সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আমি সেই মেয়ে- গল্প

না-গল্প
-----------------------------------------পার্থ ঘোষ ---------------------




()
দুচোখে অঝোর ধারায় বারি ঝরছে মায়ের বুকে মুখ লুকিয়ে রয়েছে মেয়েটা, কান্নার দমকে কেঁপে উঠছে তার পাতলা শরীর
চোখের জল ছোঁয়াচে মেয়ের অশ্রুধারা মাকেও কাঁদিয়ে দিচ্ছে  মায়ের চোখে নামছে শ্রাবণের বারিধারা  দুগাল বেয়ে সেই জল আশীর্ব্বাদ হয়ে গড়িয়ে পড়ছে মেয়ের মাথায়  অশ্রুবেগে কম্পিত হাত দুটো জড়িয়ে ধরে মেয়েকে মা-মেয়ে ভেসে যায় কান্নার জোয়ারে
ওরা দুজনেই জানে কান্না সুখ দুঃখের  এই নয়নবারিতে মিশে আছে আনন্দ, দুঃখ, পরাজয় আর জয়লাভের মত জীবন সংগ্রাম  অশ্রু দুটি অসহায় মহিলার করুণ জীবনের বহিঃপ্রকাশ আবার দুই মহিলার জীবন যুদ্ধে জয়লাভের আত্মপ্রকাশ
()
পাঞ্চালীর মতে সায় দিয়ে দেবদত্ত তার প্রথম সন্তানকে মেনে নিতে পারল না কারণ, মৌবনী কন্যা সন্তান প্রসব করল আর তাই দেবদত্তও তার স্ত্রীর ওপর রুষ্ট হল পাঞ্চালী ঠিক এটাই চেয়েছিলেন
পাঞ্চালীর কন্যা সন্তান অপছন্দ কন্যা সন্তানে বংশরক্ষা হয়না যদিও তিনি নিজে মহিলা বলে নিজের ওপর কোন রকম রাগ বা বিতৃষ্ণা আছে কিনা সেটা জানা যায় না ঘুণাক্ষরেও তিনি তাঁর ছেলেকে সেভাবেই মানুষ করেছেন ছোটো থেকে দেবদত্ত তাঁর একমাত্র ছেলে দ্বিতীয়বার চেষ্টায় যদি কন্যা জন্ম হয় তাই তিনি দুবার মা হবার চেষ্টা থেকে বিরত থেকে গেছেন তাঁর যৌবনে যদিও দেবদত্তর জায়গায় প্রথমেই কোনো দেবীর জন্ম হলে তিনি তাকে গলা টিপে হত্যা করতেন কিনা সে খবর প্রকাশ পায় না সেরকম কোন মনোভাব মনের মধ্যে তাঁর যৌবনে কোনদিন বাস বেঁধেছিল কিনা সে সম্বন্ধে তাঁর স্বামী অজিতেশও জানতে পারেন নি তাঁর মৃত্যুর আগে অবধি
 অবশ্য পাঞ্চালীর এহেন কন্যা বিদ্বেষী মানসিক ব্যাধিতে অজিতেশ মনে মনে সুখি  ছিলেন না  তাঁর একটা কন্যা সন্তানের ইচ্ছা যে কোনদিন পূর্ণ হবে না তা তাঁর জীবদ্দশায় ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন এবং সেই দুঃখ বুকে নিয়েই তিনি মাত্র পঞ্চাশ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছিলেন প্রেশার সুগারের মত ব্যাধিকে আলিঙ্গন করেই
সংসারে প্রচণ্ড প্রতাপ ছিল পাঞ্চালীর তার কথাই শেষ কথা  অজিতেশের মত নরম মনের মানুষকে গরম দেখিয়ে কিভাবে রাখতে হয় তিনি তা ভালোই জানতেন দেবদত্তকেও তিনি তাঁর প্রতিপত্তি দিয়েই ভীতু বানিয়ে নিজের মত করেই মানুষ করেছিলেন যাতে ছেলে কখনও মায়ের কথার অমান্য হতে না পারে এক কথায় পুরুষ মানুষকে জব্দ করার সব কলা কৌশলই ছিল তাঁর করায়াত্ত
অজিতেশের মৃত্যুর পর পিতৃহারা দেবদত্তর একমাত্র ভরষা মা পাঞ্চালী তার নিজ কৃতিত্বে ছেলেকে একেবার সম্পূর্ণভাবে নিজের মত করে গড়ে তুলতে লাগলেন ছেলেও মাকে ছাড়া আর কিছু যে পৃথিবীতে আছে তা জানবার প্রয়োজনও বোধ করল না
ফলে মার ইচ্ছায় ছেলের শৈশব, কৈশোর কাটার পর যৌবনের সঙ্গীনী পছন্দটাও মার দ্বারাই হতে বাধ্য হল সুপুরুষ, সুশিক্ষিত, সু-চাকুরে দেবদত্তর
মৌবনী ছেলের বৌ হয়ে এল এসেই বুঝতে পারল বাড়ীতে ছেলের বৌ বাড়ীর মেয়ের ভাগ্যে বাঁচতে পারবে না কোনদিনই কারণ মেয়েরা বাড়ীতে অচ্ছুত  কিন্তু উপায় নেই তাই দজ্জাল শ্বাশুড়ীর ছত্রছায়ায় নির্বাক পুত্রবধূর ভূমিকাতেই তার অভিনয় চলতে থাকল সংসারের রঙ্গমঞ্চে
 এরূপ পরিস্থিতির মধ্যেই মায়ের ইচ্ছায় বংশ রক্ষার তাগিদে একদিন মৌবনী অন্তঃস্বত্ত্বাও হয়ে গেল শ্বাশুড়ীর সাবধানবানী  শুনতে শুনতে – “ বৌমা আমার কিন্তু নাতি চাই, এটা মনে থাকে যেন!”
ভাগ্য বিরূপ মৌবনীর পুত্র সন্তানের মা হওয়া যেমন তার হয়ে উঠল না তেমন অভাগী পাঞ্চালী তাঁর নাতির মুখ দেখতে পারলেন না জীবনের এই প্রথম তাঁর পরাজয় হল আর সে পরাজয় একজন নারীর কাছেই পুরুষের কাছে বীরবিক্রমে জয়লাভ করা পাঞ্চালী হয়ত মনে মনে জানতেন মহিলারাই তাঁকে পরাজিত করতে পারে  তাই হয়ত তিনি মহিলা বিদ্বেষী চিরটাকাল
এরপর যা হওয়ার তাই হল  পাঞ্চালী হার মেনে নিতে পারলেন না  তিনি তাঁর সুযোগ্য মাতৃভক্ত পুত্রকে নানান ভাবে চাপ দিতে লাগলেন মৌবনী আর তার মেয়েকে পরিত্যাগ করার জন্য  দেবদত্ত কখনও মায়ের কথার অমান্য হয়নি তাই সে মৌবনীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে লাগল যাতে তার জীবন অতীষ্ট হয়ে ওঠে
  শিশুকালে দুর্ঘটনায় বাবা মা-কে হারান মৌবনীর শৈশব কৈশোর আর যৌবন মামার বাড়ীর দজ্জাল মামীর লাঞ্ছনা, গঞ্জনার মধ্যে দিয়েই কেটেছে ঘটকের আনা সম্বন্ধ পছন্দ হতেই বিয়ের প্রস্তাবে এককথায় মামী রাজী হয়েছিলেন ভাগ্নীকে বিতাড়িত করার ইচ্ছায়  তাই বিয়ের পর ভাগ্নীর জন্য মামার মন কাঁদলেও মামীর রক্তচক্ষু মৌবনীর সঙ্গে সব রকম সম্পর্কের বাঁধন আলগা করে দিয়েছিল তারপর একদিন সবার অজান্তেই সেই আলগা বাঁধন খুলে পড়েছিল পারিপার্শ্বিক চাপে
তাই দেবদত্ত মৌবনীর ওপর মানসিক নির্যাতন করলেও তার আর মামার বাড়ী ফেরার কোন উপায় ছিল না বাধ্য হয়েই যখন দেবদত্ত তাকে একদিন সন্ধ্যায়  রাস্তায় কুকুরের মত দরজার বাইরে বার কর দিল তখন সে তার মেয়েকে নিয়ে জীবনের নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে হারিয়ে যেতে বাধ্য হল
এইসময় মৌবনীর ভাগ্য হঠাৎই সুপ্রসন্ন হল  রেল ষ্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে তার সঙ্গে স্বাক্ষাৎ হল একজন জন হিতৈষী মহিলার যে মহিলা দুস্থ, আত্মীয়-পরিজনহীন একাকী মহিলাদের নিয়ে একটা প্রতিষ্ঠান নিজেই চালান  তিনিই মৌবনি আর তার মিয়েকে নিজের কাছে স্থান দিলেন 
সেই মহিলার চেষ্টায় যদিও আইনের দ্বারস্থ হয়ে মৌবনী তার ভাঙ্গা সংসার জোড়া লাগাবার সুযোগ পেল কিন্তু মৌবনীর ইচ্ছা হলনা তার সেই অতীতে ফিরে যেতে যে অতীতে তার মেয়ের সম্মান নেই  যে অতীত তাকে পশুর মত তাড়িয়ে দিয়েছে সেই মানুষরূপী পশুদের কাছে ফিরে যাবার ইচ্ছে সে মন থেকেই  পরিত্যাগ করল  তার নতুন ইচ্ছায় সে প্রতিষ্ঠানে থেকেই সৎ ভাবে নিজের মেয়ের জীবনকে রক্ষে করে মেয়েকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করার কঠোর প্রতিজ্ঞাকে জীবন পথে চলার পাথেয় করে অতীতকে ভুলবার চেষ্টা করল

()
মৌবনীর মেয়ে মৌটুসী নামটা তার মায়েরই দেওয়া, কারণ মৌটুসী তার বাবাকে চেনে না, তার কাছে তার বাবা নিখোঁজ   তাই সে শুধু তার মায়েরই মেয়ে
গতকাল প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে মৌটুসী পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে  আজকের সমস্ত সংবাদপত্রে তার ছবি বেরিয়েছে  কাগজের লোক তার কাছে এসে স্বাক্ষাৎকার নিয়ে গেছে  সকাল থেকে বন্ধুরা ফোনে ফোনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে এন.জি.- মহিলা প্রতিষ্ঠাতা সর্বানী মাসী তাকে মিষ্টী খাইয়েছে, আদর করেছে বুকে জড়িয়ে  প্রতিষ্ঠানের অন্য সবাই যারা তার আত্মীয়র থেকেও অনেক অনেক বড় তাঁরা সবাই এসে আশীর্ব্বাদ করেছে  মৌটুসী এই আনন্দ তার মার সঙ্গে ভাগ করতে গিয়ে অঝোর ধারায় কেঁদে ফেলেছে  মেয়ের কান্না মায়ের মধ্যেও ছড়িয়ে গেছে  আজ মৌবনী জিতেছে যথাযোগ্য উত্তর দিতে পেরেছে তাদের, যারা মেয়ে বলে একদিন মৌটুসীকে মেনে নিতে পারেনি  মৌবনীর তাই আজ বড় আনন্দর দিন
আজ মনে হচ্ছে এখন একবার যদি দেবদত্ত আসে তার কাছে, তবে সে দেখিয়ে দেবে মেয়েরাও মানুষ একজন পুরুষের চেয়েও তারা অনেক অনেক শক্তিশালী  একজন মেয়েও পারে পুরুষের সাহায্য ছাড়াই আর একটা মেয়ে সন্তানকে সমাজের যোগ্য করে বড় করে তুলতে আর একটা মেয়ে নিজেকে নিজেই প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এই পুরুষ শাসিত সমাজে, একজন ছেলের মতই যদিও দেবদত্ত এখানে কখনও এলে মেয়েকে সে তার বাবাকে চেনাবে না  তার কাছে তার বাবা নিখোঁজ হয়েই থাকবে চিরটাকাল

-----()------

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...