নাহ্ ব্যক্তিগতভাবে আমি “ফেমিনিজ্ম্” কপচাই না।এটাও জানি জাস্ট এই কথাটুকু বলার জন্য “ফেমিনিস্ট” তকমাটাও লেগে যাবে।
আমি মহিলাদের প্রতি আলাদা সম্মান দেখানো নিয়ে কিছু বলতে চাই না।সম্মানটা বোধহয় সবার প্রতি আসা উচিত,টু বি প্রিসাইস “যোগ্য মানুষের প্রতি”।
আমার কাছে মায়ের সংসার সামলানোটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক ততটাই বাবার বাইরে সামলানোটা।
আমার জীবনের প্রথম দুটি নারী-পুরুষকে আমি একে অপরের পরিপূরক হিসাবেই দেখে এসেছি।
আবার ব্রেক আপের পর যেমন ছেলেটি এক্স গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে কাটানো ব্যক্তিগত মূহুর্তকে পাবলিক করতে ভাবেনি তেমনি মেয়েটি “জোর করে শারীরিক হতে বাধ্য করেছে আমার এক্স” এমন মন্তব্য করেছে-এ ধরনের দৃষ্টান্তও কম না।
তবে হ্যাঁ হয়তো শারীরিকভাবে আমরা মেয়েরা দুর্বল বলে কিংবা গঠনগতভাবে অনেকটা সেনসিটিভ বলে ভিড় ট্রেনে,বাসে আজও অনেক চোখ,হাত বা যৌনাঙ্গের শিকার হতে হয় আমাদের(বাকিটা নিয়ে আলাদা করে বলার নেই ওটা প্রতিদিন নিউজ পেপার খুললেই স্পষ্ট ,বেশিরভাগ আবার অজানা রয়ে যায়)।
তবে এসব পুরুষ হয়ে জন্মানোর জন্য না কিংবা এর জন্য “সব ছেলে খারাপ” তেমনটাও নয়।এটা শুধুমাত্র বিকৃত মস্তিষ্কের পরিচয়বাহক।
আর শুধু ট্রেনে বা বাসে না,সমাজের বহু ক্ষেত্রে কাকীমা,জ্যাঠিমারাও তাদের কথার বাণে ধর্ষণ করছে হাতকাটা জামা পরে বেরোনো কিংবা রাত করে বাড়ি ফেরা মেয়েটাকে।
তাই আমরা “উইমেনস ডে” বলার চেয়ে যদি “হিউমেনস ডে” বলতে পারতাম,যদি শুধু মেয়েদের সম্মান করার কথা না ভেবে যোগ্য মানুষগুলোকে সম্মানের করতাম,যদি “এটা উচিত” এবং “এটা উচিত নয়” কারণ “সমাজ বলছে” -এই ট্যাবু থেকে বেরিয়ে “যুক্তি বলছে” -এইভাবে এগোতে পারতাম তাহলে হয়তো অনেক ঘটনাই অন্যরকম হতো।অনেককিছু বদলে যেতো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন