্ধুদের সাথে হইহুল্লোর, বড়ো বড়ো রেস্তারাঁয় প্রত্যেক ছুটির দিনে খাওয়া- দাওয়া, সবই প্রায় তখন নর্মাল। অন্তত সবার চোখে তো তাই ছিল। মিলি, কিন্তু তখনও মনের ওই গাঢ় নীল অন্ধকারে ডুবেছিলো। মৈনাকের কথা তখনো যেন মুছে ফেলতে পারেনি, পুরোপুরি। এক এক সময় ঘৃণা হতো, আবার এক এক সময় ওর ছবি আঁকড়ে ধরে কেঁদে উঠতো মেয়েটা। কতবার নিজেকে প্রশ্ন করেছে, তাদের অত বছরের সম্পর্কটা বাস্তবে কি সত্যিই একটা অভ্যেস ছিলো? ভালোবাসার এক ফোঁটা ছোঁয়াও ছিলো না? মাঝে সাতটা বছর কাটিয়ে দিয়েছে মিলি। এখন মৈনাকের স্মৃতিও অনেকটাই ম্লান। তার কথা আর সে ভাবে মনে পরে না মিলির। হঠাত্ একদিন, শ্রাবণ মাসের বৃষ্টি মুখর রাতে, সবে অফিস থেকে ফিরে ফ্রেস হয়ে টি-ভি চালিয়েছে মিলি, তখনই একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আস্তে বাদ্যযন্রটা ভোঁ-ভোঁ করে উঠলো। ধীর গলায়, কানে মোবাইলটা দিয়ে, মিলি বলে উঠলো, -হাই, হু ইজ্ দিজ্? ওপারে কেমন নিস্তব্ধ। হঠাত্ কে ভা...

review: bishforon

--------------------------------------------------------------------------------------------------------by Animikh যাদের পুঁজির জোর নেই তাদের কাছে ইউটিউব হল এক অমূল্য প্ল্যাটফর্ম নিজের কাজ বৃহত্তর নেটপাগল জনতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ।  বাংলা সিনেমার হাল হকিকত সম্মন্ধে আমরা সবাই অল্পবিস্তর ওয়াকিবহাল, সেরাম নামকরা পরিচালকের ছবি কিম্বা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি না হলে কেউই হলমুখো হচ্ছেন না । এ হেন অবস্থায় শর্ট ফিল্ম জিনিসটা ধীরে ধীরে জনতার কাছে জনতার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, এর অনেকটাই কৃতিত্ব সুজয় ঘোষ-এর ওনার শর্ট ফিল্ম 'AHOLYA' চারিদিকে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল, ওই সিনেমাটাই বাঙালিকে আবার শর্ট ফিল্ম মুখো করে তোলে নতুন করে ।  আজকে আমরা কথা বলবো নবাগত পরিচালক সায়ন সেন এবং অয়ন রায়-এর ছোট ছবি 'বিষ্ফোরণ' নিয়ে । পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ছবির পটভূমি আজকের ভারত এবং স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও আমাদের পরাধীনতা কে কেন্দ্র করে । সিনেমার চিত্রগ্রহণ ও পরিচালনা ভাল, কিছু কিছু জায়গায় গল্প খেই হারিয়ে ফেলে কিন্তু হাতের বাইরে চলে গেছে বলা যাবেনা । নবীন দুই পরিচালকের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়, কিছু কিছু জায়গায় এ...

রবীন্দ্রনাথ কে অস্বীকার

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------nilanjan একটা সময় ছিল, তখন প্রানপণে রবীন্দ্রনাথ কে অস্বীকার করতে চেষ্টা করতাম। "সঞ্চয়িতা"-র দিকে কেমন যেন তাচ্ছিল্য নিয়ে তাকাতাম। হাতের কাছে কোনো গোয়েন্দা উপন্যাস না থাকলে তবেই হয়তো গল্পগুচ্ছের একটা ছোটগল্প শেষ হতো। হুম্, তখন আমি আঠারো বছর বয়সের দোরগোরায়।তখন রাত্তিরে টিউশন থেকে ফেরার পথে বন্ধু কে শোনাতে পারি, " দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া....." বা "খাদের সামনে রাত্তিরে দাঁড়ালে চাঁদ ডাকে আয় আয়.........." আস্তে আস্তে রহস্য উপন্যাস গুলো দুরে সরে যেতে থাকল, আর তার জায়গায়, "পদ্যসমগ্র"(২য় খন্ড), "পাবলো নেরুদার শ্রেষ্ঠ কবিতা", এদিক ওদিক সংকলণ থেকে উঁকি মারা প্রেমেন্দ্র মিত্র, শঙ্খ ঘোষ, বুদ্ধাদেব বসু।সিলেবাসের দৌলতে "কল্লোল যুগ" সম্পর্কে হাল্কা ধারণা জন্মাল। বুঝলাম, "রবীন্দ্রেতর" মানে "রবীন্দ্রনাথের থেকে ইতর" না, রবীন্দ্রনাথের থেকে আলাদা।বইয়ের ফাঁক থেকে বা খাতার পিছন পাতা থেকে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া, পুর...

ভয় করেনা আর

-------------------------------------------------------------------------------------------দিশারী ব্যানার্জী এখন ভয় করেনা আর, কেটে যাওয়া ঘুড়িটা দিব্যি বয়ে চলেছে ঠিকানাহীন সীমানায়... একটা ভেঙে যাওয়া সমাজকে পুড়তে দেখছি রোজ, হাজার রঙের মানুষ ঘুরছে, গল্প বলছে, আর সেই গল্প শোনার জন্য কিলবিল করছে মানুষ, একটা ভয়হীন সমাজ আর স্মৃতির টানাপোড়েনে,পাল্টাচ্ছে দিন... পাল্টাচ্ছে শহর, পাল্টে গেছে ভয়গুলো...

এক নারীর লড়াই

                    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------     -রোহন সাহা          কীরে মাগি তোর নাকি পুজো                      দেখার সখ ,                খাস তো দেহ বেচে          তুই আবার কী পুজো দেখবি?          যা যা মাগি , এদিকে​ নজরও                          দিবি না ।          ছুঁবি না কিছু , তুই অপবিত্র           তোর সাথে বিছানায় শোয়     ...

অপেক্ষা

----------------------------------------------nilanjan বেশ তো ! যদি একটা গান থাকতো,মন্দ হতো না...একটা দুপুরবেলার গান... অমল চলে যাওয়ার পর থেকে সুধা একা একাই ফুল জমিয়ে রাখে... ফুলগুলো তার কোল বেয়ে উপচে পড়ে... সময়ের নাম থাকতে নেই,দিন থাকতে নেই,তবু অঙ্ক খাতায় গুণ আর ভাগের হিসাব একসঙ্গে লেখা... ফিরে আসার কথা ছিল যেন কোথায়... এসেও তো ছিল সুধা... তারপরই কবি এক পাগলপারা তান ধরলেন...সব যে কোথায় ভেসে গেল কে জানে... যাওয়ার আগে কি বলতে নেই? তবে ডাক দেওয়া কেন? শুধু মিথ্যেরা জানে সত্যি কথার রঙ... সেই তো বাঁচতেই হয়,তবে চলে যাওয়া কেন? "কবে আসবে?" এই ভেবে পথের দিকে চেয়ে থাকা... এটাও তো বাঁচার রঙ... একফালি সবুজের মতো,নাকি ডাকঘরের মাথায় রাজার নিশানের মতো? "কবে আসবে?" অনেক পুরোনো হয়ে গেছে সব... নতুন বলতে শুধু ইচ্ছেরা... আরো কত একলা হওয়া যায়? কতটা গভীরে যাওয়া যায় একা একা? সেই কবে একটা চিঠি এসেছিল ডাকঘরে... আর সন্ধ্যে পেরিয়ে গেলে ও আসবে বলেছিল... অপেক্ষার ভিড় থেমে আছে... কবি কি তাহলে আজও অন্ধ হয়েই থাকবেন?

REVIEW: ধূসর

 --------------------------------------------------------------------------------------------------------BY ADITYA “মন খারাপের রঙ নাকি লাল”! আচ্ছা , ধূসর কি কোনো রঙ নাকি শুধুই ধূসর ? নাকি ধূসর একটা দুঃখ , ভালোবাসা , যৌনতা , বন্ধুত্ব ,সময় ? – প্রশ্নটা সহজ কিন্তু উত্তরটা জটিল ।  আসলে ধূসর একটা নিদারুন অভিব্যক্তি । কতগুলো সম্পর্কের জটিল সমীকরণ । ধূসর অনেককাল আগের একটা পাতা ঝরা শীতকালের গল্প। নাটকের শুরু থেকেই চোখে পড়ার মতন ছিল ডিজাইন , সিফটিং , আর মিউজিকের ব্যবহার । যদিও পরিচালক  তাঁর নাটকে আলো এবং সেটস বেশ ছিমছাম রাখতেই বেশি  পছন্দ করেছেন, যদিও সেটা প্রযোজনা মাফিকই হয়েছে । কোথাও মনে হয়নি অতিরিক্ত । অভিনয়ের প্রসঙ্গে বলতে গেলে , অনন্যা ওরফে অঙ্কিতা মাঝি আর কৃষাণু ওরফে সুমিত রায়  কোথাও গিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগই দিলো না । যদিও যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মউ আর  জোনাক । বাকি চরিত্রগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আসা যাওয়া করেছে । তাদেরও আধিপত্য বিস্তার করেছে মঞ্চে  । পরিচালক শান্তনু বুঝিয়ে দিলেন সামান্য পুঁজি নিয়েও একটা অসামান্য প্রযোজনার সফল মঞ্চায়ন সম্ভব । আর বিশ...

কৃত্রিম দৃষ্টি

-------------------------------------------------------------------- Ritashman শক্ত রাইগার মর্টিসে বিদ্ধ জোনাকির দেহ আলো প্রসারিত করে তোর মতো নাম না জানা পাখির তীক্ষ্ম শিস সুসপ্ততা জাগায় তোর মতো কাছাকাছি থাকার স্মৃতিগুলো মনের ভেতর রোদন জাগায় তুই এসে বিছাস অভিমান বালিসের কানে কানে বলিস---"যাবনা" শরীরের উম রক্ষার্থে একটা হালকা হাসি মরা মাছের চোখের মত শক্ত ,কৃত্রিম দৃষ্টি ফিরে ফিরে যায় তোর চোখে

কথাবার্তা

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------Meghna "আজ অফিস থেকে ফেরবার পথে বারান্দায়  থাকিস, দেখবো, অনেকদিন দেখা হয় নি..." "আমার বাড়ী ফিরতে লেট হবে, হবে না ওসব ন্যাকামি... পরে কখনো.." "রেগে আছিস??" "না" "মিথ্যে বলে কি লাভ?? লুকোতে তো কিছু শিখলি না, আবার তার চেষ্টা, থাক বুঝেছি.." "আমার রাগের সাথে আদৌও কি কিছু বদলায়, বা বদলাতে পারে??" "হুম, কখনো অবশ্য ভেবে দেখিনি তো.." "তবে তো বাঁচা গেল..." "বেঁচে আর যাবি কোথায়, মারকাটারি হাওয়া দিচ্ছে দেখ বাইরেটা, এরকম ভেসে যাওয়া হাওয়া-বিকেল বছরে খুব রেয়ার, চল তো একটু কোথাও ঘুরেটুরে আসি.." "না, আমার বাড়ী যাওয়ার তাড়া আছে... পরে কখনো,    আজ গেলাম, তাড়া আছে..." "তোর্সা" "বল.." "রাগ জমিয়ে রাখিস না, তোর রাত্তিরে কষ্ট হয় কাঁদতে, আমিও তো কাছে থাকি না.." "হু.. হঠাৎ এরকম কেন মনে হলো তোর, যে আমি কাঁদব...

She is beautiful.

------------------------------------------------------------------------------------------------Nilanjan She is beautiful. The beauty is not only in her face, but in her heart, in her soul.  Her eyes are as deep as the sea, but her soul, it's the deepest ocean. The more you dive in, the more you explore. From the above you probably see  that same blue sky reflecting on the surface,  the same salt water. The deeper you go, you explore the hidden treasures of coral and sea rocks. Deeper and deeper, the place where sun light can't reach,  where no human can ever go,  in the deep where everything seems dark and black, everyday a new dream is being born there. The memories are stored silently. The secrets are buried. The lives and the thoughts are invisible from naked eyes.  Take me to that ocean, into the fresh water. Let me swim with the dolphins and play with the corals. Let me dive into those eyes and sink into that soul.  Li...

FROM BOX OFFICE

MOVIE: JAGGA JASOOS DIRECTOR: ANURAG BASU WRITTEN BY: ANURAG BASU   কিছু সিনেমার রিভিউ লেখার ক্ষমতা আমাদের না রাখাই ভালো, তেমনই অনুরাগ বসু র জগ্গা জাসুস। সিনেমাটা দেখার ৭-৮ঘন্টা পরেও একই ঘোরে বসে আছি। প্রথম থেকে শেষ অব্দি ভাবাতে পারে, মাথা খাটাতে বলে এরকম খুব কম সিনেমা সাম্প্রতিক কালে তৈরী হয়েছে। যদিও 'কাহিনী' শেষ পর্যন্ত টানটান রোমাঞ্চে রেখেছিলো আমায়। তবুও, জগ্গা কোথাও গিয়েও যেন বেশ মন ছুঁয়ে যাওয়া একটা রঙচঙে কমিকসের শেষ হয়েও না শেষ হওয়া পাতা। সিনেমার শুরু থেকেই ঘোরলাগা চটক শুরু হয়, ধীরে ধীরে গল্প এগোয়। তারপর ইন্টারভ্যাল পেরিয়ে পরিনতিতে পৌঁছোয় নিজের মতো করেই। প্রায় তিন ঘন্টার সিনেমার বিশেষত্ব ছন্দ মেলানো গান গেয়ে অথবা, ছড়াগুলো সুর কেটে কেটে সংলাপ তৈরীর অভিনবত্ব। পৃথিবীর বড়সড় সমস্যাকে হাসি-মজা-রঙ-আবেগ-ভালোবাসার মোড়কে মুড়ে পরিবেশন করার সাহস ক'জন পরিচালক ই বা নেন?? হয়তো, একেই বলে জটিল সমস্যাও আমরা সমাধান করতে পারি, কিন্তু চেষ্টা করিনা কষ্ট হয় বলে। অনুরাগ বসু ও এমনি কিছু দেখালেন এই কয়েক ঘন্টায়।   না, আর কিছু বলবো না। সিনেমাটা যারা দেখেননি এখনো চট করে দেখে...

*মেঘবালিকা*

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- -জয়শ্রী ট্রেনের বগির সমান্তরাল সুর.. সূর্যডুবির দিগন্ত ছাড়িয়ে সে ছুটে যায়... হকারদের আওয়াজে বিরক্ত হয়ে জানলার বাইরে তাকালাম.... বিদ‍্যুৎবেগে হাওয়াকে গায়ে মাখিয়ে...গ্রামের একাংশের দিকে তাকালাম। হাটের দিনের শেষে সবাই বাজার করে , রেশন তুলে ফিরছিলো.. তারই মধ‍্যে এক কোকড়া চুলওয়ালা ফ্রোক পরা মেয়ের দিকে তাকিয়ে ছোটোবেলার এক বিকেলের কথা মনে পরলো.... ঠাম্মার মৃত‍্যুর একমাস পরে বাবা আর জেঠুদের মধ‍্যেকার পারিবারিক বিবাদ.... এরপরের ঘটনা জানা নেই.. কার ভাগে কি পরলো সে নিয়ে আমার কোনো মাথা ব‍্যথাও নেই.. কিন্তু একটা কথা মনে ছিল। বাবা শেষ বিকেলের রোদের দিকে তাকিয়ে বলেছিল,"তবুও কি জানিস মানুষকে বিশ্বাস করা উচিৎ। হয়তো সবাইকে নয়...এই দেখনা আমার নিজের দাদাদের বিশ্বাস করা আমার চরম ভুল ছিল....কিন্তু তোর মায়ের কথাটা না বিশ্বাস করাও আমার ভুল ছিল। " বুঝেছিলাম সেইদিন বাস্তবের মাঝেও সম্পর্কের নতুনদিকও আছে।

ভূত আমার পূত

------------------------------------------------------------------------------------------------------ Santu Mukhopadhyay ভূত আমার পূত                 পেত্নী আমার ঝি                 রাম লক্ষন সাথে আছে (বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের সৌজন্যে ভূতেরাও শহর ছেড়ে পলাতক)                    করবে আমার কী?   যারা এই মাত্র লেখাটির শীর্ষনাম পড়ে eternal politics এর গন্ধে নাসিকা রন্ধ্রে  উত্তেজনা অনুভব করছেন তারা দয়া করে সবাই লেখাটির থেকে বিরত থাকুন। কারণ আমার মতে পৃথিবীতে যা কিছু exist করে,যা কিছু reality তা সব কিছুই political,apolitical বলে কিছু নেই।ফলে ভূতেরাও the most important actor in the field of politics( যদি ধরে নেওয়া যায় তাঁরা আছেন, দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক অথবা আস্তিক বলে ভৎসনা করবেন না) ।। এবার লেখাটির তাৎপর্য গত গুরুত্বে মনোনিবেশ করা যাক, বর্তমান সমাজের ব‍্যঙ্গ বিন্যাসের ফলে(থুড়ি বঙ্গ বিন্যাসে, দিদি নিজ গুণে ক্...

।। মফস্বলের ছেলে ।।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------- --অভিরূপ আজকাল বেশ মুষরে থাকি বেরোই না আর বেশ ব্যস্ত শহর দিচ্ছে ফাঁকি চাইনা হতে নিরুদ্দেশ। আজকাল বেশ ভয়েও থাকি অচেনা শহর ছুটছে ভারী পুলিশ কাকু গায়ে উর্দি খাকি ভুল করলে "sir i'm sorry" আসলে আমার বাড়ি দূরে মফস্বলে, এক ছোট্ট ঘরে ব্যস্ত শহর, তাই ঘুরপাক খাই মাথা গোঁজার নেই কোনো ঠাই। দেশের বাড়ি আমার বেশ ছেড়ে এলাম, এই ভিনদেশ অচেনা শহরে আমার বড্ড ভয় আমি যে সেই "small town boy"  

ভয়

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------- সৃজনী জন্ম ইস্তক জীবন শুধু 'ভয়' শব্দটাই শিখিয়ে এসেছে। কখনো পাশ-ফেল এর লালকালি-নীলকালি হয়ে, কখনো বা ল্যামার্কবাদী Survival of The Fittest মনে করিয়ে, কখনো মৃত্যুরূপী ভয়ঙ্কর শিয়ালমুখো আনুবিস হয়ে। এখন এই ভয়টাই মজ্জাগত হয়ে গেছে। শিরায় শিরায় মেরুদণ্ডহীনতার বিষাক্ত রক্তের প্রবাহ। ছক ভেঙে স্টেপ আউট করতে গিয়েই রান-আউট হওয়ার ভয়ে ফিরে আসি। প্রথম বার ডানা মেলার আগেই ঝরে পড়ার ভয়ে বাসাতেই রয়ে যাই। হৃদয় ভাঙার ভয়ে ভালোবাসতেও শিখিনি; কিংবা ভালোবাসার সাহস দেখাতে গিয়ে হারানোর ভয়ে চরম অবহেলা আর উপেক্ষাকেও মেনে নিয়েছি মুখ বুঁজে। নিরাপদ, ভয়হীন জীবনের লোভে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেও ভুলে গেছি; শুধু ঘরে বসে প্রতিবাদী বুলি কপচিয়ে গেছি। গতানুগতিক কলের পুতুল হয়ে চলতে চলতে আজ খুব বিরক্ত লাগে! অথচ বাড়ি-অফিস-অফিস-বাড়ির আটটা-সাতটা আর বাড়ির 24×7 এর working hour এর পেষণ ভাঙতেও বিত্ত হারানোর ভয়। মনটা তেতো হয়ে গেছে ভয় পেতে পেতে। জীবনের সাদা-কালো দাবার ছকে কেউ যেন কালি ঢেলে সাদাটা মুছে দিয়ে গেছে। এক ...

ম্যাক্স পেরেরার গিটার

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- নীলান্ঞ্জন সালটা তখন ১৯৯০।কলকাতা শহরের বুকে বাংলা ব্যান্ড বলতে ‘মহিনের ঘোড়াগুলি’ ছাড়া সেরকম আর কোনো নাম লোকে জানেনা। বাঙালী তখনো চায়ে ভেজা মারী বিস্কুট খেতে খেতে রক গান শোনাটা ঠিকঠাক রপ্ত করে উঠতে পারেনি। বিটলস বা জন লেনন তখনো ভাগ বসায়নি রবি ঠাকুর কিংবা রামকুমারের গানে। সেইসময়ের চার বন্ধু অভ্র,বিতান,শৌভিক আর ওদের লিডার তন্ময় মেতে আছে রক মিউজিক নিয়ে। ওরা কেউই কিন্তু এক কলেজে পড়েনি।এক কলেজ ফেস্ট এ গিয়ে ওদের আলাপ আর তারপর থেকেই ওরা বন্ধু হয়ে গেছে,আর আছে রক মিউজিক নিয়ে। প্রায় ৪ বছর কেটে গেছে,কলেজ লাইফ প্রায় শেষ। বিতান খালি একটা পার্টটাইম জব করছে।বাকিরা কেউই সেরকম কিছু না।ওই দু একটা টিউশন পড়ানো ছাড়া।এই দিয়েই পকেটমানি হয়ে যায়।ওহো এখনো তো আলাপ করানো হয়নি এই গল্পের এই চার পাগলের সাথে।তাহলে গোড়া থেকেই বলি।ওদের এই পাগলামোটা আসলে Metronome নিয়ে।Metronome আসলে ওদের ব্যান্ডের নাম।শৌভিক metronome এর lead singer।এই ব্যান্ডের Bass Guitarist অভ্র বিটলসের অন্ধ ভক্ত।টিমে...

bhoy

 --------------------------------------------------------------------------------------------shomit ghosh ভয়..সময়ে সময়ে পাল্টানো একটা জিনিস..ছোটোবেলায় 'জুজু'কে সামান্য বড় হয়ে প্যান্টুল এর চেনে 'ওইটা' আটকে যাওয়ার। আরেকটু বড় হয়ে 'নব-গণিত-মুকুল' এবং এক এবং অদ্বিতীয়ম শ্রীযুক্ত কেশব চন্দ্র নাগ কে! হ্যাঁ,এসব গুলোই ভয়..এখন যে 'ফেজে' আছি তাতে ছ'মাস অন্তর সেমিস্টারের,কয়েক মাস বাদেই সেটা হবে টি.সি.এস বা উইপ্রোর 'এইচ-আর' অফিসারদের চোখা প্রশ্নের।কয়েক বছর বাদে সেটা নির্ঘাত হবে ইনকাম ট্যাক্স ঠিকঠাক রিটার্ন করার ভয় নয়ত আয়কর দপ্তরের বাড়িতে 'রেড' করার ভয়। যদিও আমাদের মতো  ছাপসা বাঙালির ইডি-সিবিআই এর ভয় নেই(আমাদের তো আর নারদা-সারদার টাকা নেই,সেই ভয়টা মহান নেতাদের।সে প্রসঙ্গ অন্য একদিন..) যদিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আজকাল বড্ড 'গেঁড়ুয়া সন্ত্রাস' এর বিরুদ্ধে লিখছি..গো-মাতার সন্তানদের বিরুদ্ধে রাস্তায় 'নাটক' করছি..ভয় হয় কোনদিন দেশদ্রোহীতার কেস দিয়ে দেবে! এই রে নাটক বলতে মনে পড়ে গেল,একটা মস্ত বড় ভয়ের কথা উল্লেখ করিনি..সেটা হলো দাদা ...

পরিষেবা

-    পার্থ ঘোষ –  --------------------------------------------------------- জীবনটাকে একভাবে টেনে নিয়ে যেতে যেতে কিরকম যেন ক্লান্ত হয়ে পড়ছে মৃত্তিকা।  অনেক বছর হল। একাকী, সমস্থ দায়-দায়িত্ব বহন করতে গিয়ে ঘাড়টা যেন কেমন বেদনার আভাস দেয়। বুঝতে পারে না যে সেই বেদনা বেড়ে যাওয়া বয়সের, না জীবন সংগ্রামের। সংগ্রাম করছে বটে সে সারা জীবন ধরে।  একটানা, একঘেয়ে, এক নাগাড়ে।  নয় নয় করে কুড়ি বছর। শুধু কুড়ি বছরই বা কেন, বলতে গেলে সেই ছোটোবেলা থেকেই সে যুদ্ধ করে যাচ্ছে তার মেয়েলী জীবনটার প্রত্যেকটি ঘাত-প্রতিঘাতের সঙ্গে। ব্যস্ত ষ্টেশনের উঁচু রেলব্রীজের ওপর ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে দূর আকাশে উড়ন্ত শিকারী পাখিগুলোর দিকে তাকিয়ে তার মনটা উদাস হয়ে পড়ছে। নীচে প্লাটফরমে অসংখ্য মানুষের কালো মাথা গিজ্‌গিজ্‌ করছে। ট্রেন পরিষেবা সাময়িক বন্ধ।  অফিস ফেরৎ মানুষের ভীড়ে প্লাটফরম গুলোয় জনস্রোতের জোয়ার। মৃত্তিকার মনে আশঙ্ক্ষা – কিভাবে বাড়ী ফিরবে! এই ভীড় ঠেলে তার পক্ষে ট্রেনে ওঠা অসম্ভব।  শরীরে আর আগের মতন জোর পায় না। মনে জোরের ও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।...