সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সমালোচনা


সিনেমা -অসমাপ্ত
কাস্টিং-ব্রাত্য বসু,স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়,ঋত্বিক চক্রবর্তী,পাওলি দাম,পৌলমি দাস এবং প্রমুখ।
পরিচালনা-সুমন মুখোপাধ্যায়
রেটিং-2.5/5
 প্রেম-পরকীয়া-ঈর্ষা-লোভ-সৌন্দর্য্য ইত্যাদি নিয়ে ঘন্টা দুয়েক কেটে গেলো।পাহাড়ের গল্পগুলো অসমাপ্ত  রয়েই গেলো।ঋত্বিকের দাঁতে ব্যাথা থেকে পবন সিংয়ের কলকাতার গল্প  আর ব্রাত্যর  কোটেশানের ঝলকানি থেকে স্বস্তিকার পরকীয়া সবই এক একটা অবুজ ফ্রেম হয়ে থেকে গেলো।তার মধ্যে আবার নবতম সংযোজন পাওলি এবং তার ননদ। শীতের ভোরে  নায়কের আবির্ভাব।মানে ঋত্বিক ,তার দাঁতে ব্যাথা নিয়ে চলে এলো তার হারানো শৈশব খুঁজতে তাও আবার পনেরো বছর না দেখা হওয়া বন্ধুর বাড়িতে।ব্রাত্য বসুর অভিনয় নিয়ে কোনো কথা না বলাই ভালো।এবং আশা করি এই সিনেমায় ওনার অভিনয় নিয়ে কেউ কথা বলবে বলে তো আমার মনে হয় না।একজন ফ্রাস্টেটেড অধ্যক্ষ।প্রচন্ড রাগী এবং প্রাকটিক্যাল।যিনি নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে খুবই পাঁকে পরে আছেন।অন্য দিকে স্বস্তিকা একজন দক্ষ অভিজ্ঞ অভিনেতার মত শুধু নিজের কাজটা করে গেছেন।ওনার একাধিক প্রেম এবং সেগুলো বড্ড জটিল।দর্শকের মাথার ওপর দিয়ে যাবে।তারপর হটাৎ পাওলি এবং তার বর আর ননদের আবির্ভাব।পাওলির নাকি ঋত্বিকের প্রাক্তন।বিয়ের দিন নাকি ঋত্বিক বিয়ে করতেই আসেনি।চরিত্রের  মুখেই শোনা যায় উনি নাকি বোকা।কিন্তু বেশ কিছু দৃশ্যে উনি বেশ চালকের পরিচয় দিয়েছেন।শীতের পাহাড়ে প্রেমটা ঠিকই জমেছিলো কিন্তু আঁতলামিটা একটু বেশি হয়ে গেলো।মাঝে মাঝে বেশ  কিছু ছোট চরিত্রের আসা যাওয়া।তবে এই আসা যাওয়ার মাঝে অসম্পূর্ণ থেকো গেলো মূল বিষয়।শুধু বলব নামকরণের সার্থকতা ছাড়া আর কিছুই নেই।হয়ত আমার এই লেখাটাও অসমাপ্ত থেকে গেলো।
-------------------------------------------------------------------------------------------------- Aditya Ghosh

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...