হ্যাঁ, চারিদিকে অনুষ্ঠান টুকটাক চালু হয়ে গেছে। ফেসবুকে এক সপ্তাহ আগে থেকেই দেখা দিয়েছে 'হ্যাস ট্যাগ' নারিদিবসের পোস্ট। বিভিন্ন দক্ষ ভিডিওমেকাররা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে দিয়েছেন নারিসম্মান কেন্দ্রিক হৃদয় স্পর্শী ভিডিও। সবকিছু একদম ঠিকঠাক ভাবেই চলছে। নারি দিবস তো এভাবেই পালন করা হয় আজকের দিনে, এই ৮ই মার্চ।
কিন্তু, কিন্তু এর পরদিন থেকে শুরু করে পরবর্তী ৭ই মার্চ রাত ১১.৫৯টা অবদি আমরা কী ঠিক একই ভাবে এই '৮ই মার্চ' দিনটার কথা মনে রাখি? আজ যে ছেলেটা লিখছে নারি পুরুষের চেয়ে কোন অংশে কম না, সেই ছেলেটাই হয়তো কাল কোনো একটা কাজে তার বোনকে বলবে 'ছেড়ে দে,তোর দ্বারা হবে না এ কাজ। আমি করে দিচ্ছি'। আজ যে ব্যক্তি নারির স্বাধীনতা কেন্দ্রিক ভিডিও বার করে এত প্রশংসা পেল, হয়তো সেই ব্যক্তিই তার স্ত্রীর কাজ থেকে ফিরতে লেট হলে গায়ের বিভিন্ন অংশে কালসিটের দাগ ফেলায় মননিবেশ করে। আজ যেই লোক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে দাবি করে যে নারি পুরুষের চেয়ে কম যায় না বর্তমান যুগে, সেই ব্যক্তিই হয়তো কাল অদ্ভুৎ নীচ চোখে তাকাবে যখন কোনো মেয়ে তার কাছে সিগারেট জ্বালাতে আগুন চাইবে।
আমাদের সমাজে নারি পুরুষের এক মাত্রায় থাকার ক্ষেত্রে মুখের কথা আর কাজ দুটো একপথে এগোয় না মাঝেমাঝে। মুখের কথাকে কাজের অনুসরণ করতে বাঁধে, হয়তো মিথ্যে পৌরুষত্বে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন